বই:যেসব হারামকে অনেকেই তুচ্ছ মনে করে।
লেখক:শাইখ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ।
হে ঈমানদারগণ! জুমার দিবসে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়,তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং কেনাবেচা ছেড়ে দাও ।এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা জ্ঞান রাখ ।"......সূরা জুমআ: 09
অত্র আয়াত দৃষ্টে আলেমগণ আযান থেকে শুরু করে ফরজ নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেনাবেচা ও অন্যান্য সকল কাজকর্ম হারাম বলে উল্লেখ করেছেন। অনেক দোকানদারকে দেখা যায় তারা আজানের সময় ও নিজেদের দোকানে কিংবা মসজিদের সামনে কেনাবেচা চালিয়ে যেতে থাকে ।যারা এ সময় কেনাকাটায় অংশ নেয় তারাও তাদের সাথে পাপে শরীক হয় ।এমনকি তখন একটি মেসওয়াক কেনাবেচা করলেও ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই তাতে গুনাহগার হবে ।আলেমগনের জোরালো মতানুসারে এসময় কেনাবেচা বাতিল বলে গণ্য হবে ।অনেক হোটেল, বেকারি ,ফ্যাক্টরি, কল-কারখানা ইত্যাদির লোকেরা জুমার নামাজের সময় তাদের শ্রমিকদের কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য করে ।তাতে বাহ্যত তাদের কিছু লাভ দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিই বৃদ্ধি পায় ।
এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিম্নোক্ত উক্তি মোতাবেক আমল করা কর্তব্য ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন -
"আল্লাহর অবাধ্যতায় কোন মানুষের আনুগত্য করা যাবে না ।"
মুসনাদে_আহমদ ও সহীহ ইবনে হিব্বান
আল্লাহ আমাদেরকে উক্ত আমল করার তৌফিক দান করুন ।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....