কুরআনের আরবি ভাষায় কেন লেখা হয়েছে?




ভাষা আগে এসেছে না ব্যাকরণ; এ নিয়ে কোনো তর্ক নেই। ভাষা-ই আগে এসেছে। ভাষাকে সুচারু রাখার জন্যই ব্যাকরণ। ভাষা যেমন বিবর্তিত হয়, তেমন হয় ব্যাকরণও। কেবল ব্যতিক্রম কুরআনিক আরবি ও তার ব্যাকরণ। আরবদের মুখে, পত্র-পত্রিকা কিংবা রেডিও-টেলিভিশনে যে আরবি আপনারা শুনবেন, সেটা পরিবর্তনশীল আরবি ভাষা। সাধারণ অন্যান্য ভাষার মতো এর মধ্যে কালের বিবর্তনে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়। 


পক্ষান্তরে কুরআনিক আরবি হলো একটি চিরস্থায়ী অপরিবর্তনশীল এবং যেকোনো সময়ের জন্য আধুনিক ভাষা। এ ভাষার মধ্যে এমন স্থায়ী এক গতিশীলতা রয়েছে, যা নিজের মধ্যে কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সর্বোচ্চ পরিমাণ গতিশীলতাকে ধারণ করতে পারে। তাই কুরআনের আরবি একই সঙ্গে চির আধুনিক, চূড়ান্ত গতিশীল এবং সম্পূর্ণ অপরিবর্তনশীল।


আমরা মহিমান্বিত কুরআনে একটা অধ্যায় রেখেছি যেখানে আমাদের পাঠকদেরকে কুরআনিক আরবি সম্পর্কে একটি কার্যকরী মৌলিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। যারা কুরআনের এই শব্দানুবাদ পাঠ করবেন তাদের জন্য ব্যাকরণের এই মৌলিক পাঠটুকু জরুরি। যারা কুরআনিক ব্যাকরণের এই মৌলিক ধারণাটুকু রাখবেন তারা শব্দের গঠন ও এর পরিবর্তন প্রক্রিয়া বুঝতে পারবেন; বস্তুত তাদের জন্যই কুরআনের মৌলিক শব্দ দুই হাজারের মতো। ব্যাকরণ সম্পর্কে ন্যুনতম এই ধারণাটুকু অধ্যয়নকে ফলপ্রসূ করবে।


মহিমান্বিত কুরআনে কুরআনিক ব্যকরণের এই অধ্যায়টি নিয়ে কাজ করেছেন উস্তাদ এস এম নাহিদ হাসান। 


আল্লাহ তাকে তার এই মহৎ কাজের উত্তম প্রতিদান দিন।


আশা করি কুরআন শেখার পথে এ অধ্যায়টি আপনার জীবনে একটি জীবন্ত ব্যাকরণ হয়ে থাকবে ইনশা আল্লাহ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ