বইয়ের নাম: মন ভাঙ্গা পরি লেখক; মোশতাক আহমেদ বই রিভিউ

বইয়ের নাম: মন ভাঙ্গা পরি
লেখক; মোশতাক আহমেদ
বইয়ের ধরণ: প্যারাসাইকোলজি
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
প্রকাশনী: অনিন্দ্য প্রকাশ।
বইয়ের মূল্য:২০০ টাকা।
বইয়ের পৃষ্ঠা: ৯৫ ।


বেশ কয়দিন আগে প্যারাসাইকোলজি উপর লেখককের এই বইটি পড়ে শেষ করেছিলাম। ছোট্ট এ বইটি পড়তে বেশি সময় লাগেনি কিন্তু বইটি পড়ে শিক্ষণীয় যে মেসেজটা আমি পেয়েছি সেটা নিয়ে বেশ কয়দিন যাবত ভাবতেছিলাম। 

এ বইটিতে লেখক হিস্টিরিয়া বা কনভাসন ডিসঅর্ডার, বর্তমানে এটাকে বলে ফাংশানাল নিউরোলজিক্যাল সিমটম ডিসঅর্ডার কনসেপ্টটা এত সুন্দর ভাবে একটি গল্পের আকারে এসেছে লেখক যা আমি রীতিমতো অবাক।

প্যারাসাইকোলজি বই কিন্তু একটা ফিকশন মনে হলেও পুরাপুরি ফিকশন ধরনের বই না। এতে রয়েছে পুরোপুরি সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা যা সত্যিকারে মানুষের জীবনে ঘটে থাকে ও একটি অস্তিত্ব আছে। শুধুমাত্র হিস্টিরিয়া বা কনভারশন ডিসঅর্ডার সম্পর্কে আমরা না জানার কারণে অনেক ভুল করে  থাকি। এই বইতে লেখককে ধন্যবাদ জানানো উচিত খুবই সুন্দর ভাবে এর ব্যাখ্যা আছেন যা আমার কাছে শিক্ষণীয় মনে হয়েছে।

শিক্ষণীয় মেসেজটা রিভিউতে আগে লিখলাম কারণ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেও অনেক কিছু আমাদের কাছে অজানা এখনো।
 এ বইটিতে অজানা একটা কনসেপ্ট যা লেখক পাঠকের কাছে নিয়ে এসেছে কেন হিস্টোরিয়া রোগ হয়, এর সিমটম কি, এক্ষেত্রে করণীয় কি আমাদের, এবং চিকিৎসা কি।

মনের ভিতর যে তীব্র কষ্ট তার শারীরিক উপসর্গ মাধ্যমে এ রোগটি পরিলক্ষিত হয়। 
তেমনি একটি রোগ হয়েছে  কেন্দ্রীয় চরিত্র পরি। তার মনের ভিতরে যে দ্বন্দ্ব ও মনের ভিতরে যে চাওয়া পাওয়া মোকাবেলা করতে না পারার ফলে পরি আক্রান্ত হয় ভয়ানক  এ  রোগে। 

কি হয়েছিল পরীর জীবনে, এমনকি হয়েছিল যা মনের ভিতরে  দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল , যা পরি নিজেকে নিজের সাথে মোকাবেলা করতে পারেনি। কি হয়েছিল এই মর্মান্তিক ঘটনা সমাপ্তি।

ইমরান তার বিবাহিত জীবনে পরিকে ভালোবেসে ঠিক যেন রূপকথার গল্পের মত। ইমরান স্বামী হিসেবে লেখক শিক্ষণীয় অনেক কিছু এই গল্পের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। 

লেখক এর ভাষ্যমতে জনপ্রিয় প্যারাসাইকোলজি বইয়ের চিরাচরিত পাঠকের ভালোবাসার ডাক্তার তরফদার সাহেবের আগমন হয় এ গল্পের মাধ্যমে। এই গল্প উনি এসেছেন যেন একজন বড় হৃদয় অভিভাবক হয়ে। 

আমাদের আর্থসামাজিক পেক্ষাপটে  মানুষের ভুল ধারণা ও ভুল চিকিৎসা কি  বিপদ ডেকে আনতে পারে যা গল্পে উঠে এসেছে।

লেখকে প্যারাসাইকোলজির বইয়ের মাধ্যমে যুগের পর যুগ পাঠকের মনে জায়গা করে থাকবেন এটা আমি বলতে পারি। এই ধরনের বইগুলো লিখতে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। 

প্যারাসাইকোলজি বই কেউ যদি একবার পড়া শুরু করে সে নিয়মিত মনের অজান্তেই আরো পড়তে আগ্রহ তৈরি হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ