বইয়ের নামঃ কুররাতু আইয়ুন ২
লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন
মাকতাবাতুল আসলাফ
বেশ কিছুদিন যাবতই মনে মনে কিছু ব্যাপারে ভাবছিলাম। যেমন বর্তমানে আমাদের নারী স্বাধীনতার নামে নানা কিছু করার হুজুগ বিদ্যমান। নারীদের শিক্ষিত করা, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে নারীশিক্ষার কথা বললেও এক্ষেত্রে নারীর প্রয়োজনীয় শিক্ষাগুলোই অনুপস্থিত। কোন প্রজন্মের দ্বীনিয়াত বজায় রাখার মূল দায়িত্ব নারীদের। কারন সন্তানরা তাদের কাছ থেকে শিখে। আবার প্রচলিত শিক্ষায় নারীদের পারিবারিক এবং বাসার ম্যানেজমেন্ট করার ব্যাপারটিও অনুপস্থিত। অতীতে এ ব্যাপারগুলো বড়দের কাছ থেকে শেখার সুযোগ থাকলেও সে জায়গায় বর্তমানে অনেক গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। ফলে উম্মাহ বিরাট এক খেদমত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা জিপিএ কেন্দ্রীক মানসিকতা লালন করি। তার কারিকুলামে কি আছে, কি শিখছে, কাদের সাথে মিশছে, তার শিক্ষার আউটপুট কি কিছু নিয়েই আমাদের ভাবনা। তাছাড়া যৌনশিক্ষার ব্যাপারে আছে এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
বইটিতে ডাক্তার সাহেব এই চিন্তাগুলোই ফুটিয়ে তুলেছেন। সাথে সমাধান কি হতে পারে সে ব্যাপারেও ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং কুরআন-হাদীসের আলোকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাছাড়া ডাক্তার-রোগীর মধ্যকার রসায়ন কেমন হওয়া তা পর্যালোচনা করেছেন। উম্মাহর শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের সাথে আমাদের আচরণগত এবং ব্যবহারিক পার্থক্য এবং এর ফলে আমাদের জীবনে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। শেষদিকে সশরীরে দাওয়াতের গুরুত্ব এবং কিছু পন্থাও আলোচনা করেছেন।
তবে তিনি তাবলিগের মাসতুরা জামাতের মন্দ দিকগুলো এড়িয়ে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতাগুলো সামনে না এনে একে স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখেছেন। তবে সর্বোপরি বইটি জীবনকে আরও দ্বীনমুখী করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....