বইঃ পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে মুহাম্মদ (সা.)
লেখকঃয় মো. আ. ছালাম মিয়া (হুমায়ন)
প্রকাশকঃ পিস পাবলিকেশন
Quality:- হার্ডকভার
প্রথম প্রকাশ:- 1st Published, 2021
Number of Pages 351
আল্লাহর রসুল (সাঃ) তাঁর চাচা আব্বাস (রাঃ) - কে মুগিস এবং বারিরাহ’র প্রেমকাহিনী সম্পর্কে বলেছিলেন,
"হে আব্বাস, তোমাকে অবাক করে না যে মুগিস বারিরাকে কত ভালবাসে আর বারিরাহ মুগিসকে কত অপছন্দ করে!"
.
মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসায় লজ্জার অনুভূতি বিলীন হয়ে যায়। মুগিস এবং বারিরাহ ছিল রসুল (সাঃ) - এর চাচা আব্বাস (রাঃ) – এর দাস এবং দাসী। আয়িশা (রাঃ) সেই দাসী মেয়েকে ক্রয় করে মুক্ত করে দেন। এই সূত্রে বারিরাহ তার দাস স্বামী মুগিসের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলে।
.
বারিরার প্রতি মুগিসের ভালোবাসা ছিল অকল্পনীয়। তাকে ছাড়া সে এক মুহূর্ত কল্পনা করতে পারত না। বারিরাহ বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেললে মুগিস বারিরার ভালোবাসায় মদিনার রাস্তায় রাস্তায় তার পেছনে পেছনে ঘুরত এবং পুনরায় বিয়ের আকুল আহ্বান জানাত। এমনকি তাঁর জন্য কাঁদতে কাঁদতে তাঁর দাঁড়ি ভিজে যেত।
নবীজি (সাঃ) - কে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে বলা হলে তিনি বারিরার কাছে যান। গিয়ে মুগিসের জন্য সুপারিশ করে বলেন, ‘তুমি মুগিসের কাছে ফিরে যাও, সে যে তোমার সন্তানের বাবা!’
বারিরা বলল, ‘আপনি কি আমাকে আদেশ করছেন, ইয়া রসুলুল্লাহ?’
রসুল (সাঃ) বললেন, ‘না না আমি তো কেবল সুপারিশ করছি!’
বারিরাহ উত্তর দিল, ‘আমার সুপারিশের প্রয়োজন নেই।’
.
রসুল (সাঃ) এরপর হজরত আব্বাস (রাঃ) -কে বলতেন, ‘হে আব্বাস, তোমাকে অবাক করে না যে মুগিস বারিরাকে কত ভালবাসে এবং বারিরা মুগিসকে কত অপছন্দ করে!”
.
বারিরা তার কাছে ফিরে যেতে রাজি হয়নি। নবীজি (সাঃ) এর পর নিরব থেকেছেন। আর মুগিস তার বাকি জীবন বারিরার জন্য কেঁদেই কাটিয়ে দেয়।
.
মুগিসের মাঝে ছিল সহজাত ও প্রাকৃতিক ভালোবাসা। যার নিয়ন্ত্রণ তার হাতে ছিল না। সে ইচ্ছা করলেও বারিরার প্রতি তার ভালোবাসা দমন করতে পারত না। তাইতো সে মদিনার পথেঘাটে বারিরার পেছনে পেছনে কেঁদে বেড়ালেও রসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে তা থেকে নিষেধ করেননি। বরং বারিরার প্রতি মুগিসের এহেন ভালোবাসায় নবিজি (সাঃ) তার জন্য করুণা অনুভব করেছিলেন।
.
ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন,
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....