ঐ কুত্তি মা, তোরে আমি দ্বিতীয়বার কেন বিয়া করছি? যাতে আমারে একটা ছেলে দেস। প্রথবার মেয়ে হইছে আলহামদুলিল্লাহ্। প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়া নাকি ভালো। কিন্তু আমার বংশ তো ছেলে আগাবে। তোর বোন তো বাঁজা। জানিস তোর বোনকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তাই তো বাচ্চার জন্য অন্য কোনো মেয়েকে বিয়ে না করে ওর বোনকে বিয়ে করেছি। কারণ অন্য মেয়ে ঘরে আনলে সে তোর বোনকে দেখতে পারত না। কিন্তু তুই তোর বোনকে কিছু করবি না। মনে রাখিস সবে মাত্র তোর পেটের বাচ্চার বয়স দুই মাস। চার মাস হলে টেস্ট করব। ছেলে হলে রাখব নয়ত পেটে লাথি মেরে বাচ্চা নষ্ট করব। মজিবরের এমন কথা শুনে ভয়ে শিউরে উঠল টুসি। টুসি আবার গর্ভবতী হয়েছে। মজিবর ছেলে চায়, চায় বংশের প্রদীপ। তখন টুসি বলেছিল, মেয়েই বা খারাপ কি তারপরই টুসিকে এইসব শুনতে হলো।
টুসি ইচ্ছে করে মজিবরকে বিয়ে করেনি। মজিবর জোর করেই বিয়ে করেছে। মিনার সাথে মজিবরের বিয়ের পর খুব সুখে ছিলো ওরা। মিনার বিয়ের মাস দুই পর মিনার মা মারা যায়। মিনার বাবা মিনার বড় ভাইয়ের সাথে ঢাকা থাকত। টুুসি তখন ইন্টারে পড়ে। মিনার সাথেই থাকত। মজিবর তখন টুসিকে বাজে চোখে দেখত না। তারপর যখন শুনল মিনা কখনও মা হতে পারবে না তারপর থেকেই মিনার ভালোবাসাকে বিষন্ন লাগত। মিনাকে প্রচন্ড ভালোবাসা সত্ত্বেও ওর প্রতি কোনো দুর্বলতা অনুভব করত না। মজিবরও সমাজের আর পাঁচজন মানুষের মত বিশ্বাস করতে শুরু করল, একটা সময় পর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে সন্তানই ধরে রাখে। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তখন সন্তানই এক সুতায় বেঁধে রাখে।সন্তানের উপর মায়া ভালোবাসাটাই একটা সময় নিস্তেজ হয়ে যাওয়া স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে সতেজ রাখে। এসব চিন্তা ভাবনা মজিবরকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিচ্ছিল। একটা সন্তানের প্রতি তীব্র আশা মজিবরকে কখন মানুষ থেকে পশু করে দিয়েছে মজিবর নিজেই তা বুঝতে পারেনি।
এমন করেই একদিন ভুল করে টুসিকে কাপড় পাল্টাতে দেখে ফেলেল। টুসির অর্ধ নগ্ন শরীর দেখে মাথা খারাপ হয়ে যায় মজিবরের। সে সময়ই জোর করে টুসির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। মিনা বাড়ি ছিলো না। আর টুসির চিৎকার শুনলেও বাড়ির কেউ ঐ রুমে যাবার সাহস করেনি। কারণ তারা মজিবরকে চিনে। প্রাণের ভয় সবার আছে। নিজের বোনের বরের কাছে ধর্ষিত হয়ে টুসি নগ্ন অবস্থায়ই বিছানায় পরে ছিলো। র্নিবিকার, নিঃশব্দে। চোখের কোন বেঁয়ে জল নয় হয়ত গরম ভাপ ওটা রক্ত ঝড়ছিলো। টুসি নিজের নগ্ন শরীরকে ঢাকারও কোনও চেষ্টা করল না। ওভাবেই পরে ছিলো বিছানায়।
মিনা বাড়িতে আসার পর সবটা জানতে পারে।
উপন্যাস: "কিছু সাদা টিউলিপ"
লেখা: শারমিন আক্তার সাথী
তাম্রলিপি প্রকাশনা
প্রকাশক: এ কে এম তরিকুল ইসলাম রনি
প্রচ্ছদ: আরিফুল হাসান।
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০২১
বইয়ের মুদ্রিত মূল্য: ২৭০ টাকা।
২৫% ছাড়ে বুকশপগুলো দিচ্ছে।
প্রি অর্ডার করতে কল করুন 16297 নাম্বারে অথবা যোগাযোগ করুন আমার সাথে।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....