শরীয়ত সম্মতভাবে চোখের আলো বৃদ্ধি করার উপায়

Post ID 111450


ঘুম থেকে উঠেছেন। ওঠা মাত্রই চশমা খোঁজা শুরু। চশমা ছাড়া চলাটাই দায়। চশমা ছাড়া নিজেকে অক্ষম মনে হয়। ঘড়ির টাইম দেখতে গেলেও চশমা লাগে। পত্রিকা পড়তে গেলেও চশমা ছাড়া পড়তে পারেন না। চশমা ছাড়া একটা মুহূর্তও চলে না।

এরকমটা কিন্তু ছিল না। ছোটবেলা ভালই দেখতে পেতেন। কিন্তু বড় হওয়ার পর ধীরে ধীরে চোখের জ্যোতি জানি কেমন কমে গেছে! যখন এটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন তখনই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন। ডাক্তার পরীক্ষা টরীক্ষা করে আপনাকে একটা চশমা দিয়ে দিল। ব্যাস, আপনিও সেই চশমাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়লেন। এখন চশমা ছাড়া আর চলতেও পারেন না। 

চোখের জ্যোতির সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হয়ে থাকে। অনেকেই কাছের জিনিস দেখতে পারে না। আবার অনেকে দূরের জিনিস দেখতে পারে না। কিন্তু সে ছোটবেলা ভালই দেখতে পেত। কিন্তু বড় হওয়ার পর ধীরে ধীরে তার চোখের জ্যোতি লোপ পায়। এজন্য সে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চশমা ব্যবহার করতে শুরু করে। আর সেই চশমা ছাড়া সে চলতেই পারে না। কারণ তার জ্যোতি কমে গেছে।

অনেকেই চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকে। আবার অনেকে বিভিন্ন ড্রপ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই এ ড্রপ ব্যবহারে খুব বেশি একটা ফলপ্রসূ হয় না। তখন ওই ব্যক্তি টা খুবই চিন্তিত হয়ে যায়। আর মনে করে হয়তো তার চোখের জ্যোতি আর ঠিক হবে না!
আরে চিন্তা কিসের! ড্রপ কাজ করেনি তো কী হয়েছে? চোখের ব্যাপারে রাসুল (সাঃ)এর ট্রিটমেন্ট  ফলো করে চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে নিন। আসুন, হাদীসের আলোকে জেনে নিই চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করার উপায়.....

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা শোয়ার সময় ইসমিদ সুরমা ব্যবহার করবে; কেননা তা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে অধিক  ভ্রু জন্মায়। (ইবনে মাজাহ- ৩৪৯৬) 

এ প্রসঙ্গে আরেকটি হাদীস রয়েছে—জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃআমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা ঘুমানোর সময় অবশ্যই ইসমিদ সুরমা ব্যবহার করবে। কেননা তা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে এবং চোখের পাতায় লোম গজায়।(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৪৯৬) 

এই হাদিসগুলো দ্বারা সুস্পষ্টভাবে জানা যায়—চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে ইসমিদ সুরমা অধিক কার্যকরী। তাই যাদের চোখে সমস্যা রয়েছে, যারা চোখে কম দেখেন তারা রাসুল (সাঃ) এর এই ট্রিটমেন্ট ফলো করতে পারেন। ইনশা'আল্লাহ এতে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পাবে। চশমা ব্যবহার করা কমে যাবে। 

ইসমিদ সুরমা— এটা সুরমার একটা প্রকার। সুরমাও কয়েক ধরনের রয়েছে। তন্মধ্যে ইসমিদ একটা প্রকার। তাই চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে ইসমিদ সুরমাটা ব্যবহার করতে হবে। যারা সুরমা বিক্রি করে তাদের কাছে ইসমিদ সুরমার কথা বললেই হবে। এটা কোথায় পাবেন? এটা যে কোনো দোকানে পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা আতর,গোলাপ, তাসবিহ, টুপি, মেসওয়াক ইত্যাদি বিক্রি করে তাদের কাছে পাবেন।

বি: দ্র: অসুস্থ চোখে সুরমা ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। অসুস্থ চোখ বলতে— চোখে জ্বালাপোড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ইত্যাদির ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া চাই। চোখের জ্যোতি কম হলে, ঝাঁপসা দেখার প্রকোপ থাকলে সুরমা ব্যবহার করতে পারেন ।সুরমা জ্যোতি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে কার্যকর; অসুস্থ চোখের ক্ষেত্রে নয়। 

|| শারঈ ট্রিটমেন্ট ||

লেখক-   মাহমুদ বিন নূর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ