বিয়ের দিনে হিজাব এবং হিজাব শুরু করার গল্প
💕লিখেছেন- ✍️
১. Rehnuma Bint Anis
২. Umme Mabrura Jahin
৩. Kaniz Fatima Chhanda
৪. Anika Warda Tuba
৫. Tamanna Afroz
৬. Fariza Binte Bulbul
এক.
এক বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। কনে আমার দুঃসম্পর্কের চাচাতো বোন।
মেয়েটা হিজাব পরেই বাইরে চলাফেরা করে। কিন্তু বিয়ের সময় এতগুলো মানুষের মাঝে তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে শুধু বিয়ের শাড়ি পরিয়ে। ছেলে মেয়ে সবায় কত আগ্রহ নিয়ে দেখছে। আমি ত অবাক।
চাচিকে বললাম - ওকে অন্তত একটা বড় ওড়না দিতে পারতেন।
চাচি বললেন - মা বিয়ের দিন থাকনা!
আর কিছু বললাম না। কিন্তু মেয়েকে যখন বিদায় দেই তখনও সে হিযাব ছাড়া। মন খারাপ হয়ে গেল। আবার চাচীকে বললাম তাকে হিজাব পরাতে। চাচী বললেন বিয়ের দিন থাকনা।
পর্দার বিধানে বিয়ের সময়কে পর্দার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে বলে ত আমার জানা নাই। কিন্তু প্রায় বিয়ের অনুষ্ঠানে এটা দেখা যায়।
আমার মতে বিয়ের দিনই পর্দার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়া দরকার। কেননা সেদিন কনে সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
সেদিন এক আত্মীয় বলছিলেন, ‘বাংলাদেশে এখন একটা ভালো ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, কোনো বিয়েবাড়ীতে গিয়ে এখন আর বোঝা সম্ভব না, এটা মুসলিম না হিন্দু বিবাহ’।
কী করে বোঝা যাবে?
সব তো একই পোশাক, একই সাজে সজ্জিত ! রীতি-রেওয়াজগুলোর মধ্যেও আর তেমন একটা তফাত দেখা যায়না। সিরিয়ালে যা দেখা যায় সেভাবেই সবকিছু সম্পন্ন করার উদগ্র আগ্রহ সর্বত্র। আমরা কোথায় চলেছি, কেনই বা চলেছি এ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কারো নেই। তবে এই গড্ডলিকা প্রবাহ আমাদের কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে চিন্তা করার সময় হয়ত শেষ হয়ে এসেছে।
এখনো যদি আমরা মাথাব্যাথার প্রতিষেধকের প্রয়োজন বোধ না করি পরে হয়ত মাথাটাই আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা!
দুই.
একটি ঘটনা বলি?
আজ কেন জানি লিখতে ইচ্ছা হলো জানিনা কেন তবুও লিখছি।
আমার ননদের যখন বিয়ে হলো, খুব জাকজমক পূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে। কমিউনিটি সেন্টার, ভিডিও, ক্যামেরা সব কিছুর সমারোহ ছিল। যখন ওকে স্টেজে বসানো হলো তখন সবাই সেখানে উপস্থিত ছিল। বড় ভাবী, মেজ ভাবী, শরিয়তের সকল হুকুম লঙ্গন করে পার্লার থেকে সেজেগুজে ভিডিওর সামনে ছিল সর্বদা উপস্থিত। এত মানুষের মাঝে ছোট ভাবি (আমি) ছিলাম না। কেউ আমাকে ডাকেওনি। আমি ছিলাম বোরকা পড়া, হাত মোজা, পা মোজা পড়া, স্টেজের এক কিনারে দাড়ানো।
ভিডিওর সামনে যাব না, ছবি তুলব না এটা আমি আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম।
বড় ভাবী, মেজ ভাবি সবাই স্টেজে ভিডিও করছিল। তাই ঐ দিন আমার ননদের শ্বশুড়বাড়ীর কেউ আমাকে চিনেওনি। সব জায়গায় বড় ভাবীকে প্রাধান্ন দেয়াতে মেজ ভাবী খুব রাগ হয়। সব কিছুতে বড় ভাবীকে কেন ডাকা হচ্ছে। তাকে কেউ পাত্তা দিচ্ছেনা কেন।
রাগ করে সে না খেয়েই সেন্টার ছেড়ে চলে যায়। বোরকা পড়ে আমি এক পার্শ্বে দাড়িয়ে ছিলাম। কেন আমাকে ডাকা হচ্ছেনা পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছেনা, এগুলো আমার কাছে একটুও কষ্ট লাগেনি।বরং বিধর্মীদের অনূকরণ থেকে হারামভাবে নিজেকে বাচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। সবাই বলছিল একদিনের জন্য বোরকা না পড়লে কি হয়? যাই হোক বউ বিদায়ের সময় হলো। জামাই বউয়ের গাড়িতে যাওয়া নিয়েও সমস্যা হলো কে যাবে? বড় ভাবী বলে ও যাবে বউয়ের সাথে।
আমার শ্বাশুড়ি বলছিল যাতে আমি যাই। ভাবী রাগ সে যাবে। যাই হোক সেই যায়। আমি বেচে যাই এক গাড়িতে বসা থেকে। তো সব কিছুর মাঝে কোন ভিডিও ক্যাসেট, ছবি কিছুতেই আমি ছিলামনা।যখন সবাই বিয়ের পর ক্যাসেট দেখে আমাকে খুজে। আমার ননদকে বলে তোমার ছোট ভাবী কোথায়? সবাই জেনে যায় যে, ছোট ভাবী পর্দা করে সে ভিডিও বা ছবি তুলেনি, ভাইয়াও তুলতে দেয়নি। তখন আমার প্রতি সবার সম্মান বেড়ে যায়। এখনো ঐ বাসার প্রতিটি মানুষ আমাকে অনেক আদর করে, অনেক সম্মান দেয়। কোন ভাবীকে ফোন দেয়না। কিন্তু আমাকে ফোন দিয়ে প্রায়ই খোজ নেয়।
কিছু জানার হলে জানতে চায়। যদিও ক্ষনিকের জন্য সব কিছুতেই আমাকে অবহেলা করা হচ্ছে, সম্মান দেয়া হচ্ছেনা, এমনটি ভেবেছিলাম। পুরোটা অনুষ্ঠানে আল্লাহর হুকুম মেনে চলাতে, বিনয় প্রকাশ করাতে আমার সম্মান এতটা বেড়ে যায় যা আমি এখনো পাচ্ছি। আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া। দুনিয়ার জীবনটাও এমন। আল্লাহ যাকে সম্মান দেন তাকে কেউ অপমানিত করতে পারেনা। দুনিয়ার নিকট কিছু সময়ের অপমানিত হলে ও আল্লাহর নিকট সে হয় সর্বদা সম্মানিত। আল্লাহ এই বিষয়টা আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুক।
তিন .
বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো...বিয়ের অনুষ্ঠান এমন হবে, বিয়ের সাজ এমন হবে...আল্লাহর রহমতে একটু করে হলেও ইচ্ছের সবগুলোই পূরণ হয়েছে, তবে কাঠখড়টা পোড়াতে হয়েছে অনেক বেশি!!
হিজাব করা নিয়ে এই জীবনে কম কথা শুনতে হয় নি...মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মঞ্চে আবৃত্তি করতে যাবার আগে আমাকে বলা হয়েছিলো, হিজাব খুলে আবৃত্তি করার কথা...মিডিয়াতে লেখালেখির কাজ যখন শুরু করলাম, আমাকে বলা হলো, 'এইখানে তো কেউ হিজাব পরে না, মানুষকে নাচাইতে এসে ঘোমটা দিলে হবে?'
আমার শ্বশুরবাড়ির দিকের একজন কী দুইজন বাদে কেউ হিজাব করে না...বিয়েতে সবাই অনেক করে অনুরোধ করলো, 'একটা দিনই তো মানুষ বউ দেখবে, একদিন হিজাব না পরলে কী হয়?'
কোন কিছুতেই আমি টলি নি...যতদূর শুনেছিলাম, কুষ্টিয়াতে এখন পর্যন্ত আমিই একমাত্র মেয়ে যে হিজাব পরে বিয়ের স্টেজে কনে সেজে বসেছিলো!! আমার যুক্তি খুব সাধারণ...আমি যেমন চলি, আমি সবসময়ই তেমন চলতে চাই...শুধু একদিনের জন্যে কেন আমাকে আমার নিজস্ব আইডোলজি থেকে সরে আসতে হবে? কেন মানুষের জন্যে আমি নিজের ভেতরের চেতনাকে জলাঞ্জলি দেবো?
চার .
আমি হিজাব করা শুরু করি লন্ডনে, এর আগে বাংলাদেশে থাকতে হিজাব নিয়ে কোন জ্ঞানই আমার ছিল না। এটা যে প্রত্যেক মুসলিম নারীর জন্য "অপশনাল" নাহ, বরং ৫ ওয়াক্ত সালাহ বা রমজানের রোজার মতোই "ফরয" একটা কাজ তা আমার চিন্তার শত শত মাইল দূরে ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ, লন্ডনে দ্বীন ইসলামের সাথে সত্যিকারভাবেই যখন পরিচিত হলাম, হিজাবের প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠলো। পরম মমতায় মাথায় কাপড় টেনে নিলাম।
এরপর একে একে স্কার্ফ, বোরকা সবই পরেছি এবং কন্টিনিউ করছি।
লন্ডনের তাপমাত্রা বাংলাদেশের তুলনায় বাড়াবাড়ি রকম কম!
সেখানে সামারে সবচেয়ে গরমের দিনটিতেও তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাংলাদেশে এবার পা দিয়েই বুঝলাম ২৩ ডিগ্রী চলছে। বসন্ত পার হয়ে গ্রীষ্ম আসতে না আসতেই তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রীও ছাড়িয়ে গেছে, সুবহানআল্লাহ! এই গরমের মাঝে অনেকেই আছেন, "গরম লাগে" বলে হিজাব করেন না, মাথার কাপড়টাও ঠিকমতো দেন না, আজ তো বাইরে যেয়ে দেখলাম অনেকের বুকের ওড়নাখানাও নেই!
আসলে কি, লন্ডনে এতোদিন হিজাব করে আসা এই আমিও কোনদিন এতো রোদের মাঝে, ফুটন্ত সূর্যের নিচে কালো বোরকা পরে হেঁটে অভ্যস্ত ছিলাম না। কিন্তু তবুও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সহজেই হিজাব রক্ষা করে চলতে পারছি।
আজ একটা ব্যাপার আবারো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারলাম, আমাদের সমস্যাটা "গরম"কে নিয়ে নয়, আমাদের সমস্যা আমাদের আক্বীদায় বা আমাদের "বিশ্বাসে"।
যার মনে এই ভয় আছে হিজাব না করার অপরাধে জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে, যে আগুনের উত্তাপ এই দুনিয়ার আগুনের চাইতে ৭০গুণ বেশি, সে কি আর গ্রীষ্মকালের গরমের ভয় পাবে?
আর যে জানবে এটাই মুসলিমাহর ভূষণ, তার সম্মান, তার মর্যাদা, সে ভালোবেসেই হিজাব করতে পারবে। আর যে হিজাবকে ভালোবাসবে, সে প্রচণ্ড রোদে ঘেমেনেয়েও হিজাব ধরে রাখতে পারবে।
After all, ভালোবেসে মানুষ কতো অসম্ভবকেই সম্ভব করে ফেলে, আর আল্লাহকে ভালোবেসে, রাসূলুল্লাহ (সা) ভালোবেসে, ইসলামকে ভালোবেসে সে সামান্য হিজাব করতে পারবে না তা কি হয়?
পাঁচ .
একটা সময় মনে হতো (পর্দা শুরু করার আগে) মাহরাম ছাড়া যে কোন ছেলের সাথে কাভার করে চলবো, কথা বলবো না , কিভাবে সব কিছু ম্যানেজ করবো তাহলে ? পড়াশোনার ক্ষেত্রেই তো কত হেল্প লাগে !! কত ইনফরমেশন জানার দরকার হয়, যা বান্ধবীদের কাছে সবসময় পাওয়া যায় না!!!
আমার কোন বড় ভাই ছিলো না। বাবাও অনেক ব্যস্ত থাকতেন ওনার অফিসের দায়িত্ব নিয়ে।
এমন সব হাবিজাবি চিন্তার মধ্যে একজন বড় আপুর (দ্বীনি বোন) সাথে কথা হচ্ছিলো। সারমর্ম টা দাঁড়ালো এমন.....
যাদের সাথে আল্লাহ পাক এত কঠিন পর্দা করতে বলেছেন, তাদের কাছে আসলেই আমাদের কোন প্রয়োজন রাখেন নাই। যে মিক্সিং টা হচ্ছে, যেটাকে আমরা প্রয়োজন ভাবছি, সেটা পুরোটাই আসলে অপ্রয়োজনীয়, শয়তানের ওসওয়াসা। আমরা এখান থেকে বের হতে পারছি না, তাই আল্লাহও আমাদের কে নন-মাহরাম দের প্রতি Dependent করে দিচ্ছেন।পর্দা নষ্ট করে যে হেল্প টা আমরা পাচ্ছি এখানে আল্লাহ'র সন্তুষ্টি, আল্লাহ'র বারাকাহ কতটুকু থাকে?
আলহামদুলিল্লাহ!! আপুর সাথে এই ডিসকাশনটা আমাকে আল্লাহ'র উপর তাওয়াক্কুল (ভরষা) করে এগিয়ে যেতে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছে।এর পর আল্লাহ তায়ালা ও আমার সামনে হাজার টা পথ খুলে দিয়েছেন। যেটা আগে আমি কখনো চিন্তাও করতে পারিনি।
আমাদের কাজ তাওয়াক্কুল করে লক্ষ্যের দিকে হালাল উপায়ে এগিয়ে যাওয়া..... বাকী কাজ আমাদের অভিভাবক আল্লাহ তায়ালার!!! সুবহানাল্লাহ!!!
ছয় .
গতকাল একটি মেয়ে আমার বাসায় এসেছিল ড্রেসের কালেকশন দেখতে। দেখালাম। ওগুলো নেড়েচেড়ে হঠাৎ বলল, আপনার পেইজে কিছু বোরকা দেখেছি, ওগুলো একটু দেখান না প্লিজ। আমি দেখালাম। দেখে বলল, একটু পরে দেখি? বলে সবগুলো পরে সারা ঘরে ঝলমলে মুখে হেঁটে হেঁটে দেখতে লাগল। একটা বোরকা একেবারে তার মাপমত হয়ে গেল। সেটা পরে তার এক্সপ্রেশন-এটা মনে হয় আমার জন্যই বানানো হয়েছে! বলে বলতে লাগল, আমার বাবা সৌদিতে থাকে। আমাকে সবসময় বলে বোরকা পরতে। আমি পরা শুরুও করেছিলাম কিন্তু ভাল লাগেনা বলে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আপনার বোরকাগুলো এত ভাল লাগে, আমি এখন থেকে বোরকাই পরব। বলে উচ্ছ্বলভাবে এটা নিব, ওটা নিব বলে বাছাই করা শুরু করে দিল!
প্রোডাক্টিভ মুসলিম ওয়েবসাইটের এক লেখায় পড়েছিলাম, ব্যবসা কেন করা উচিৎ- কারণ একজন ব্যবসায়ী সমাজকে ইনফ্লুয়েন্স করার ক্ষমতা রাখেন। মা খাদিজা (র) ছিলেন ব্যবসায়ী। ইন্দোনেশীয়া মুসলিমপ্রধান দেশ হবার পেছনেও নাকি রয়েছে মুসলিম বনিকদের ভূমিকা! আলহামদুলিল্লাহ! আমি আমার কাজটাকে প্রচন্ড ভালবাসি (smile emoticon) ।
সেইসাথে ঝট করে আমার অতীতের কথা মনে পরে গেল। আমিও বোরকা পরা শুরু করেছিলাম একদম পর্দা ফরজ হবার সময়েই। দাদুর বোরকা পরতাম। কিন্তু আফসোস! কেউ উৎসাহিত তো করেইনি, বরং বোরকাওয়ালী তকমা শুনতে হয়েছে অনেক। ওই এক বোরকাই পরে আড়াইটা বছর পার করে অবশেষে শয়তানের সহায়তায় বোরকা ছেড়ে দিলাম। এখন মনে হলে বড্ড খারাপ লাগে। তবে এই অভিজ্ঞতা আমায় একটা জিনিস শিখিয়েছে, ঈমানের ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুব প্রয়োজন। শয়তান এটা নিয়েই প্রথমে কাজ করে। একটা মানুষের উৎসাহের প্রয়োজন হয়। ধার্মিক পরিবেশে সে চারপাশের মানুষকে দেখে মোটিভেটেড হয়। কিন্তু যারা এরকম পরিবার পায়না তারা?
তাদের প্রয়োজন সুন্দর করে পর্দার দিকে আকৃষ্ট করা, একটা ইসলামিক এনভায়রনমেন্ট দেয়া যাতে করে হিজাবে সে কমফোর্ট ফিল করে, আর তাকে ইলম অর্জনে সাহায্য করা, এটাই তাকে পরবর্তীতে "কালো ভুত" হতেও কনফিডেন্স দেবে!
নেগেটিভ মেন্টালিটি নিয়ে পজিটিভ চেইঞ্জ আশা করাটা বোকামি।
আর তাই, হিজাব নিয়ে কটাক্ষ করে একটা মেয়ের কনফিডেন্স লেভেল নষ্ট করে পারতপক্ষে আমরা শয়তানের কাজটাই সহজ করি।
লিখেছেন-
১. Rehnuma Bint Anis
২. Umme Mabrura Jahin
৩. Kaniz Fatima Chhanda
৪. Anika Warda Tuba
৫. Tamanna Afroz
৬. Fariza Binte Bulbul
সংকলনে - বিবাহ একটি উত্তম বন্ধুত্ব।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....