তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল ২ বছর আগে থেকে। তার মানে তখন মেয়েটা পড়ত মাত্র ক্লাস ১০-এ!
যারা বুঝতে পারছেন না মেয়েটার কত ছোট ছিল, ক্লাস ১০ এ আমার বয়স ছিল ১৫/১৬! আপনাকে এখন হয়ত ম্যানিপুলেট করা কঠিন, ক্লাস ১০ এ থাকার সময় কী আপনি অনেক চালাক ছিলেন? ঠিকঠাক লাইফ ডিসিশন নিতে পারতেন? আমি নিতে পারতাম না!
তাই মেয়েটাকে গোল্ডডিগার হিসাবে চিন্তা না করে, আনভীর যে ক্লাস ১০ এ পড়া একটা মেয়েকে এপ্রোচ করে প্রেম করেছে, ম্যানিপুলেট করেছে, নিজে ম্যারিড এবং বাচ্চাকাচ্চা থাকলেও, সেইটার দিকে খেয়াল করেন।
সে যে ম্যানিপুলেট করার সময় মেয়েটাকে আশ্বাস দিয়েছে যে সে মেয়েটাকে বিয়ে করবে, সেইটা খেয়াল করেন। এইভাবেই সে ম্যানিপুলেট করে গেছে মেয়েটাকে।
শুনলাম মেয়েটার বাবা মা নিজেরাও বেঁচে নেই! ভাইবোনদের সাথেও অতটা বনিবনা নেই, এই কারণে আনভীরের জন্য আরো সহজ হয়েছে এত ছোট এবং হেল্পলেস মেয়েটার এডভান্টেজ নেয়া এবং তাকে ম্যানিপুলেট করে যাওয়া।
ক্লাস টেনে পড়া একটা মেয়ের দায়িত্বজ্ঞান একটা প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের মত হবে না, তাকে এত প্রভাবশালী একজন মানুষ যদি ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করে, সে ভুল করতেই পারে। আনভীর মেয়েটাকে নিজের উপর ডিপেন্ডেন্ট বানিয়ে রেখেছিল, ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে আর আলাদা একটা বাসায় রাখার মাধ্যমে। খুব সম্ভবত সে নিজেই যে মেয়েটাকে খুন করেছে অথবা আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে সেই কথাটা মনে করেন।
এই সহজ কথাটা আপনি না বুঝে এত ছোট একটা মেয়ের চরিত্র নিয়ে কেমনে ঘাঁটাঘাঁটি করেন? যখন এই বসুন্ধরা গ্রুপ পুরোটাই দাঁড়িয়ে আছে শাহ আলমের জমি দখল আর খুন খারাবির উপরে? তাদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেন কখনও? ঠিকই তো হাগার পরে বসুন্ধরার টিস্যুই ব্যবহার করেন!
ইন ফ্যাক্ট, ক্লাস টেনে মেয়েটার বয়সই ১৮ হওয়ার কথা না! তাইলে ২ বছর আগে থেকে প্রেমের মানে কী? মেয়েটা কি তখন আন্ডারএজ ছিল না? এই পয়েন্টটা কেন মাথায় ঢুকে না আপনাদের?
কিন্তু না, আমাদের চরিত্রহীন মিডিয়া মেয়েটার চরিত্র নিয়েই ঘাঁটাঘাঁটি করছে, আনভীরকে শেল্টার দেয়ার জন্য। রিপোর্টে এমনকি মেয়েটার বাবার নাম আর বাসার ঠিকানা দিয়ে দিলেও, আসামীর নামটার পর্যন্ত ধরতে পারছে না!
চরিত্রহীন, লোভী, অকম্মার ঢেঁকি, করাপ্টেড শুয়োর সব ।
অসংখ্য ধন্যবাদ শান্তনু কায়সার ভাইকে, সত্যটাকে তুলে ধরার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....