boi :- Horbola By Dibakor Das, হরবোলা-দিবাকর দাস

বইয়ের নাম   :-হরবোলা
লেখক   :-দিবাকর দাস
প্রকাশনী    :- ভূমি প্রকাশ
ধরন   :-এসপিওনাজ থ্রিলার
প্রথম প্রকাশ   :- ফেব্রুয়ারি, ২০২০
পৃষ্ঠা সংখ্যা   :- ১৬০
মুদ্রিত মূল্য  :- ২৪০ টাকা (মাত্র)

boi :- Horbola PDF Download By Dibakor Das- Horbola PDF হরবোলা pdf download দিবাকর দাস এর সকল বই পিডিএফ ডাউনলোড PDF Download এসপিওনাজ থ্রিলার book PDF



📝ভূমিকা :-

  " এসপিওনাজ থ্রিলার " এই কথা টি বললে প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মাসুদ রানা কিংবা জেমস বন্ড এর ছবি।আর সেটা হবেই বা নাহ কেন,
এই দুই বিখ্যাত কিন্তু কাল্পনিক চরিত্র,,,পৃথিবীর সেরা এসপিওনাজ বা স্পাই হিসেবে   স্বীকৃত। 

অসম্ভব সব মিশনে গমন,শত্রুদের সকল কাজে বাঁধা, 
পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছোটাছুটি, একশন,এডভেঞ্চারে ভরপুর তাদের জীবন যেখানে পদে পদে রয়েছে নানান বিপদের হাতছানি। 

হরবোলার কাহিনি মূলত সেই এসপিওনাজ দের নিয়েই।কিন্তু এ বইতে জেমস বন্ড কিংবা মাসুদ রানার মতো প্রযুক্তির অত ঝলকানি নেই,নেই লাস্যমী কোনো হানি ট্র্যাপ,নেই কোন মারকাট একশনের বর্ণনা।তবে একটা জিনিস  আবশ্য আছে এতে যা মাসুদ রান কিংবা জেমস বন্ড কেও ছাড়িয়ে যাবে আর সেটা হচ্ছে সত্য। 
এ বই তে সত্যিকার এসপিওনাজরা  কিভাবে তাদের কেস গুলো সমাধান করে সেটাই লেখক কাহিনির মাধ্যেমে উপস্থাপন করেছেন।

বই টা পড়তে গিয়ে প্রথমেই যে প্রশ্ন টা মাথায় আসবে সেটা হচ্ছে 'হরবোলা' মানে কি?

যিনি বিভিন্ন পশুপাখির ডাক অনুকরন করতে দক্ষ তাঁকে 'হরবোলা' বলা হয়ে থাকে।
এরা যে কারো কন্ঠস্বর নকল করে তার মতো সংলাপ ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারেন।সহজেই ছদ্মবেশ ধারন করতে পারেন।  যেন একই মানুষের বিভিন্ন রূপ। 

সেই হিসেবে এসপিওনাজদের কেও হরবোলা বলা যায় কারন তারা যে কারো ছদ্মবেশে ধারন করে অপরাধীদের পাকড়াও করে থাকেন।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নিরীহ গোছের মানুষটি তুখোড় স্পাই বা গুপ্তচর হতে পারেন।

এই পৃথিবীতে একই মানুষ যেন বিভিন্ন রূপ ধারন করেন যেন প্রত্যেকই এক একজন হরবোলা।

❤কাহিনী সংক্ষেপ :-
  
        পর পর তিনটি ব্যর্থ অপারেশন ও তিনটি শট শরীরে নেয়া আর্মির গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ শাখার এসপিওনাজ এজেন্ট মাহতাব বেশ চিন্তিত নিজের ব্যর্থতার জন্য।না জানি ব্যর্থতার দায়ে চাকরিটাই নাহ হারাতে হয়।

ঠিক সেই সময়  মাহতাবকে ডেকে পাঠান শাখা প্রধান সুধীর দত্ত।
মাহতাবকে ব্যার্থতার দায়ে চাকরি থেকে অব্যহতি তো দিলেনি না বরং  উল্টো দিলেন একটা নতুন কেস।
দুইজন আনকোরা এসপিওনাজ সদস্য কে নিয়ে খুজতে হবে নতুন  আগত চোরাকারবারি এবং তাদের মূল হোতা কে।

একটা নতুন র‍্যাকেট ঢাকা শহরে ড্রাগসের কাজ শুরু করেছে। কে বা কারা আছে এই ড্রাগস চোরাচালান এর পিছনে তার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থাদের  কাছে।

সুধীর দত্তের সন্দেহ ড্রাগসের  আড়ালে তারা কোনো বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার জন্য তৈরী হচ্ছে।  ড্রাগস চোরাচালান শুধু লোকদেখানো।

হাবিব খান।  যার ইনফরমাররা ছড়িয়ে আছে পুরো ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে তাঁর নেটওয়ার্কও ব্যার্থ এই নতুন রেকেটদের ধরতে।
কিন্তু কেন হাবিব খানের মত লোকের নেটওয়ার্ক কাজে আসছে নাহ ? ভেতরের কেউ কি বাইরের  শক্তির সাথে যুক্ত?

এদিকে পাহাড়ের ভয়ংকর আতংকবাদীর নাম বিজন সাহু।যার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও কৌশলের কাছে নাস্তানাবুদ হচ্ছে সেখানকার দায়িত্বরত সেনাবাহিনী সদস্যরা। বিজন সাহু এবং তার অনুসারীরা   পাহাড়ে বেশ কিছুদিন রাজত্ত্ব করার পর এবার টার্গেট সমতল।

কি হবে এবার?
পারবে কি কেউ ধুরন্ধর  বিজন সাহুর মতো লোককে  থামাতে?

মঞ্চ প্রস্তুত। নাটকের চরিত্ররা সবাই নিজ নিজ বেশে প্রস্তুত।এবার কেবল পর্দা নামার অপেক্ষা।

#প্রধান_চরিত্র_সমূহঃ

#সুধীর_দত্তঃ  আর্মি গোয়েন্দা সংস্থার শাখা প্রধান।
নিজ কর্মক্ষমতা,দক্ষতার যোগ্য প্রমান দিয়ে এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।পুরো বই জুড়ে তার ভূমিকা অনেক
বেশি ।

#মাহতাবঃ শুরুতেই মাহতাব সম্পর্কে  অনেক কিছুই লিখা হয়েছে।
পুরো বই জুড়ে তাকে শাখা প্রধানের  দেওয়া  কেস নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে।নিজের ব্যর্থতা ঘোচাতে হবে যে।

#বিজন_সাহুঃ মূলত খল চরিত্র। প্রতিটি পদক্ষেপ এবং প্রতিটা ছক তার মাপা।যেখানে ভুল হবার সুযোগ তিনি দেন নাহ।

#পার্শ্ব_চরিত্র_সমূহঃ

#জাকির_হোসেনঃ এসপিওনাজ শাখায় নতুন পদার্পন।
নিউ কামার হিসেবে প্রথম কেস টাই পড়েছে হাই বোল্টেজ।অনভিজ্ঞ হয়েও প্রথম কেসে  বেশ  সফলতাই দেখিয়েছে সে।

#রাজপালঃ   জাকিরের মতোই নিউ কামার।চরিত্র হিসেবে কিছুটা আন্ডাররেটেড বলা যায়।স্পাই হিসেবে দক্ষতা দেখালেও ফোকাস পায়নি খুব একটা।

#সুলতানঃ বিজন সাহুর বলতে গেলে ডান হাত।তার মতই তীক্ষ্ম বুদ্ধির অধিকারী।কিছুটা রহস্যময় চরিত্র।ঝড়ের বেগে উদয় হয় আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।পুরো বইতে চরিত্রটির আগমন অনেক সংক্ষিপ্ত  হলেও দারুন প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে মূল ঘঠনা প্রবাহে।

এছাড়াও আরো বেশ  কিছু চরিত্রের আগমন ঘঠেছে নানা সময়ে।

❣পাঠ পতিক্রিয়া ও পর্যালোচনাঃ

দিবাকর দাশের লেখা 'হরবোলা' লেখকের সপ্তম প্রকাশিত বই আর আমার পড়া দ্বিতীয় বই।লেখকের প্রথম বই পঞ্চম পড়ে লেখকের অসাধারন লেখনী শক্তির ব্যপারে  ধারনা পেয়েছি।এই বই তেও তাই।

হরবোলা একটি খাঁটি এবং  দেশীয় প্লটে  সজানো এসপিওনাজ থ্রিলার। পুরো কাহিনি টাই দেশের অভ্যন্তরীন   প্রেক্ষাপটে এগিয়েছে।ছোট পরিসরের বই টি একবসাই শেষ করা যায়।এবং করেছিও তাই।

লেখকের লেখনী প্রাঞ্জল। যার কারনে পড়তে গিয়ে কোথাও বাঁধা পাই নি।বই এর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন উপমা ও রূপকের ব্যবহার করেছেন লেখক যেটা আলাদা একটা ফ্লেবার এনে দিয়েছে।

এই বই তে পাহাড়ি মানুষদের জনজীবন,প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার লড়াই ইত্যাদি নানা বিষয়গুলো উঠে এসেছে। 

শুরুতের বলেছিলাম প্রথমে যে প্রশ্ন মাথায় আসবে সেটা হচ্ছে হরবোলা কি?

কিন্তু এছাড়াও আরো একটি প্রশ্ন মথায় আসতে পারে। সেটা হচ্ছে  নারকোটিক্স কী? 

পৃষ্ঠা ১১ তে এই শব্দ টা প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়।
 দরকার ছিল এটার বিষয় কিছু লেখা বা টিকা আকারে দিয়ে দেওয়া।কিন্তু কিছুই লেখা হয়নি।লেখক ভেবেছিলেন হয়ত এই ব্যাপারে সবাই জ্ঞাত।  

❤#ভালো_লাগা_দিকঃ

ভালো লেগেছে গল্পের প্লট।দেশীয় প্লটে এরকম এসপিওনাজ থ্রিলার লেখা যেতে পারে লেখক তা আমাদের দেখিয়েছেন বই হরবোলার মধ্যমে।

এই বইয়ে চরিত্র হিসেবে আমার 'বিজন শাহু" কে বেশ ইন্টারেস্টিং চরিত্র মনে হয়েছে। অন্যান্য চরিত্রের তুলনায়।

বই এর বেশ কিছু লাইন পড়তে গিয়ে বেশ ভালো লেগেছে।

যেমন পৃষ্ঠা ১৬ তে লেখা:-

"সফল হবার রাস্তা খুঁজে পেতে হলে আগে ব্যার্থতার রস্তাগুলো বের করে ছেটে ফেলতে হয়।"

পৃষ্ঠা ৫৩ তে লেখা:-

"পৃথিবীতে তিন শ্রেনীর লোক আছে যারা এক জীবনে বহু জীবনের স্বাদ  পায়। তারা হল অভিনেতা,লেখক আর আমাদের মত সিক্রেট সার্ভিসের অফিসাররা।"

১০০ পৃষ্ঠার শেষ প্যারায় লিখা:-

"অস্কারে যদি আমাদের মনোনয়ন দেওয়া হত তাহলে কোনো বছরই সেরা অভিনেতার পুরস্কার হলিউড পেত নাহ।সব আমাদের ঝুলিতেই জমতো।"

এরকম আরো বেশ কিছু লাইন  পড়ে ভালো লেগেছে।

😓#মন্দ_লাগা_দিকঃ

বই এর মন্দ লাগা দিক গুলোও কম নয় আমার কাছে।
সেগুলো বিস্তারিত ভাবে লিখার দরকার মনে হলো তাই লিখছি।

#Character_development :

লেখকের লেখায়  প্রাঞ্জলতা থাকলেও এই বই তে বিজন শাহু ছাড়া  তেমন কোন চরিত্র সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারে নি আমার কাছে।
এর কারণ হিসেবে মনে করি  সবগুলো চরিত্রগুলো নিজেকে প্রকাশ করার জন্য যে সময় দেওয়া দরকার লেখক তা দেননি।বই এর পরিসর ছোট হবার কারনেই মূল সমস্যা হয়েছে বলে মনে করি।এক্ষেত্রে আরো কয়েক পেজ বাড়িয়ে চরিত্রগুলোকে আরো একটু প্রকাশ করলে ভালো হত।

#বর্ননায়_ত্রুটিঃ

 বই এ বচনভঙ্গিতে চোখে পড়েছে ত্রুটি।যেমনঃ পৃষ্ঠা ২০ এ লিখা:-

ষান্ডামার্কা চেহারার একজন বলে উঠলো,"পেছনের আরেকটা দল আছে সর্দার।ওদেরকেও শেষ করে দেই?"

এখানে ষান্ডামার্কা লোকটি ছিল পাহাড়ি। পাহাড়ি একজন ব্যাক্তি হঠাৎ শুদ্ধ বাংলায় কথা বলছে বিষয় টা বেখাপ্পা মনে হয়েছে।
এরকম আরো বেশ কিছু জায়গায় ছিল এরকম বর্ননা চোখে পড়েছে।

#কাহিনির_ছন্দপতনঃ

প্রথমদিক দিয়ে যেভাবে কাহিনি এগিয়েছে এতে বেশ গতি ছিল। কিন্তু গল্পের মাঝে গতি একদম কমে গিয়েছিল। সাথে কিছু বর্ননা ছিল বেশ নাটকীয়। আবার শেষ দিকে দিয়ে দারুন ভবেই গতি পায়।

একই সাথে বলতে চাই,,, মূল গল্পে  দুইটা ননলিনিয়ার ঘঠনা প্যারালালি এগিয়েছে কিন্তু দুইটা ঘঠনার সময় ভিন্ন ছিল। প্রথম দিকে বিজন সাহুর ঘঠনা ছিল  কয়েক বছর আগের।যেটা শেষে এসে বুঝতে পারি।
এখানে লেখকের উচিত ছিল উপরের দিকে সময়সীমা
লিখে দেওয়ার যাতে বুঝতে সমস্যাটা না হয়।  

#নাটকীয়তাঃ

মাঝে দিয়ে বেশ কিছু নাটকীয় দৃশ্য অবতারন করেন লেখক যা কিছুটা বিরক্তি সৃষ্টি করেছে আমাকে।
এতে করে কাহিনির গতি কমেছে।বিশেষ করে অধ্যায় ভিত্তিক ভাগ হওয়া কাহিনির ১৬ নং অধ্যায় পুরোটাই নাটকীয় ছিল।নিচে একটা লাইন লিখছি:-

"আরে দেবে। চিন্তা করো না।'কুলি' সিনেমা দেখোনি?আমি ওমর সানী  আর তুমি মৌসুমি।আমি গাইবো আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটা রে-তুমি বলবে, ও ইয়া।"

 পার্শ্ব চরিত্র জাকিরকে এভবেই বলতে দেখা যায় তার প্রমিকাকে যা বেশ নাটকীয়। এরকম আরো বেশ কিছু বর্ননা ছিল যা মূল গল্পের গতি অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
সাথে পার্শ্বচরিত্র হিসেবে জাকির কে একটু বেশি হাইলাইট করা হয়েছে যা আমার কছে ভালো লাগে নি।

#জনরা_নিয়ে_প্রশ্নঃ

বই এ জনরা তে লেখা এসপিওনাজ থ্রিলার কিন্তু পড়তে গিয়ে  ঘঠনা প্রবাহে স্পাইরা যেসব কর্মকান্ড করেছে কেস সলভ করার জন্য তার  জন্য  এসপিওনাজ বা স্পাইদের নিয়োগ দেওয়া  কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেখি নাহ।এসব কাজ ডিবি পুলিশ ও হেন্ডেল করতে পারতো সহজেই।
বাস্তবে হয়ত তাই দেখা যেত।তাই জনরা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।



ফ্লেপের পিছনে লিখা:-

 "পাঠকদের স্বাগতম এই অন্ধকার ইতিহাসে - যার কথা কোনো বই অথবা রেকর্ডে নেই ; যার উদাহরন কেবল পড়ানো হয় এসপিওনাজ উঁচু পর্যায়ের ট্রেনিংয়ে "।

কোন বই বা রেকর্ডে নেই এই কথা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে 
কারন কেউ যদি মাসুদ রানার 'অগ্নিপুরুষ ' পড়েন তাহলে জানেন ওখানে ট্রেনিং নিয়ে বেশ বিস্থারিত তথ্য লিখা আছে।

একই সাথে বলল নামকরেন কথা।বই এর নাম হরবোলা,,, ওকে। কিন্তু হরবোলার ব্যবহার টা কোথায় করা হয়েছে সেটা নিয়ে তেমন কিছুই লিখা নেই।
ভেবেছিলাম না জানা অনেক বিষয় দেখবো কিন্তু তেমন কিছুই পাই নি।

এটাই ছিল  মূলত বই এ আমার খারাপ লাগা দিকগুলো।


প্রচ্ছদ মলাট বাইন্ডিং ও প্রিন্টিং মিসটেকঃ

হরবোলা বইটা কিনেছিলাম ভূমি প্রকাশের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক বিশেষ ছাড়ে তাদের পেজ থেকে।বই মেলাতে বই টি পাঠক মহলে বেশ সারা ফেলেছিল।সেই থেকেই বই টি কেনার আগ্রহবোধ করি।

বই এর প্রচ্ছদ শিল্পী হচ্ছেন সজল চৌধুরী।  অত্যন্ত মেধাবী একজন প্রচ্ছদ শিল্পী। উনার প্রতিটা প্রচ্ছদ ই আলাদা ধাচের হয়। 
এই বই এর প্রচ্ছদ তাই আমার কাছে ব্যাতিক্রম লেগেছে।এবং অবশ্যই ভালো লেগেছে।🙂

মলাট,  পেজ কোয়ালিটি ও ছিল চমৎকার।বাইন্ডিং ও ছিল শক্ত ও মজবুত করে সেলাই করা।

প্রিন্টিং মিস্টেক সেভাবে চোখে পড়ে নি।প্রুফ রিডার ও সম্পাদক খুব যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন তার ছাপ স্পষ্ট।
যেটা খুব ভালো লেগেছে।

 ✍ লেখক পরিচিতিঃ

 কথা বলতে ভালোবাসেন।আড্ডাকে সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে মানেন।
প্রকৌশলে পড়াশোনা করেও মনকে যন্ত্রের চেয়ে বড় মনে করেন।গল্প করার বিশ্বাস থেকেই লেখেন।
লেখা লেখি শুরু করেন শখ থেকে।

এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বই গুলো হলঃ

অর্ধশত পদ্য - কবিতা
মির্জাপুরে মহা আতংক -কিশোর থ্রিলার
ছায়াবাজি -সিরিয়াল কিলিং
দ্য নেস্ট অফ স্পাইডার-হিস্টরিকাল ফিকশন
পঞ্চম-মার্ডার মিস্ট্রি 
অভিমন্যু-রিভেঞ্জ থ্রিলার 
ইত্যাদি 

লেখকের ইচ্ছা আছে সামনে একটা শখের গোয়েন্দা চরিত্র তৈরি করার।হিস্টোমিথোলজিক্যাল থ্রিলার লেখা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন।
.
.
.

#পরিশেষে বলব যে ধরনে এক্সপেকটেশানস নিয়ে বই টা শুরু করেছিলাম সেটা পূরন হয়নি  আমার যদিও কিন্তু লেখক প্রাঞ্জল ভাবে যেভাবে লিখে গেছেন এজন্য লেখকে সাধুবাদ জনাই।আশা রাখি সামনে আরো দারুন থ্রিলার আপনার কাছ থেকে পাবো। লেখককে প্রতি রইল অনেক শুভ কামনা। ❤❤

গুড রিডস রেটিংঃ  3.67/5
পার্সোনাল রেটিংঃ  3/5

Happy Reading ❤❤

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ