বইটি নিয়ে সামান্য আলোচনা_______________
দু'আর চেয়ে সম্মানের বিষয় বান্দার জন্য আর কিছু নেই। দু'আ হলাে আল্লাহ। তাআলার সামনে বিনীত হয়ে, নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করে আশা ও ভয়। নিয়ে আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করা। দু'আর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় গ্রহণ করে, তার ওপর ভরসা করে এবং নিজের। বিষয়াদি আল্লাহ তাআলার নিকট অর্পণ করে।
প্রিয় ভাই। আমাদের সালাফদের রাত্রি কাটত আল্লাহর ইবাদত ও দুআ- মুনাজাত করে, আর দিন কাটত শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদের ময়দানে যুদ্ধ করে। তারা রাতে আল্লাহর ইবাদত করতেন, কাকুতি মিনতি করে দুআ। করতেন। আর দিনের বেলায় মানুষের মাঝে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতেন।
দু'আ আল্লাহ তাআলার অনেক বড়ে়া একটি ইবাদত। যেই ইবাদত করার
জন্য নির্দিষ্ট কোনাে সময় বা স্থানের প্রয়োজন হয় না এবং দু'আর নির্দিষ্ট
কোনাে অবস্থাও নেই। রাতে-দিনে, জলে-স্থলে, সফরে-হজরে, সচ্ছলতায়-
অসচ্ছলতায়, সুস্থতাবস্থায়-অসুস্থতাবস্থায়, গােপনে-প্রকাশ্যে,
দাঁড়িয়ে-বসে যে-কোনাে সময়, যে-কোনাে অবস্থায়ই দু'আর ইবাদত করা যায়। আল্লাহর শপথ করে বলছি, দু'আ মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অজিফা। এর মাধ্যমে বিপদের কালাে মেঘগুলাে কেটে যায়। দূর হয়ে যায় দুঃখের সফেদ মেঘ। চিন্তা-পেরেশানি হালকা হয়ে মনের মধ্যে এক ধরনের নিশ্চিন্ততা এবং প্রশান্তি সৃষ্টি হয়।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইবরাহিম আ. সম্পর্কে এসেছে, তিনি বলেছিলেন, وأورتي عسى ألا أكون بدعاء ربي شقيا
'আমি আমার পালনকর্তার ইবাদত করব, তাকে ডাকব। আশা করি, আমার পালনকর্তার ইবাদত করে আমি বঞ্চিত হব না।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....