মেঘাচ্ছন্ন ঈমান লেখক : আব্দুল মালিক আল কাসিম book review with upcoming pdf


post I'd 111255

বই :  মেঘাচ্ছন্ন ঈমান

লেখক : আব্দুল মালিক আল কাসিম

প্রকাশনী : হাসানাহ পাবলিকেশন

বিষয় : ঈমান আক্বিদা ও বিশ্বাস

পৃষ্ঠা : 96, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st published 2020

অনুবাদ : ইলিয়াস আশরাফ

সম্পাদনা : সাইফুল্লাহ আল-মাহমুদ।

রিভিউ_______________________________

আকাশের রঙ বারবার বদলায়৷ কখনো নীল৷ কখনো ধূসর৷ কখনো সাদা৷ কখনো হলুদ৷ কখনো টকটকে লাল৷ কখনো আবার কালো মেঘেরা দলবেঁধে আসে আকাশের বুকে৷ ঢেকে ফেলে আকাশকে৷ 



আকাশের অবস্থাটা তখন পাল্টে যায়৷ অন্ধকার আর কালোতে আচ্ছন্ন হয়ে যায় আকাশের বুক৷ তখন বলা হয়—মেঘাচ্ছন্ন আকাশ৷ ফের হঠাৎ আকাশে বৃষ্টি হয়৷ বৃষ্টি শেষে রঙধনু উঠে আকাশে৷ সোনালী রোদ উঠে৷ পাখীরা ডানা মেলে শূণ্য আকাশে উড়ে বেড়ায়, সব শেষে নীলটুকু থেকেই যায় আকাশের বুকে। আমাদের হৃদয়টা নীল আকাশের মত৷ হৃদয়াকাশটা থাকে পরিচ্ছন্ন৷ অতঃপর পাপরাশিতে আমাদের হৃদয়টা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়৷ অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় হৃদয়ের অলি-গলি৷ ক্ষণিকের এই দুনিয়ার মায়াডোরে বিভোর হয়ে ভুলে যাই আমাদের হৃদয়াকাশটার কথা৷পরিচ্ছন্ন ঈমানের কথা। এক পশলা বৃষ্টি যেমন অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন আকাশকে পরিস্কার করে, ঠিক তেমনই তাওবা ও ঈমানের বৃষ্টি আমাদের হৃদয়াকাশকে পরিচ্ছন্ন করে গুনাহ ও পাপের ঘন কালো মেঘের আচ্ছাদন থেকে। সুতরাং অনুতপ্তের ঝিরিঝি বৃষ্টিতে পরিচ্ছন্ন করুন আপনার মেঘাচ্ছন্ন ঈমানকে৷




তুমি তরুণ, বর্ধিষ্ণু যুবক। দুনিয়ার জাকজমক দেখে উকি মেরে, "তন্ময় হয়ে স্বপ্ন দেখে। বিলাসবহুল অট্টালিকার, প্রচুর ধনসম্পদ ও সম্তানসন্ততি। এই স্বপ্ন ও ভাবনা তােমার জীবনের বড়ো একটা সময় নিয়ে নেয়। আবার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তােমাকে অজস্র স্থানে যেতে হয়; অনেক সময়। তােমার অপছন্দের জায়গাতেও যেতে হয়। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রবল। ইচ্ছার কারণে তােমাকে যেতেই হয়।


চলো আজ আমি-তুমি একটু অতীতে বিচরণ করি। অতীতের ধনকুবেরদের জীবনের শেষ মুহূর্তে কী অবস্থা হয়েছিল, তা অনুভবের চেষ্টা করি। মৃত্যুর সময় অস্তিম মুহূর্তে অতীতের নেতা ও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন লােকদের অসহায় অবস্থা অবলােকনের চেষ্টা করি। খানিকবাদে দুনিয়ার তুচ্ছতা, হীনতা ও ক্ষুদ্রতা তােমার সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। বুঝতে পারবে, দুনিয়া ওই সময় তাদের কোন কাজে এসেছিল? ওই সময় তাদের কী প্রয়ােজন ছিল?


আবার এটা মনে করাে না যে, আমি তােমাকে একেবারে দুনিয়া ছেড়ে দিতে বলছি বা কামাই রােজগার করতে অনুৎসাহিত করছি। অবশ্যই না। বরং আমি বলতে চাচ্ছি, দুনিয়া অর্জন করাে। এর পেছনে সময় ব্যয় করাে, তবে ওই পরিমাণ করে যে পরিমাণ তুমি এখানে থাকবে। আর আখিরাতের জন্য চেষ্টা করাে ওই পরিমাণ—যে পরিমাণ তুমি ওখানে থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ