বই: পড়ো-১
সংকলন: ওমর আল জাবির
সম্পাদনা: শরীফ আবু হায়াত অপু
কুরআনুল কারীম মহান আল্লাহ তায়ালার অমীয় বাণী আমরা কি প্রকৃতপক্ষে কুরআন সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান রাখি?
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের কি বলতে চেয়েছেন তা কি আমরা একবারও জানতে চাইবো না?
জিব্রীল আলাইহিস সালাম প্রথম আল্লাহ সুবহানা তায়ালা থেকে যে ৫ টি আয়াত এনেছিল তা ছিল সুরা আলাক্ব এর। আয়াতগুলির প্রথম শব্দ কি ছিল আমরা তো জানি
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
Proclaim! (or read!) in the name of thy Lord and Cherisher, Who created-
----------------------
[Ayah- ১, Surah আলাক, Al-Quran]
আল্লাহ সুবাহানাতায়ালা তো প্রথমে আমাদের বলেই দিয়েছেন পড়তে। যে বইটি আমাদের আলো দেয়,অন্ধকার সরায়,সত্যকে আর মিথ্যাকে আলাদা করে দেয় সে বইটি সম্পর্কে যে আমাদের অনেক অনেক জানতে হবে। পড়ো বইটি এমন একটি বই যা আমাদের কুরআনুল কারিমকে নিয়ে আমাদের চিন্তার খোরাককে জাগিয়ে তোলার ব্যাপারে লেখক উদ্ধত করেছেন। দৈনিক আমরা ফরয সালাতে মোট ১৭ বার সুরাহ ফাতিহা পড়ে থাকি সুরাহ ফাতিহার এমন অনেক অজানা যা আমরা শিখিনি তা আমরা এই বই থেকে জানতে পারি। এমন আরো অনেক বিষয় রয়েছে উক্ত বইটিতে। কুরআনের আয়াতগুলো সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম কমই বুঝা যায় কারন আরবি থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবি শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায় তাই লেখক পরামর্শ দিলেন কুরআনকে প্রকৃতভাবে চিনতে আরবি শেখার কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের উচিত আমাদের মুল শেকড়কে চেনা ও আকড়ে ধরা.. আর তা হচ্ছে কুরআনুল কারীম।।
বইয়ের কিছু লাইন:
[কিন্তু তারা মোটেও কিছুই স্বীকার করে না]
শুক্রবার, ঘড়িতে একটা বাজে। মায়ের ডাকাডাকি শুনে অনেক অনিচ্ছা সত্ত্বেও কম্পিউটার থেকে উঠে চৌধুরী সাহেবের ছেলে জুমআর নামাজ পড়তে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় ভাবছে, 'ধুরু, গেমটা শেষ করে আসতে পারলাম না। আর বিশটা মিনিট পেলেই গেমটা শেষ হয়ে যেত। কিন্তু শুক্রবারে নামাজ না পড়লে আবার কেমন দেখায়। সপ্তাহে একটা দিন তো ঠিকমতো নামাজ পড়া দরকার।'
তারপর সে মসজিদে গিয়ে একদম দরজার পাশে মানুষের স্যান্ডেল যেখানে থাকে, সেখানে গিয়ে বসে, যেন নামাজ শেষে সালাম ফেরানোর সাথেসাথে সবচেয়ে কম সময়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে পারে। এভাবে সে আল্লাহকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে সে আসলে আল্লাহকে খুশি করার জন্যই মসজিদে এসেছে।
এধরনের মানুষ একধরনের মানসিক রোগে ভোগে, যাকে Self Delusion বলা হয়। এধরনের মানুষ নিজেদের সবসময় বোঝায় যে- তারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাজ করে যাচ্ছে - কিন্তু তাদের কাজের আসল উদ্দেশ্য থাকে অন্যকিছু। এধরনের মানুষরা প্রায়ই নিজেদের মনেমনে বলে, 'আল্লাহ' আপনার জন্যই এটা করলাম কিন্তু। আমাকে আখিরাতে এর প্রতিদান দিয়েন।' শুধু তা-ই না, তারা মানুষকেও এধরনের কথা বলে বেড়ায়, 'ভাই, আল্লাহর ওয়াস্তে মসজিদে দশ হাজার টাকা দান করলাম, আমার জন্য বেশিবেশি করে দোয়া করবেন যেন আপনাদের আরও সেবা করতে পারি।'
............................................................................
তাদের অন্তরে আছে এক অসুখ, তাই আল্লাহ তাদের অসুখকে বাড়তে দেন। এক অবিরাম কষ্টকর শাস্তি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য; কারণ, তারা একনাগাড়ে মিথ্যা বলত। আল-বাক্বারা:১০
.
বই: পড়ো-১
সংকলন:ওমর আল জাবির
সম্পাদনা: শরীফ আবু হায়াত অপু
সমকালীন প্রকাশন
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....