আলাউদ্দিন আল আজাদ (১৯৩২-২০০৯) একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, কবি ও নাট্যকার। তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস "তেইশ নম্বর তৈলচিত্র" যা ১৯৬০ সালে ছাপা হয়।
করাচীর এক আর্ট একজিবিশনে প্রথম পুরষ্কার পায় জাহেদ নামের এক তরুণ শিল্পীর 'মাদার আর্থ' বা 'বসুন্ধরা' নামের একটি তৈলচিত্র। একজিবিশনে তৈলচিত্রটির নম্বর ছিল তেইশ। এই তেইশ নম্বর তৈলচিত্র তথা ছবির পেছনে রয়েছে আরেক 'ছবি'র গল্প।
জাহেদ, ছবি, জামিল প্রতিটি চরিত্রই সুন্দরভাবে বিকশিত হয়েছে উপন্যাসটিতে। উপন্যাসটিতে সমাজের নোংরা দিকটিকে পাশ না কাটিয়ে পাঠককে সত্যের মুখোমুখি করানো হয়েছে।
আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে। শিল্পী যদি সংসারের বাঁধনে বাধা পড়েন, তাহলে নাকি তার সৃষ্টিকর্মের ধার কমে যায়। এই ধারণাটির পক্ষের ও বিপক্ষের মতামতগুলো ঔপন্যাসিক তাঁর নিজস্ব দক্ষতায় বিশ্লেষণ করেছেন।
পাশাপাশি সংসার জীবনে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সত্যের মোকাবেলা সত্যিকার ভালোবাসার মাধ্যমেই করতে হয়- এই বোধটুকু ঔপন্যাসিক সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।
ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটগুলোকে বর্তমান সময়ের সাথে খুব সহজেই মেলানো যাবে। এটিই উপন্যাসটির সার্থকতা। উপন্যাসটি একাধিক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।
১৯৭৭ সালে উপন্যাসটিকে চলচ্চিত্রে রূপদান করেন খ্যাতিমান পরিচালক সুভাষ দত্ত। "বসুন্ধরা" নামের ঐ চলচ্চিত্রের জাহেদ চরিত্রটি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন ববিতা, নূতন, সৈয়দ হাসান ইমাম, শর্মিলী আহমেদসহ আরো অনেকে। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীসহ মোট ছয়টি বিভাগে "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার" পায় চলচ্চিত্রটি।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....