আমাদের মনে রাখতে হবে যে,দাড়ি একটা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ।
যেটা অবশ্যই রাখা উচিৎ।
অনেক স্কলারগন দাড়ি রাখাকে ফরজ বলেছেন,কেউ কেউ ওয়াজিব বা কেউ কেউ কেউ সুন্নাত ও বলেছেন।
সুতরাং আমি এই ব্যাপারে মত দিতে চাইনা,কারন পাব্লিক তো আছে ওস্তাদ আর মাজহাবের গবেষণা নিয়ে।
আমাদের উচিৎ নিজে একটিবার গবেষণা করা।
এবার আসি মুল কথায়................
আমাদের দেশের কিছু ভাইয়েরা বলে থাকেন যে,অমুক দলের কর্মীদের মুখে দাড়ি নাই,তারা ইসলামের দাওয়াত দেয় কিভাবে?
অন্যদিকে ঐ সকল সুশীল ভাইয়েরা যখন শুনে কারিনাকাপুর আজান নিয়ে প্রশংসা করেছে,বা কোনো নাস্তিক বা বিধর্মী ইসলামের কোনো বিষয় নিয়ে ভালো মন্তব্য করেছে।
তখন সেই সকল সুশীল ভাইয়েরা তার প্রশংসা করতে করতে সোশ্যাল মিডিয়া কাপিয়ে তুলে।
অন্যদিকে যখন তারা হজ্ব করতে যায়,তখন মদিনা সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের মুখে দাড়ি না থাকলেও তার প্রশংসা করে।
এমনকি তারা যখন ইউটিউবে দাড়ি বিহীন বিভিন্ন ক্বারীর কোরআন তিলাওয়াত শুনে,তখন সেই সকল সুশীল ভাইয়েরা শুধু প্রশংসা নয় বরং তার তিলাওয়াত কপি করার চেষ্টা ও করেন বটে।
এই পৃথিবীর অনেক স্কলার আছেন, যাদের মুখে দাড়ি ছিলোনা বা এখনও নাই।
অথচ তাদের লেকচার গুলো শুনলে কলিজা শীতল হয়ে যায়।
আমি আবারও বলছি দাড়ি রাখতে হবে এটাই ফাইনাল।
তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে,দাড়ির চেয়ে ঈমানটা খুবই দামী।
অনেকের দাড়ি আছে তবে ঈমান নাই বা থাকলেও অনেক দুর্বল বা দাড়ি আছে কিন্তু গীবতখোর।
এই দাড়ি থাকলেও লাব কি? না থাকলেও ক্ষতি কি?
বরং আমাদের মনে রাখতে হবে,আগে পরিপূর্ণ ঈমানটা ঠিক করুন।তারপর আস্তে আস্তে বাকী আমল গুলো ঠিক করুন।
ফরজ নামাজ বাদ দিয়ে তাহাজ্জুদের পিছনে দৌড়াইয়েননা।
দাড়ি রাখার ব্যাপারে যেহেতু রাসুল সাঃ বলেছেন,সেহেতু দাড়ি রাখাটাই উচিৎ।
তবে একমুষ্টি বা কম বেশি নিয়ে স্কলারদের ভিতরে অনেক মতানৈক্য রয়েছে।
প্রিয় ভাইয়েরা...
আমরা দেখতে পাই যে,কিছু সুশীল সমাজের ভাইয়েরা বলেন।
অমুক দলের অমুকের দাড়ি নাই,সে কি করে ইসলামী দল করে ব্লা ব্লা ব্লা
অমুক দল ফাসিক কারন দাড়ি নাই (ওরে ফতোয়ারে)
মুলত আমাদের দেখা উচিত দলের প্রধানগন কেমন?
সেই অমুক দলের প্রধানদের মুখে দাড়ি নাই?
উত্তরঃ জ্বি অমুক দলের নেতাদের মুখে দাড়ি আছে।
তাহলে?
ছাত্রদের মুখে দাড়ি নাই কেন?
আরে ভাই যেই সমাজের কলেজ ইউনিভার্সিটির ছেলে মেয়ে গুলো অশ্লীলতার দিকে যাচ্ছে।
গান,বাজনা,গিটার নিয়ে যেই সমাজের ছাত্ররা রাত পার করে।
যেই সমাজের ছাত্ররা প্রেম, প্রীতি পরোকিয়ার মত খারাপ কাজ করে।
যেই সমাজের ছাত্রদের খাটের নিচে মদ,ইয়াবা,ফেন্সি,হিরোইন,অস্ত্র থাকে।
সেই কঠিন সময়ে যেই সকল ছাত্ররা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে,তাহাজ্জুদ আদায় করে।
ফরজ,নফল রোজা রাখে।
নেশা থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখে।
অবৈধ সম্পর্ক থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখে।
দৈনিক কমপক্ষে ১০টা হাদীছ শেখার চেষ্টা করে।
কোরআন তিলাওয়াত করে অর্থ সহ।
মা বাবা, সহপাঠী, বন্ধুদের সাথে ভালো ব্যাবহার করে।
গান,বাজনা এবং অশ্লীলতা থেকে বের হয়ে ইসলামী সংগীতের শিল্পীগোষ্ঠী তৈরি করে।
সেই সকল ছাত্রদের বা ছেলেদেরকে শুধু দাড়ির কারনে ফাসিক বা বিভিন্ন ট্যাগ দিতে কি একটিবার কলিজাটা কেপে উঠলোনা??
আমি তো নিজেই স্কীকার করি যে,যখন দাওরায়ে হাদীছ বা ইফতা পড়তাম।
তখন বাড়িতে গেলে বা কোথাও গেলে ২/১ ওয়াক্ত নামাজ ক্বাজা হয়েযেত।
অথচ আমার সেই সকল কলিজার ভাই গুলো কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়া অবস্থায় ও এক ওয়াক্ত নামাজ ক্বাজা করছেনা, বরং তার মা বাবা,সহপাঠীদেরকে নামাজের দাওয়াত দিচ্ছে।
আমার সেই সকল কলিজার ভাই গুলো জাহান্নামের ভয়ে কান্নাকাটি করে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মাদরাসায় মাহফিল হয় মাদরাসার সার্থে, কারন তখন কিছু টাকা কালেকশন হবে।(যদিও সেই টাকা মাদরাসার কাজেই ব্যাবহার হয়)
কিন্তু যেই সমাজে গানের অনুষ্ঠান হয়,যাত্রা পালা হয় উলঙ্গ মেয়েরা নাচানাচি করে।
সেই সমাজে আমার কলিজার ভাই গুলো গান এবং যাত্রা পালা বন্ধ করে দিয়ে তাফসীর মাহফিল করছে।(এমন অনেক মাহফিলের মেহমান আমিও ছিলাম)
সুতরাং শুধুমাত্র দাড়ির কারনে সেই সকল কাজ গুলো কি অস্বীকার করবেন??
আমরা দেখতে পাই যে,আস্তে আস্তে সেই সকল ছাত্র ভাইয়েরা দাড়ি রাখাছেন।
মনে রাখবেন!
মহান রবের সামনে আমাদের সকলেরই উপস্থিত হতে হবে,জবাব দিতে হবে আমাদের সকল কর্মের।
তাই বন্ধ করুন ফতোয়াবাজী।।
যেই সকল ভাইদের মুখে দাড়ি নাই,তারা দাড়ি রাখার চেষ্টা করি।
মহান রব আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ইসলাম অনুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন।
🖋️MG.রাব্বি ইসলাম
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....