ব্লাডস্টোন PDF Download : নাজিম উদ দৌলা) - Bloodstone pdf download Nazim Ud Daula pdf

বইয়ের নাম:ব্লাডস্টোন
লেখক:নাজিম উদ দৌলা
প্রকাশকাল:আগস্ট ২০১৫
নতুন সংস্করণ:জানুয়ারি ২০২০
প্রচ্ছদ:নাজিম উদ দৌলা
আদী প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য:৩৯৫
পৃষ্ঠা সংখ্যা:৩০৪
mukta jannat

(ব্লাডস্টোন: নাজিম উদ দৌলা) - Bloodstone: Nazim Ud Daula pdf




নামকরণ:ব্লাডস্টোন নামটা প্রথমে দেখে অনুমান করতে পারি নাই আসলে ব্লাডস্টোন জিনিস টা কি?উপন্যাস পড়তে পড়তে সক্ষম হই ব্লাডস্টোন আসলে কি জিনিস। বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ার সাথে সাথে মনে হয় লেখক উপন্যাসকে ব্লাডস্টোন নামকরণ করেছে যা এই উপন্যাসের জন্য একদম উপযুক্ত নাম কারণ উপন্যাসটি শুরু হয় হারিয়ে যাওয়া ব্লাডস্টোন কে নিয়ে। এতে করে উপন্যাসটির নামকরণ যথার্থ।
প্রচ্ছদ :বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না সত্যি প্রচ্ছদ টা মন কেড়ে যাওয়ার মতো। প্রচ্ছদের মধ্যে যেন বইয়ের অনেক কিছু উঠে এসেছে। একজন লেখক একাধারে কত কিছু তা নিয়ে আমি চিন্তা করে লেখক স্বয়ং তার বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন। চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখা, বইয়ের প্রচ্ছদ, আর লেখালেখি তো কথায় নাই সব যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ।

কাহিনী আলোচনা:সবার সামনে দিন দুপুরে চুরি হয়ে যাই ব্লাডস্টোন। ব্লাডস্টোনের সামনে ছিলো অনেক মানুষ কিন্তু কেও কিছু জানে না। তার কারণ কি?এত মানুষের সামনে থেকে কি করে এত মূল্যবান জিনিস চুরি হয়ে যেতে পারে?তার রহস্যের সমাধান করতে হাজির হয় ডিবির ইন্সপেক্টর মনসুর হালিম। পেয়ে যাই একটা চিরকুট যেখানে লিখা ছিল অ্যামিতিস তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু কে রেখে গেল এই চিরকুট?চোর নিজে নাকি অন্য কেও?রহস্যের গোলধাঁধায় ডুকে মনসুর হালিম হাজির হয় ইতিহাসের শিক্ষক ড.রুদ্র রাশেদের কাছে। দুইজনে সহযোগিতায় খুলে গেল আড়ায় হাজার বছরের ইতিহাস।একে একে তলিয়ে গেলাম ঐতিহাসিক রহস্যের সাগরে। ব্লাডস্টোন যার শুরু আড়ায় হাজার বছর আগে ব্যাবিলনের শূণ্য উদ্যানে।কিন্তু শুরু ব্যাবিলনে হলে ও এই সাথে ঘিড়ে রয়েছে অনেক রহস্য।ইতিহাসের অনেক কিছু আলেক্সান্ডারের মৃত্যু,মুঘল বাদশা হুমায়ূনের দিল্লি পুনদর্খলের ইতিহাস, বারো ভুঁইয়া ইশা খাঁ, প্রতাপাদিত্য দ্বৈরথ,কিংবদন্তী নিকোলো পাগানিনির সুরের সাধনা সব কিছু ঘিরে রয়েছে ব্লাডস্টোন।

কিভাবে জন্ম হয় এই ব্লাডস্টোনের?ব্লাডস্টোন মহামূল্যবান জিনিস কেন?কি দিয়ে তৈরি এই ব্লাডস্টোন?যুগ যুগ ধরে কিভাবে ঠিকে আছে এই ব্লাডস্টোন?কে বা চুরি করতে চাই এই ব্লাডস্টোন? কেন বা চুরি করতে চাই?তার উদ্দেশ্যে কি শুধু কি চুরি করা নাকি অন্য কিছু?ব্লাডস্টোন আদৌ কি অভিশাপ?সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে ব্লাডস্টোন। মনসুর হালিম আর রুদ্র রাশেদের সাথে হারিয়ে যেতে হবে ঐতিহাসিক রহস্যের পেছনে।

লেখকে নিয়ে কথা:লেখক ইতিহাস তুলে আনতে গিয়ে যতটা সম্ভব সত্যের কাছাকাছি গিয়েছেন।যার জন্য লেখকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। যা আমরা ব্লাডস্টোন পাঠ করে বুঝতে পেরেছি। লেখক অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০১৫ সালের মে মাসে উপন্যাসটি লিখা শেষ করে ৭৮০০০ শব্দের মধ্যে কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যাই আর পাণ্ডুলিপি গায়েব হয়ে যাই তারপরে কিন্তু লেখক হার মানেনি যেখানে ৫০০ শব্দের কিছু ডিলিট হয়ে গেলে আমাদের কতটা কষ্ট হয় সেখানে লেখক ৭৮০০০ শব্দের এইটা উপন্যাস শেষ লেখকের কি অবস্তা হয়েছিল তখন। তারপর ও তিনি আবার নতুন করে লিখা শুরু করলেন পরের উপন্যাস হয় ৭২০০০ শব্দের কি ছিল বাকি ৬০০০ শব্দের তা লেখকের ও জানা নাই। লেখকরা এত পরিশ্রম করে একটা উপন্যাস লিখে আমরা কি তাদের জন্য একটা রিভিউ ও লিখতে পারবো না?রিভিউ লিখতে না পারি কেমন লাগলো তা তো জানাতে পারি তাই না?তাই সবার কাছে অনুরোধ পাঠ অনুভূতি জানানোর জন্য। আমাদের কিছু শব্দের অনুভূতি লেখকদের কাছে লিখার শক্তি ।
পাঠ প্রতিক্রিয়া :থ্রিলার জিনিস টা আমাকে বরাবরে মুগ্ধ করে। আপনার মিথ্যা তুমি দশ পিপড়া বই টা পড়ে আমি আপনার ভক্ত হয়ে গেছিলাম যার কারণে ব্লাডস্টোন কিনার ইচ্ছা ছিল গিফট পেয়েছিলাম ব্লাডস্টোন। এই উপন্যাস টা ও আমাকে দারুণ মুগ্ধ করে তুলেছে। উপন্যাস টা পড়তে পড়তে আমার মনে হয় জন্য সব যেন আমি দেখতেছি ইতিহাসের অনেক কিছু যেন আমার চোখের সামনে। আমার ছোট থেকে ইতিহাস জিনিস টা একদম ভালো লাগতো না কিন্তু আপনার এই উপন্যাস টা পড়ে ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম ইচ্ছা করতেছে ইতিহাসের বইগুলো পড়ে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো, অনেক কিছু জানার অদম্য ইচ্ছা হচ্ছে মনের মধ্যে।আমার মতো একটা মেয়ে যে ইতিহাস একদম পড়ে না তার মনে ইতিহাসের প্রতি ভালোলাগা ভালোবাসা জন্ম দিয়েছেন এতে আমি একান্ত নিজেরে মতামতে বলতে পারি আপনার লিখা আমার কাছে সার্থক। আমার মতো অনেক পাঠকের কাছে ও হয়তো আপনার লিখা সার্থক।এই ধারাবাহিতা ধরে রেখে এভাবে নতুন কিছু উপহার দিয়েন পাঠকের মাঝে। ব্লাডস্টোন পাঠক প্রিয় হোক এই প্রত্যাশা। চারিদিকে চড়িয়ে পড়ুক ব্লাডস্টোনের আলো।ব্লাডস্টোন পড়তে পড়তে মনসুর হালিমের চরিত্র মাঝে মাঝে আনন্দ দিয়েছে। মনসুর হালিমের নামের কারণ টা দারুণ ছিল।

পরবর্তী বইয়ের জন্য
শুভ কামনা
। ইনশাল্লাহ একদিন লেখকের সব বই আমার কাছে থাকবে। আপনি আমার প্রিয় লেখকের মধ্যে একজন ভাইয়া। এইভাবে লিখে যান।
যারা যারা এখনো ব্লাডস্টোন পড়েন নাই পড়ে নিয়েন সত্যি অসাধারণ একটা বই। মানুষ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ