বই : আই লস্ট মাই ওয়ে
মূল : ইয়াসমিন মুজাহিদ
ভাষান্তর : সানজিদা সিদ্দীকা কথা।
আপনি যখনই আহত হন অথবা কোনো কিছুর দ্বারা আঘাত পান, মনে করুন শারীরিক আঘাত—তখন আপনি কি করেন? প্রথমে সেই আঘাতের চিকিৎসা করার যেকোনো একটি উপায় খুঁজতে থাকেন। আপনি জানেন যে, এই আঘাত সারিয়ে তোলার এবং সুস্থ হওয়ার কোনো না কোনো উপায় কোথাও না কোথাও অবশ্যই আছে।
.
শারীরিক ক্ষতের নিরাময়ের জন্য আমরা কি কিছু করতে পারি? উত্তর হলো, হ্যাঁ। আমরা এটাকে পরিষ্কার করতে পারি, এর যত্ন নিতে পারি, ডাক্তারের কাছে যেতে পারি। যদি কেউ বন্দুকের গুলি দ্বারা আহত হয়, তাহলে সেই ক্ষত নিরাময়ের জন্য অবশ্যই কিছু উপায় আছে। আবার সেই ক্ষত নিরাময়ে যদি দেরি হয়, তাহলে তার পেছনেও কিছু কারণ থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, কেউ আঘাত পেল, কিন্তু সে এটা পরিষ্কার করল না, শুধু একটা ব্যান্ডেজ দিয়ে জড়িয়ে রাখল, তাহলে সেই ক্ষতের কী হবে? এটি তখন সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটা কোনো ব্যাপার নয় যে, আপনি এটাকে জড়িয়ে রেখেছেন। আপনি এটা বলতে পারেন, ‘আহ, আমি বন্দুকের গুলিতে আঘাত পেয়েছি। আমি ব্যান্ডেজ দিয়ে এটাকে জড়িয়ে রেখেছি, তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’ আসলে, এভাবে এটা ঠিক হবে না, সেরে উঠবে না—যতই আপনি এটাকে জড়িয়ে রাখুন না কেন।
.
অনেকে বলে, সময়ের সঙ্গে ক্ষতগুলো সেরে উঠবে। সময়ের ব্যবধানে এই ক্ষত কীভাবে সেরে উঠবে, যেখানে এটাকে পরিষ্কার করা হয়নি, চিকিৎসা করা হয়নি, যত্ন নেওয়া হয়নি শুধু পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে? এটার অবস্থা তো আরও খারাপ হবে। শুধু ব্যান্ডেজ ওটাকে সারিয়ে তুলতে পারবে না। সময়ের সঙ্গে ক্ষত সেরে উঠবে, এটা আসলে একটা ভুল ধারণা।
কারণ, আপনি যদি এর সঠিক যত্ন না নেন, এমন কিছু করেন, যাতে করে এই ক্ষত আরও খারাপের দিকে চলে যেতে থাকে, তাহলে সময় গড়ালেও এটা সেরে তো উঠবেই না, বরং আরও দগ্ধ, আরও ঝাঁজরা হতে থাকবে সেটা। আপনি প্রতিদিন এই ক্ষত বয়ে বেড়াবেন এবং এতে ময়লা লাগাবেন, অথবা যতবারই এর ছিলা উঠতে থাকবে, আপনি চামড়া উঠাবেন, জীবাণুগুলোকে প্রশ্রয় দেবেন, তাহলে সময়ের সঙ্গে এটা কখনোই সেরে উঠবে না। দিনকে দিন এর আরও খারাপ পরিণতি ঘটতে থাকবে।
সুতরাং কিছু উপায় আছে, যাতে করে আমরা ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারি অথবা এর আরও খারাপ অবস্থা করতে পারি, যাতে করে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। ঠিক এখান থেকেই আমাদের শেখা শুরু করতে হবে। সাইকোলজিস্টরা এটা বের করেছেন যে, মানুষ এমন কিছু অভ্যাসের সঙ্গে জড়িত, যার কারণে তার সুস্থ হয়ে উঠতে দেরি হয়। এটা অনেকটা নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করার মতো। কিন্তু আমরা জানি না যে, আমরা সেটা করছি। অথচ আমরা উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে এটা করছি না।
কেউ এটা বুঝতে পারে না যে, সে মূলত ক্ষতের ওপর ময়লা লাগাচ্ছে, চামড়া উঠাচ্ছে, জীবাণুগুলোকে পেলেপুষে আরও বড় করছে এবং মনে করছে যে, সময় অতিক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষত সেরে উঠবে; কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সময়ে তা আর সেরে ওঠে না?
বই : আই লস্ট মাই ওয়ে
মূল : ইয়াসমিন মুজাহিদ
ভাষান্তর : সানজিদা সিদ্দীকা কথা
সম্পাদনা : মুহাম্মদ পাবলিকেশন সম্পাদনা পর্ষদ
প্রকাশনা : মুহাম্মদ পাবলিকেশন
মুদ্রিত মূল্য : 132 টাকা।
ধরণ : মোটিভেশনাল
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....