ড্যান ব্রাউনের সৃষ্ট ‘রবার্ট ল্যাংডন সিরিজ’ এর পঞ্চম এবং সর্বশেষ থ্রিলার ‘ইনফার্নো’।

বইঃ ইনফার্নো (inferno)
লেখকঃ ড্যান ব্রাউন  (Dan Brown)

ড্যান ব্রাউনের সৃষ্ট ‘রবার্ট ল্যাংডন সিরিজ’ এর পঞ্চম এবং সর্বশেষ  থ্রিলার ‘ইনফার্নো’।
ড্যান ব্রাউন এর বাংলা অনুবাদ বই ইনফার্নো পিডিএফ ডাউনলোড


হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রবার্ট ল্যাংডন জ্ঞান ফিরে পেয়ে নিজেকে বাড়ি থেকে হাজার মাইল দূরে ইতালির ফ্লোরেন্সে আবিষ্কার করে। কীভাবে সে পৌঁছুল ওখানে, কোনো ধারণাই নেই তার; ডাক্তাররা তাকে জানায় সাময়িক এমনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে সে। গত কয়েকদিনের কোনো ঘটনাই তার মনে নেই। বিভ্রান্তি চরমে পৌঁছে যখন ল্যাংডন দেখতে পায়, হাসপাতালে তাকে মারতে গুলি চালায় এক নারী আততায়ী। কর্মরত ডাক্তার সিয়েনা ব্রুকসের সাহায্যে প্রথম বিপদটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও তার জ্যাকেটে পাওয়া বায়োহ্যাজার্ডের চিহ্নযুক্ত অদ্ভুত সিলিন্ডার প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়ায় তার সামনে, এর মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে এক প্রজেক্টর যাতে দেখা মেলে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বত্তিচেল্লির চিত্রকর্ম। আরো কিছু ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ল্যাংডন বুঝতে পারে, সমস্ত রহস্যের চাবিকাঠি আছে ইতালির মধ্যযুগীয় কবি দান্তে অলিঘিয়েরির কাছে। 

সিয়েনাকে নিয়ে ফ্লোরেন্স জুড়ে ছুটে বেড়ায় রহস্যের কিনারা করার আশায়। কিন্তু তাদের পিছনে পড়ে আছে এক আততায়ী এবং অজানা এক সংস্থা। ধীরে ধীরে জানতে পারে সমস্ত ঘটনার পেছনে হাত আছে উন্মাদ কিন্তু মেধাবী বিজ্ঞানী বার্ট্রান্ড জোবরিস্ট, যিনি পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে অভিনব এবং নৃশংস পথ বাতলে দিয়েছিলেন। ল্যাংডন বুঝতে পারে, মানবজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে আছে। রবার্ট ল্যাংডন কি পারবে আত্মহত্যার পূর্বে জোবরিস্টের রেখে যাওয়া ভিডিও এবং ক্লু থেকে আসল রহস্য উদ্ধার করতে?? ইউরোপ-এশিয়ার তিন শহর জুড়ে ল্যাংডনের সেই রোমাঞ্চকর যাত্রার বর্ণনা মিলবে ড্যান ব্রাউনের সর্বশেষ উপন্যাস ‘ইনফার্নো’তে।

ভালো লাগা কিছু উক্তিঃ

'' নরকের সব চাইতে অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গাটি তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে যারা ভালো আর মন্দের সংঘাতের সময় নিজেদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখে ''

'' এটা অ্যাপেলো আর ডায়ানিসাসের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মিথলোজির বিখ্যাত সংকট। মস্তিষ্ক আর হৃদয়ের চিরন্তন যুদ্ধ। খুব কম সময়ই তারা একই জিনিস  দাবি করে ''

''মানুষের পক্ষে চিন্তা না করে থাকাটা শারীরিকভাবে অসম্ভব ব্যাপার। আত্মা আবেগ চায় আর এটা বিরামহীনভাবেই আবেগের সে জ্বালানি সরবরাহ করে ভালো মন্দ যাই হোক না কেন ''

'' প্রকৃতি জনসংখ্যাকে সহনশীল পর্যায়ে রাখতে ঠিকই একটি পদ্ধতি বেছে নেয়- দুর্ভিক্ষ, বন্যা ''

''যখনই বিশ্বের সব জায়গায় এমনভাবে মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে যে তারা বুঝে উঠতে পারবেনা কোথায় যারা আছে অথবা অন্য কোথাও যেতে পারবে না.. তখন এ পৃথিবী নিজেই নিজেকে শুদ্ধ করে নেবে ''

''অনুসরণ করে চলে যাও ঐ ডুবন্ত প্রাসাদে ওখানে  অন্ধকারে থানিক দানব প্রতিক্ষায় আছে
 ডুবে আছে সেই রক্ত লাল জলাধারে''

 '' আমি সেই ছায়া.. বিচরণ করি বিষাদময় শহরে আজন্ম বিষাদের মধ্য দিয়ে আমি খুঁজে বেড়াই সেখানে ''

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ