বইয়ের নাম-মুমিনের বৈশিষ্ট্য লেখকের নাম-আব্দুর রশীদ (review with pdf)

Post ID 111478

বইয়ের নাম-মুমিনের বৈশিষ্ট্য
লেখকের নাম-আব্দুর রশীদ
বইয়ের মূল্য-৮০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা-১৬৮
প্রথম প্রকাশ-ফেব্রুয়ারী,২০০৯


মুমিনের বৈশিষ্ট্য বইটি ৩ টি পর্বে বিভক্ত যেখানে মোট ৭৪ টি মুমিনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।বইটি থেকে আমার ভালোলাগার কিছু অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করবো। প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত এই বইটি পড়ে সত্যিকারের মুমিনের বৈশিষ্ট্য কি শিক্ষা নিয়ে নিজেকে গড়ার।
বইটির প্রথম পর্বে প্রথম বৈশিষ্ট্যে লেখক মুমিনের যে সাতটি বিষয়ের প্রতি দৃঢ় ঈমান আনা উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যা আমরা ছোট থেকেই আমাদের পাঠ্যবইয়েও শিখে এসেছি।সেই ৭ টি বিষয় হচ্ছে-
১)মহান আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
২)তাঁর ফেরেশতাগণের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
৩)তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
৪)তাঁর রাসুলগণের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
৫)শেষ দিনের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
৬) ভাগ্যের ভাল মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে -এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
৭)মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা।

এরপর লেখক ইসলামের ৫ টি স্তম্ভের প্রতি নি:শর্ত  আনুগত্য করার ব্যাপারে বলেছেন-
১)মহান আল্লাহর একত্তবাদ বা তাওহীদ এবং হযরত মুহাম্মদ (স:) এর রিসালাতের সাক্ষ্য দেয়া
২)নামাজ কায়েম করা
৩)যাকাত আদায় করা
৪)রমযান মাসের রোজা রাখা এবং
৫)কাবা গৃহের হাজ্জ পালন করা।
এসবের সাথে এই কথাটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে কি করনীয় তা জানার পর তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করার সাথে সাথে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে,আমাদের জীবনে তার সঠিক প্রতিফলন থাকতে হবে।

কুফর,শিরক ও নিফাক(মনে মুখে এক না হওয়া) থেকে পবিত্র থাকা মুমিনের বৈশিষ্ট্যে।"আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন বা নাই করুন তাদের জন্য সমান,আল্লাহ কখনোই তাদের ক্ষমা করবেন না(সুরা-মুনাফিকুন-৬)

মুমিনের বৈশিষ্ট্য হল কুরআন শিক্ষা করা ও তা শিক্ষা দেয়া।কুরআনী শিক্ষাই হচ্ছে একমাত্র উত্তম শিক্ষা।এই মহা গ্রন্থ যেমন হেদায়েতের উৎস তেমনি ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক যাবতীয় কল্যাণের উৎস।এই গ্রন্থ মানুষের চরিত্রকে উন্নত করে,লোভ-লালসা, হিংসা বিদ্দেষ, অহংকার, মিথ্যা, জুলুম, পাশবিক আচরণ, অশ্লীলতা প্রভৃতি যাবতীয় অসৎ ও অন্যায় কাজ থেকে মানুষকে(মুমিনকে) পবিত্র রাখে।এ গ্রন্থ মানুষকে সকল প্রকার মানবীয় গুণাবলীতে ভূষিত করে এবং প্রকৃত মুমিন বান্দায় পরিণত করে।দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনের সার্বিক কল্যাণ এই গ্রন্থে নিহিত রয়েছে।তাই এই মহাগ্রন্থ শিক্ষা করা এবং তা শিক্ষা দেয়া মুমিনের সর্বোত্তম কাজ।নবী (স:) বলেছেন তোমাদের মধ্যে অই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে পবিত্র কুরআন শিক্ষা করে এবং তা অপরকে শিক্ষা দেয়।

বিদ্যাশিক্ষা করা ও জ্ঞান অর্জন করা মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।নবী (স:) বলেছেন তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জণ কর।জ্ঞানের উপর এ ঈমানের ভিত্তি।যার জ্ঞান যত গভীর তার ঈমান তত মজবুত।

মহান আল্লাহর ইবাদাতের পরই পিতা মাতার হক আদায় করা ফরজ কাজ,এটি মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।সন্তানের কাছে মহান আল্লাহর পরই মাতাপিতার স্থান।

সন্তানের হক আদায় করাও মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।আল্লাহ বলেন হে মুমিনগণ তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে এবং তোমার পরিবার পরিজনকে (সন্তান-সন্ততিকে) জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর(সুরা তাহরীম-৬)সুতরাং সন্তানকে সৎ শিক্ষা দেয়া ও চরিত্রবান করে গড়ে তোলার দায়িত্ব অবশ্যই পিতামাতার।

মুমিনের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক হক আদায় করা।স্বামী স্ত্রীর উভয়কেই একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত, আস্থাভাজন, নির্ভরশীল, বন্ধু সুলভ,সহানুভূতিশীল ও হিতৈষী হতে হবে।দাম্পত্যজিবনে উভয়ের অধিকার সমান হলেও তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ার দায়িত্ব স্বামীর উপর বেশি।

আত্নীয় সজনের হক আদায় করা মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।পবিত্র কুরআনে মাতাপিতার হক আদায় করার পরই আত্নীয় সজনের হক আদায়ের কথা বলা হয়েছে।আত্নীয় সজনের হক আদায় করা ফরজ।আত্নীয় সজনের হক সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন তুমি তোমার 
আত্নীয় সজনকে তার হক আদায় কর(সুরা রোম-৩৮)।নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ন্যায় বিচার করতে,সদাচরণ করতে এবং আত্নীয় সজনকে দান করতে আদেশ করেছেন(সুরা আন নাহল-৯০)

মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল প্রতিবেশীর হক আদায়।সকল শ্রেণির প্রতিবেশীর হক আদায়ে আল্লাহ বলেন তোমরা উত্তম ব্যবহার কর নিকটবর্তী ও দুরবর্তী প্রতিবেশীর সাথে।

মেহমানের হক আদায় করাও মুমিনের বৈশিষ্ট্য।উদারতা ও সম্মানের সাথে মেহমানদারি করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।মেহমান যে কেও হতে পারে,আত্নীয় অনাত্নীয়,পরিচিত অপরিচিত, মুসলিম অমুসলিম, বিশিষ্ট সম্মানিত ও সাধারন হতে পারে,যেই হোক বা যেমন ই হোক মেহমান সম্মান পাওয়ার যোগ্য।নবী (স:) বলেন যে আল্লাহ ও কেয়ামতকে বিশ্বাস করে সে জেনো মেহমানকে সম্মান করে(বুখারী)।

মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এতীমের হক।পবিত্র কুরআনে মানুষের ওপর যে ১০ টি হক ফরজ করা হয়েছে তার মধ্যে এতীমের হক অন্যতম।একটি সুদীর্ঘ আয়াতের একস্থানে বলা হয়েছে তোমরা এতীমের সাথে সদ্যবহার কর(সুরা নিসা-৩৬)

১৩ তম বৈশিষ্ট্যে পীড়িত ব্যক্তির হক আদায়ের কথা বলা হয়েছে।নিজের পরিবার, পাড়া  প্রতিবেশী এবং আত্নীয় সজনের মধ্যে কারো অসুস্থ হওয়ার সংবাদ জানতে পারলে ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ খবর নেয়া ও তার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া মুমিনের কর্তব্য।

চাকর বাকর ও শ্রমিকের হক আদায় করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য।নবী (স:) বলেছেন চাকর বাকর, গৃহ কর্মী ও শ্রমিক তোমাদের ভাই।আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন।সুতরাং তোমরা যা খাবে পরবে তাদেরকেও তা খাওয়াবে পরাবে।অতিরিক্ত কষ্ট চাপাবেনা।

মুমিনের ১৫ তম বৈশিষ্ট্যে জীব জন্তুর হক আদায়ের কথা বলা হয়েছে।মানুষের উপর মানুষের যেমন হক বা অধিকার আছে, মানুষের উপর জীবজন্তুরও তেমন হক আছে।ইসলামের বিধান অনুযায়ী এই হক আদায় করা প্রতিটি মানুষের জন্য ওয়াজিব, এই হক আদায় না করা এবং এর গুরুত্ত না দেয়া কবীরা গুনাহ।

মুমিনের ১৬ তম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সত্যবাদীতা,সত্যবাদীতা হচ্ছে একজন মুমিনের ঈমানের মৌলিক দাবী। মুমিনকে অবশ্যই মনে,মুখে ও কাজে সত্যবাদী হতে হবে।এর যে কোনো একটির অভাব হলে কেউ মুমিন হতে পারবেনা।নবী (স:) বলেছেন তোমরা সত্যবাদীতা অবলম্বন কর।সত্যবাদীতা সৎকর্মের দিকে নিয়ে যায় আর সৎ কর্ম জান্নাতের দিকে নিয়ে যায় (বুখারী ও মুসলিম)।

সত্যসাক্ষ্য মুমিনের অপর একটি বৈশিষ্ট্য।সত্য কথা বলার সাথে সত্যসাক্ষ্য দেয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনগণ তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায় সংগত সাক্ষ্য দেয়ার ক্ষেত্রে অবিচল থাকো যদিও তা তোমাদের নিজেদের বিপক্ষে হয় অথবা তোমাদের পিতা মাতা ও আত্নীয়সজনের বিপক্ষে হয়।

মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল পবিত্রতা। মুমিনের চরিত্র হবে নির্মল, নিষ্কলঙ্ক ও পবিত্র।মুমিনের চরিত্র হবে সাহাবায়ে কিরামদের চরিত্র ও জীবনাদর্শের প্রতিচ্ছবি।

মুমিনের ১৯ তম বৈশিষ্ট্য হল আমানতদারী। আমানতদারী ২ প্রকার,ঈমানের সাথে সম্পর্কিত আমানতদারী,আর জাগতিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত আমানতদারী।

লজ্জাশীলতা মুমিনের একটি অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য,ঈমানের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যা মানুষকে নানা পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।লজ্জা শরমের ফল সর্বদাই উত্তম(বুখারী)

২১ তম বৈশিষ্ট্য হল দানশীলতা,দানশীলতা হল নি:সার্থ ত্যাগ। আল্লাহ বলেন,হে ঈমানদারগন তোমরা যারা ঈমান এনেছো আমি তোমাদেরকে যে ধনসম্পদ(রিজিক) দান করেছি তা থেকে আমার পথে ব্যয় কর-সেই দিন আসার পূর্বেই যে দিন কোন কেনা বেচা চলবে না,কোন রকম বন্ধুত্ব ভালবাসাও কাজে আসবে না এবং কারো সুপারিশও গ্রহণ করা হবেনা(সুরা বাকারা -২৫৪)

মুমিনের ২২ তম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ন্যয়বিচার,এটি মানবজীবনের নিরাপত্তার ভিত্তি।নারী পুরুষ জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সকলের ক্ষেত্রেই ন্যয় বিচার নিশ্চিত করা ফরজ হোক তা ব্যক্তিগত বা আন্তর্জাতিক জীবনে।

ওয়াদা পালন মুমিনের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নি:সন্দেহে।নবী (স:) বলেছেন যে ব্যক্তি ওয়াদা পালন করেনা তার ধর্ম নেই।

ক্ষমাশীলতা মুমিনের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।নবী (স:) বলেছেন যে ব্যক্তি মানুষকে ক্ষমা করে দেয় আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন(তিরমিযি)।

মুমিনের ২৫ তম বৈশিষ্ট্য হল নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা।মুমিনের সকল কাজ ই ইবাদাত আর তা র্নিভর করে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার উপর।

২৬ তম বৈশিষ্ট্য হল পরোপকার।নবী (স:) বলেন 
সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহর পরিজন।আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তি অধিক প্রিয় যে ব্যক্তি তাঁর পরিজনের প্রতি অধিক অনুগ্রহশীল।

মুমিনের ২৭ তম বৈশিষ্ট্য হল ইবাদাতে মনোনিবেশ করা।মানুষকে বলা হয় আল্লাহর আবদ্ বা আল্লাহর দাস আর একমাত্র ইবাদাতের মাধ্যমেই আল্লাহর দাসত্ব করা যায়।

ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করা মুমিনের আরেকটি আদর্শ বৈশিষ্ট্য।মুমিনদের পরিচয় দিতে যেয়ে আল্লাহ বলেন, তারা তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সেজদারত থেকে এবং নামাজে দাঁড়িয়ে থেকে রাত কাটিয়ে দেয়(সুরা ফুরকান-৫৪)

মুমিনের ২৯ তম বৈশিষ্ট্য হালাল পথে উপার্জন করা।হযরত সা'দ (রা:) নবী (স:) এর কাছে আরজ করলেন "হে আল্লাহর রাসুল, আমার দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আপনি আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করুন।তখন নবী (স:) তাকে বললেন তুমি হালাল খাদ্য আহার কর,তাহলেই তোমার দোয়া কবুল হবে।"

হালাল পথে ব্যবসা বাণিজ্য করাও মুমিনের বৈশিষ্ট্য।বিশ্বস্ত সত্যবাদী মুসলিম ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন শহীদের সাথে থাকবে।

 আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করা বা আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হওয়া মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করলো তিনিই তার জন্য যথেষ্ট।

৩২ তম বৈশিষ্ট্য হল নিয়াত বিশুদ্ধ করা।যদি কোন মহৎ উদ্দেশ্যে কেউ কোন সামান্য কাজ করে তাহলে তার সামান্য কাজের বিনিময়ে সে মহৎ প্রতিদান ই পাবে,ব্যর্থ হলেও উত্তম প্রতিদান পাবে।

আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা মুমিনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।আল্লাহ বলেন যদি তোমরা শোকর গুজারি কর তাহলে আমি অবশ্যই নেয়ামত বাড়িয়ে দেবো,যদি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে আমার শাস্তি বড়ই কঠোর।

এই গুণাবলী গুলো ছাড়াও মুমিনের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো খুব সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করছি..
সত্য ও ন্যয়ের প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট থাকা,ভালকাজে আদেশ করা এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা,অপর মুসলমানকে নিরাপদ রাখা,একে অপরকে উপদেশ দেওয়া ও উৎসাহিত করা,মিতব্যয়ী হওয়া ও বাহুল্য ব্যয় না করা,সৃষ্ট জীবের সেবা করা,সদাচরণ করা,ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা,গরীব মিসকিনের হক আদায় করা এবং সুদিন ও দুর্দিনে দান খয়রাত করা,আমল-ই ছা-লিহ্ বা উত্তম কাজ করা,বাহুল্য কথা ও বাহুল্য কাজ পরিহার করা এবং চুপ থাকা,মুমিন ছাড়া অমুসলিম ও কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব না করা,পর্দা রক্ষা করে চলা,বিনা অনুমতিতে  কারো বাড়িতে প্রবেশ না করা,বিনয় ও নম্রতা,মিষ্ট ভাষন,বৃক্ষ রোপন,আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশা করা নিরাশ না হওয়া,ইস্তেগফার করা,মিথ্যা কথা ও মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়া,মিথ্যা কসম না করা,ওয়াদা ভঙ্গ না করা,খিয়ানত না করা,অপবাদ না দেয়া,গীবত না করা,কুটনামী না করা,দুমুখো নীতি অবলম্বন না করা,কার্পন্য না করা,ওজনে কম বেশী না করা,জুলুম না করা,রাগ না হওয়া,হিংসা না করা,অহংকার না করা,রিয়া না করা,গালিগালাজ না করা এবং অশ্লীলতা বর্জন করা,উপহাস বা বিদ্রুপ না করা,অভিশাপ না দেয়া,ঘুষ আদান প্রদান না করা,মজুদদারি না করা এবং মুনাফাখোরী না করা আর সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য হল চুরি ডাকাতি,খুন,ছিনতাই,রাহাজানি প্রভৃতি থেকে দূরে থাকা।

আমরা যারা জান্নাতে যেতে চাই তাদের জেনো উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রতি যত্নশীল হওয়ার তৌফিক আল্লাহ তায়ালা দান করেন।আমীন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ