বইঃ আঁধারে ঢাকা ভোর (দর্পণ একটি পরিবার ও সমাজের)
লেখকঃ মজলুম আদিব(রাসেল সালেহ)।
সাহিত্যচর্চা প্রকাশনী।
মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০টাকা।
সূচিপত্র___________________________________
১।নেক সুরতে শয়তান
২। হারাম রিলেশন সে তো পাপের মহড়া
৩।ছেলে মেয়ে বন্ধু নয়।
৪।কে তুমি হুজুর হুজুরানী!
৫।বিয়ে যখন হবে কঠিন
৬।নেক সন্তান যদি চাও জীবনে
৭।পরকীয়া শুধু একটা পরিবার নয়
৮। ডিভোর্স হয়তো একটা শব্দ কিন্তু মিশে আছে কয়েকটা জীবনের ধ্বংস
৯। আত্মীয়তার সম্পর্ক
১০।দুআ করে হতাশ কেন?
১১।কিছু কথা অমলিন
সমাজে পচন ধরেছে। পচনটা আগায় ধরলে হয়তো ততটা ক্ষতি হতো না, যতটা ক্ষতি হয়েছে মূলে ধরাতে।
ইসলামকে যুগে যুগে কলুষিত করতে আগমন ঘটেছে অনেক মানুষ রূপী নরপশুর। এদের চালাকি ধরা শুধু মুশকিল নয়, না মুমকিন। কারণ এরা ইসলামের ক্ষতি করে ইসলামের ছায়াতলে সুন্নতি লেবাসে। এদের দেখে চিনা বড্ড কঠিন। অথচ এরা ইসলামের ক্ষতি করে যাচ্ছে ইসলামকে সমানে ধরে।
এদের সুরত খুব ভয়ংকর। কখনও বন্ধু সাজবে কখনও প্রিয়জন।
সম্পর্কটা শুরু এভাবে, 'আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি?' কখনও কখনও এদের মুখে ইসলামের সুমিষ্ট বুলি। তবে এদের দিল পূর্ণ নেফাকে। এরা আলোর সন্ধান দিতে এসে নিয়ে যাবে আঁধারে, জীবন ভাসিয়ে দিবে ধ্বংসের সাগরে।
সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারলেই যেন কার্যসিদ্ধি ঘটে। তাই পরকীয়া নামক জঘন্য কাজে লিপ্ত করে সমাজে সৃষ্টি করেছে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি।
সমকালীন এমন দশটি বিষয় ও একটি পরিশিষ্ট নিয়ে এই ক্ষুদ্র আয়োজন। যা শুধু আমাদের ব্যক্তি জীবনকে ধ্বংস করে না।ধ্বংস করে সমাজ জীবনকেও।
চোখ মেলে তাকালেই যেন এমন সব ভয়ংকর জিনিস গুলো আমাদের সামনে ভেসে ওঠে নতুন আঙ্গিকে নতুন রূপে।
হারাম রিলেশন , ছেলে মেয়ে বন্ধুত্ব, ডিভোর্স, পরকীয়া এসব জেনে মিশে আছে আমাদের জীবনের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
কেমন ছিলো
আমাদের প্রিয় রাসুল (সঃ) তাঁর অনুসারী সাহাবী আর তাবেঈনদের জীবনী!
আমাদের বর্তমান জীবন আর তাঁদের সমাজ জীবনের ঘটনাবলীর আলোকে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আল্লাহ আমাদের সকলকে কথাগুলো বুঝার, মানার তৌফিক দিক। আর বেঁচে থাকার শক্তি দিক এমন সব অসার কাজ থেকে। তৌফিক দিক আত্মীয়তার সম্পর্ক দৃঢ় করে পরকীয়া মুক্ত একটা হালাল জীবন উপভোগ করার।
ঘুনে ধরা সমাজের আনাচে-কানাচের প্রতিটি যুবক-যুবতিদের জন্য "আঁধারে ঢাকা ভোর" বইটি আলো নিয়ে এসেছে। শুধু যুবক-যুবতী নয়। প্রত্যেকের জন্যই বইটি শিক্ষামূলক। প্রত্যেকটা বার্তাই দ্বীনের পথে ফেরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আধুনিকতার করালগ্রাসে ডুবে আছি অন্ধকারে। আমাদের এই জাস্ট ফ্রেন্ড আর বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার থেকে আরো অন্ধকারে। বর্তমানের এ সময়ে ফেতনা থেকে আমরা কেউই মুক্ত নই।
কোনো না কোনো ভাবে ফেতনা আমাদের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। ছেলে-মেয়ের অগাধ মেলামেশা, ঘুরাফেরা সবকিছুই যেন অতি সাধারণ বিষয়। অথচও ইসলামে বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসাকে হারাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু অনেকেই হারামে আরাম খুঁজে পেতে চায়। অপবিত্রতায় কখনো পবিত্রতা খুঁজে পাওয়া যায়না।
কারণ আমরা যে ভুলে গেছি কুরআনের অমিয় বানী। আমাদের দিল যে ঢেকে গেছে পাপে। আমরা তো লিপ্ত ছলনা আর ধোঁকাবাজিতে। আমাদের সমাজে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা। আর কঠিন করা হয়েছে বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনকে।
আমরা নেক সন্তান পেতে চাই। অথচও সেই অনুযায়ী আমল বা দোয়া করি না৷ যা পাই তা খাই। হালাল-হারাম যাচাই করিনা। সময়টা যেন দ্রুত কেটে যায় সেই জন্য সিরিয়াল দেখি পালা করে। অথচ আমাদের রাসূল বলেছেন সন্তান সম্ভবা হলে কুরআনি আমল বাড়াতে। বাড়াতে তাসবিহ তাহলিল।
আমরা নেক সন্তানের আশা করি। অথচ নিজের মা বাবার মুখের খাবার কেড়ে নেই। তাদের শেষ ঠিকানা করে দেই পথ, ঘাট, রাস্তা কিংবা বৃদ্ধাশ্রম।
বিয়েকে যেভাবে কঠিন করা হচ্ছে। ঠিক তেমনি ডিভোর্সের সংখ্যাও অত্যধিক। লেখকের লেখনীতে বর্তমান সমাজের প্রতিটি ব্যাধি ফুটে উঠেছে।
“আঁধারে ঢাকা ভোর” বইটিতে লেখক প্রতিটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। যা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে চলছে। কুরআন হাদিসের আলোকে লিখেছেন প্রতিটা কথা। বর্তমান সমাজব্যবস্থার সাথে খুব সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন সাহাবা তাবেঈনদের ঘটনা। বইটিতে প্রত্যেকের জন্য রয়েছে হৃদয় ছোঁয়া একেকটা বার্তা।
আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন তাঁর কলম ও মেধায় বরকত দান করুন। তাঁর লেখনী থেকে সমাজের মানুষকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন৷
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....