মহাভারত বিশাল বড় একটা বিষয়। এটা নিয়ে আলোচনা করতে গেলেও আলোচনাটা হবে তেমনই বিশাল বিস্তৃত। কারণ মহাভারতের কাহিনি অনেক বিস্তৃত এর অসংখ্য চরিত্র। কাহিনির সাথে মিশে আছে ছোট বড় নানান গল্প।
তাই এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে ছোট করে বলা সম্ভব নয়।
সেই বিশাল মহাভারত নিয়েই লেখিকা মাধুরী দেবনাথের "মহাভারতের আখ্যান"।
আখ্যান একটি বিশেষ্য পদ। যার মানে-- গল্পের প্লট বা কাহিনী বা বিষয়বস্তু।
মহাভারত মহর্ষি বেদব্যাস কথিত কাহিনি, যা রচনা করতে ৩ বছর সময় লাগে। সেই মহাভারতের গল্পের প্লট বা বিষয়বস্তু ই এই বইয়ের আলোচনার বিষয়।
মহাভারত বলতেই যে জিনিসটি প্রথমেই মনে আসে তা হলো কৌরব ও পান্ডবদের যুদ্ধ। তবে এই যুদ্ধের আগেও আছে অনেক কাহিনি।
এসকল কাহিনি নতুন করে কিছু বলার নাই, যুগ যুগ ধরে শুনে আসছে একই ভাবে।
প্রাচীন যুগে লিখন পদ্ধতি তেমন আধুনিক ছিলো না, নানা বৈদিক সাহিত্য গুলো মুনি-ঋষিরা গুরু-শিষ্য পরম্পরা অনুসারে মৌখিক রুপে স্মরণ করে রাখতেন। সেই সময়টাতে আর্য ভাষা সংস্কৃত ঋষিদের মান্য ভাষার মর্যাদা পায়। বৈদিক যুগের পতনের ফলে প্রাচীন গুরু-শিষ্য পরম্পরায় স্মরণ রীতি লুপ্ত হয়। তারপর থেকে সমস্ত সাহিত্যকে লিখতরূপে সংরক্ষণের রীতি প্রচলিত হয়।
পন্ডিদের মতে মহাভারত প্রাচীন অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থায় পৌছানো কয়েকটি ধাপের মধ্যে দিয়ে আসে। গবেষকদের মতে, মহাভারতের রচনাকাল ৩ টি প্রারম্ভিক স্তরে বিভক্ত।
বইটার নাম দেখে মনে হয় মহাভারত নিয়েই লেখা তবে আকার দেখে মনে হবে হয়তো মহাভারতের ক্ষুদ্র কোন এক অংশ বা চরিত্র নিয়ে অল্প আলোচনা। কিন্তু বইটাতে পুরো মহাভারতের কাহিনি টা সংক্ষেপে তুলে এনেছেন লেখিকা, এবং তা প্রতিটি পর্বের আলাদা ভাবে আলোচনা । একই সাথে এর শুরুর কাহিনি, ভৌগোলিক সীমানার বর্ণনা, চরিত্র নিয়ে আলোচনা সবই আছে এই ছোট্ট বইটাতে।
যারা মহাভারত নিয়ে জানতে চান কিন্তু বিশাল বইটা পড়ে জানা সম্ভব নয় মনে করেন তারা বইটা পড়তে পারেন।
সহজ সরল সাবলীল আলোচনাতে চমৎকার ভাবে পুরো মহাভারতের কাহিনি টা আছে। আর বইটার পেজ বাঁধাই অসাধারণ। কেনার সময় মনে করেছিলাম প্রতিবেশীদের বই, এখন পড়ার সময় দেখি আমাদের বই। লেখিকার জন্ম মৌলভীবাজার।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....