বই:এক্স ওয়ার্ল্ড।
লেখক:বদরুল আলম।
প্রকাশনী:অনির্বাণ।
ধরণ:সায়েন্স ফিকশন।
পৃষ্ঠা:৯৫।
মুদ্রিত মুল্য:১৭৫টাকা।
___________________________________________
বই আলোচনা-
বইয়ের শুরুটা হয়েছে কয়েকজন সাহসী,নির্ভীক,অদম্য যুবক-যুবতীকে নিয়ে।তারা সমুদ্র পথে ছোট একটি বোটে করে পৃথিবী ঘুরে বেড়াবে।এতে তাদের মৃত্যু হলেও তারা নির্ভয়ে মেনে নিবে।তবে তাদের যাত্রার মাসখানেক পর তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে এবং হতাশায় পরে যায় এবং পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।আর তখনই সমুদ্রে শুরু হয় তোলপার।ঝড়ে তাদের বোট পুরোপুরি উল্টে যায়।তাদের মধ্যে একজন ছিলো রয়েল।তার যখন জ্ঞান ফিরলো তখন সে নিজেকে এক অদ্ভুদ জায়গায় আবিষ্কার করলো।জায়গাটার চারদিকে স্বচ্ছ কাঁচ দ্বারা বেষ্টিত।যার বাহিরে শুধু পানি,এবং সামুদ্রিক জলজ প্রাণী এবং মানুষের মতো দেখতে তবে মানুষ নাহ এমন কিছু প্রাণীকেও দেখতে পায়।আর কিছুক্ষণ পরে জানতে পারে এই জায়গাটির নাম এক্স ওয়ার্ল্ড।আর এই এক্স ওয়ার্ল্ড জায়গাটা নিয়েই বইটি লেখা।যা ২২৫০সালের আধুনিক কিছু যুবক-যুবতিদের ভাবনার কথা ভেবে লেখা হয়েছে।
রয়েল আরো জানতে পারে এক্স ওয়ার্ল্ড সমুদ্রপৃষ্ঠের ২০কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত।আর মানুষের মতো দেখতে উভচর প্রাণীগুলো বিজ্ঞানের দিক থেকে মানুষের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে।আর কিছুদিন পরে জানতে পারে রয়েলের বান্ধবী সুজানাও এখানে আছে।আর তারপর তাদের একত্রে থাকার ব্যবস্থা হয়।তারা এক্স ওয়ার্ল্ড ঘুরে দেখে অবাক হয়।সমুদ্রপৃষ্ঠের এত গভীরেও কীভাবে সৃর্য দেখা যায়?কীভাবে চাঁদ উঠে?বড় বড় পার্ক,হসপিটাল,কফিশপ,শপিংমল কীভাবে সম্ভব?পরে তারা জানতে পারে এগুলো সবই কৃত্রিম ভাবে বানানো।আর এদিকে এক্স ওয়ার্লডের প্রধান ভাবছেন অন্যকিছু।পৃথিবীর এই দুজন মানুষকে কী করা যায় তা নিয়ে।তারা ভাবে এদের হুবহু রোবট বানিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়ে আস্তে আস্তে পৃথিবীটাকে নিজেদের নিয়ন্তণে আনার।তাই রয়েল ও সুজানার হুবহ কপি রোবট বানায় তারা এবং তাদের দুজনের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে রোবটের মস্তিষ্কে তা স্থাপন করে।কিন্তু এক্স ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে প্রবীণ মনে মনে ভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তব হলে পৃথিবীর মানুষদের সাথে এক্স ওয়ার্ল্ডের সাথে সংঘাত সৃষ্টি হবে।এতে করে এক পক্ষ ধ্বংস হবে অথবা দুই পক্ষই ধ্বংস হয়ে যাবে।তাই তিনি এক্স ওয়ার্ল্ডকে রক্ষা করতে রয়েল ও সুজানাকে একটি ঔষধ দেন যেটা খেলে তারা মৃত্যুবরণ করবে এবং রয়েল ও সুজানার হুবহু তৈরি রোবটকে সাথে নিয়ে প্রবীণ এক্স বোমা বিস্ফোরণ করে মারা যাবেন।ফলে রয়েল ও সুজানার জীবনের বিনিময়ে রক্ষা পাবে পৃথিবী এবং রোবট ও প্রবীণ এক্সের ধ্বংশের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে এক্স ওয়ার্ল্ড।
এটিই ছিলো মূলত বইয়ের কাহিনী।সায়েন্স ফিকশন বই হিসেবে খুবই ভালো ছিলো বইটি।বইটি পড়ার সময় মনের ভিতরে একটা আকাঙ্খা তৈরি হবে।গল্পের শেষ কী হয়েছিলো সেটা জানার।আর এজন্যই প্রতি পৃষ্ঠায় ছিলো আকর্ষণ।এক কথায় বইটি পড়া শুরু করলে শেষ না করে আর ভালো লাগবে নাহ।মনে হবে শুধু কী হয়েছিলো শেষে।তাই পড়ে ফেলুন এক্স ওয়ার্ল্ড বইটি।সায়েন্স ফিকশন হিসেবে যতটা আশা করেন ততটুকু পাবেন সাথে বইটি পড়ার সময় রহস্যের চাদরেও আবৃত থাকবেন।
হ্যাপি রিডিং।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....