বইঃ তবুও আমি তোমার
লেখকঃ জিল্লুর রহমান
প্রকাশনায়ঃ ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
মুদ্রিত মূল্যঃ ৩৬০/-
Abdur Rahman (©review credit)
১.
❑ উপন্যাসের নাম বিশ্লেষণঃ
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কনক ও শাওনের প্রেমে আচ্ছন্ন মন যখন একে অপরকে গভীরভাবে স্পর্শ করে তখন তাদের হৃদয়ে রঙিন প্রজাপতিরা খেলা করে। একদিন হঠাৎ অজানা এক ঝড়ের তাণ্ডবে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরতে থাকে। শেষ মুহূর্তে জাত ব্যবধানের কারণে কনক নিজেই শাওনকে গ্রহণ করতে সংকোচবোধ করে। শাওন কনকের সংকোচবোধকে উপেক্ষা করে বলে, তবুও আমি তোমার।
গল্পের সমাপ্তি টানা হয়েছে উপন্যাসের নাম দিয়েই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নামকরণ করা হয়েছে ‘তবুও আমি তোমার।’ এক কথায় উপন্যাসের নামকরণ সার্থক।
২.
❑ কাহিনী সংক্ষেপঃ
অনিন্দ্য দম্পতি রেজা ও কাকলীর সন্তানহীনতার আক্ষেপের মধ্য দিয়েই শুরু হয় গল্পের কাহিনী। রেজা ও কাকলীর সংসারে এমন কোনো বিষয় নেই যার জন্য তারা অনুশোচনায় ভোগে। গাড়ি, বাড়ি, যশ-খ্যাতি সহ সকল অর্থবিত্তে পরিপূর্ণ তাদের সংসার। শুধু একটি বিষয় তাদের মনে তাড়িয়ে বেড়ায় সেটি হলো─ তাদের সন্তানহীনতা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ডাক্তার, কবিরাজ, পীর-আওলীয়ার দরবার সহ দেশ-বিদেশে চিকিৎসা করেও তারা সন্তানের মুখ দেখতে পারেনি। এই দুঃখ দূর্দশার রেশ যেন তাদের বিশাল অর্থ সম্পত্তির প্রাচুর্যতাকেও হার মানায়।
সকল চেষ্টা সাধ্যের পরেও যখন তারা বিফল ঠিক তখন রেজা সাহেবের বাসায় ঝুমলাল নামের এক সহজ সরল মানুষের আগমন ঘটে। ঝুমলাল রেজা সাহেবের পূর্বপরিচিত। ঝুমলাল পেশায় সুইপার। তার মতে সুইপার নীচ জাতি, সমাজে তাদের কোনো স্থান নেই। নেই মাথা উঁচু করে বাঁচার কোনো অধিকার। তাই তার মনের আক্ষেপ দূর করার জন্য তার ছেলে হরলালকে মানুষের মতো মানুষ করতে নিয়ে যায় রেজা সাহেবের বাসায়। সে তার ছেলে হরলালকে দত্তক দিতে চায়। রেজা সাহেব কিছু শর্ত দিয়ে হরলালকে গ্রহণ করে। ঝুমলালও সেই শর্ত মেনে নেয়।
এরপর থেকে রেজা কাকলী দম্পতির সংসারে যেন আলোর দেখা দেয়। তারা হরলালের নাম পরিবর্তন করে তাদেরই নামানুসারে 'কামাল রেজা কনক' নাম রাখে। হরলালের আসল পৈতৃক পরিচয় যাতে কেউ কোনোদিন জানতে না পারে এবং ঝুমলাল যাতে কোনোদিনও ছেলের অধিকার নিয়ে না আসতে পারে সেজন্য রেজা সাহেব যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। গ্রামের ভিটে-মাটি বিক্রি, বাসা বদল, সিম কার্ড চেঞ্জ, নতুন ঠিকানা কাউকে না দেওয়া সহ গ্রামের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
ধীরে ধীরে কনক বড় হয়। তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন। কনক বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালীন সময়ে তার সহপাঠী শাওনের প্রেমে পড়ে। শুরু হয় তাদের প্রেম-ভালোবাসা, তাদের মধুর সম্পর্ক। একসময় কনক ও শাওনের বাবা তাদের সম্পর্কের কথা যেনে যায়। মেনেও নেয়। তাদের বিয়ে হবে এই প্রতিশ্রুতিও দেয়।
কনকের পড়া শেষ হলে তাকে তার বাবা নিজের স্বনামধন্য কোম্পানীতে বড় এক পদে নিযুক্ত করে। এই জুনিয়র ছেলের এত বড় পদ? এত বড় দায়িত্ব?
বিষয়টি যেন মেনে নেওয়া মত নয়। বিষয়টি কোম্পানীর কয়েজন কর্মকর্তা হিংসুটে চোখে দেখে। তারমধ্যে রাহাত সাহেবও একজন। রাহাত সাহেব স্বার্থলোভী কিছিমের মানুষ। কৌশলে কোম্পানীর টাকা আত্মসাৎ সহ মালামাল ক্রয়ের কমিশন তার পকেটে ঢোকে। বিষয়টি সকলের নজর এরালেও রেজা সাহেবের নজরে এরায় না। তবুও সে চুপচাপ থাকে এই ভেবে যে─ একটা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারী-কর্মকর্তাই সৎ থাকবে না। কেউ কেউ সিনসিয়ার হবে, কেউ অলস হবে, কেউ উদাসীন হবে, কেউ কেউ আবার কোম্পানীর উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করবে। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে।
রাহাত সাহেবের কাজে সন্তুষ্ট না হয়ে একদিন কনক রাহাত সাহেবকে তার চেম্বারে ডেকে পাঠায়। সেখানে রাহাতকে জবাবদিহি করতে হয়। তখন থেকেই শুরু হয় কনকের প্রতি রাহাত সাহেবের ঈর্ষা। কনক ও রেজা সাহেবকে হেয় করার জন্য রাহাত উঠে-পড়ে লেগে যায়।
একদিন রাহাত সাহেব কাকলীর খালাতো বোন রেবেকার সহায়তায় প্রমাণ করে যে কনকের আসল বাবা-মা রেজা সাহেব আর কাকলী নয়। বিষয়টি জানাজানি হয়। শাওনের বাবাও জেনে যায়। তখন শুরু হয় দু পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্ব। তবে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মিলমিশ হয়।
কাকলীর সাথে রেবেকার কি এমন শত্রুতা ছিলো যার কারণে রেবেকা রাহাতকে সহায়তা করে কাকলীর সংসারে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেছিল? কনক যখন জানতে পারল তার আসল বাবা-মা রেজা সাহেব আর কাকলী নন তখন তার প্রতিক্রিয়া কি ছিল? সে কি তার জন্মদাতা পিতা-মাতাকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করতে পেরেছিল? শাওনের বাবা যখন জানতে পারল কনকের আসল বাবা-মা রেজা সাহেব আর কাকলী নন এমনকি তার আসল বাবা একজন সুইপার তখন শাওনের বাবা মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দিল। কিন্তু পরে কেন এবং কিভাবে কনককে মেনে নিল? এসব চমকপ্রদ প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে বইটি পড়তে হবে।
৩.
❑ প্রিয় চরিত্র বর্ণনাঃ
কনক ও শাওন ব্যতিত অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে রেজা, কাকলী ও ঝুমলালকে আমার বেশি ভালো লেগেছে। রেজা ও কাকলী বিত্তবান ও উচ্চ শ্রেণির মানুষ হয়েও যে সততা ও সরলতা দেখিয়েছে তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংবোধ পরিলক্ষিত হয়নি। অপরদিকে ঝুমলাল সম্পর্কে কিছুই বলার নেই। সে যে শুধু সন্তান জন্ম দিয়েই খালাশ, তা নয়। অনেক বছর পরেও সন্তানকে দেখার জন্য যেভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছিল এবং তার সন্তান তাদের বাসায় আসায় যেভাবে আদর আপ্যায়নে বিভোর ছিল তা সত্যি সন্তানের প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ঝুমলালের অসহায়ত্ব ও সরলতা আমাকে আরো বেশি কাছে টেনেছে।
৪.
❑ উপন্যাসের ত্রুটি (শব্দ চয়ন, বানান ভুল ও যতিচিহ্নের অপপ্রয়োগ):
প্রথমে ভুল বানান প্রকাশ করে পরে সঠিক বানান উল্লেখ করা হলোঃ
শ্বাশুড়ী। সঠিক বানান শাশুড়ি।
কন্ঠ। সঠিক বানান কণ্ঠ।
হৃৎপিন্ড। সঠিক বানান হৃৎপিণ্ড।
স্বাচ্ছন্দ। সঠিক বানান স্বাচ্ছন্দ্য।
এছাড়াও বেশ কিছু বানান ভুল ছিল যা টাইপিং মিসটেক/ফন্ট/কনভার্ট জনিত কারণে হয়েছে। তাই এসব ভুল, ভুলের মধ্যে পড়ে না।
শব্দচয়ন-
‘‘পরবর্তীতে কায়সার সাহেবের সহযোগিতায় ফিরোজ সাহেব নিজেই একটা এ্যাপার্টমেন্ট কোম্পানীর মালিক হয়ে যান’’
উপরোক্ত বাক্যে ‘পরবর্তীতে’ শব্দটি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ‘পরবর্তীতে’ নামে কোনো শব্দ নেই। শব্দটি হবে ‘পরবর্তীকালে’ বা ‘পরবর্তী সময়ে’।
‘ভাল’ ও ‘ভালো’ দুটো বানানই সঠিক। তবে ‘ভাল’ মানে ললাট, কপাল, ভাগ্য। আর ‘ভালো’ মানে উত্তম, শুভ, সৎ, মঙ্গল। লেখক ‘ভাল’ ও ‘ভালবাসা’ দিয়ে উত্তম, শুভ বুঝিয়েছেন তাই সেখানে ‘ভাল’ ও ‘ভালবাসা’ না হয়ে যথাক্রমে ‘ভালো’ ও ‘ভালোবাসা’ হবে।
যতিচিহ্নের অপপ্রয়োগ-
‘‘কিন্তু তোমার ভাবীর কিছু শর্ত আছে?’’
‘‘তার আগে তোমার কাছ থেকে আমার কিছু জানার আছে?’’
‘‘তার মানে এই নয় যে গার্জিয়ান হয়ে তুমি মেয়ের সঙ্গে কথা বলবে, তাকে বউ বানানোর জন্য স্বপ্ন দেখবে?’’
‘‘বাবার দু'টা গার্মেন্টস্ ফ্যাক্টরি আছে?’’
‘‘কনক শোন্, বাবা কি কাজ করেছে?’’
‘‘গতকাল তো তুই সাইটে গিয়েছিলি?’’
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত বাক্যগুলো দিয়ে লেখক প্রশ্নবোধক কিছু বুঝাননি। বুঝিয়েছেন অনুজ্ঞাবাচক কিছু অর্থ। কাজেই এসব বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন না বসে দাঁড়ি বসবে।
৫.
❑ চরিত্রের ত্রুটিঃ
পুরো গল্পে চরিত্রের কোনো ত্রুটি পাইনি। প্রত্যেকটি চরিত্র আমার কাছ অত্যন্ত নিখুঁত ও সাবলীল মনে হয়েছে। তবে একটি গৌণ ত্রুটি খেয়াল করলাম─ কনক তার আসল পিতৃপরিচয় জানার পর যখন ঘটনার আকস্মিকতায় সে রেজা ও কাকলীকে কিছু না জানিয়ে ভবঘুরে হয়ে বাইরে ঘুরতে লাগল তখন রেজা ও কাকলীর মন কনকের জন্য অস্থির হয়েছিল। যারা কনককে আসল বাবা মায়ের মতোই ছোট থেকে বড় করেছে, পিতৃ ও মাতৃ স্নেহ দিয়ে মানুষ করেছে তাদের কাছে শেষ দিকে কনকের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ছিল। অথবা লেখক চাইলে কনকের সাথে রেজা ও কাকলীর একটা মিলবন্ধনের মাধ্যমেও সমাপ্তি টানতে পারতেন। অন্তত পাঠক মনে আর কোনো আক্ষেপ থাকত না। তবুও সমাপ্তিটা যেভাবে হয়েছে তা মন জুড়ানোর মতো। লেখক আমাদের সর্বোচ্চটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
৬.
❑ প্রিয় লাইনঃ
‘‘জগতের সব মুখে নয়, কিছু কিছু অনুভূতি হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে অনুভব করতে হয়।’’
‘‘আমি ভালোবাসি মেঘলা আকাশ
শাওনের রাত,
প্রেয়সীর গভীর ছলছল আখিঁ
আমি ভালোবাসি...।’’
‘‘রক্তের সম্পর্ক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অধিকার কেউ ছিন্ন করতে পারে না, সমস্ত শক্তি সেখানে নিঃশেষ।’’
‘‘যে স্মৃতি পেছনে টেনে ধরে সো স্মৃতি অলক্ষ্যে মন থকে মুছে ফেলতে হয়।’’
‘‘গ্রাম-গঞ্জের এসব মানুষের ভালোবাসার মধ্যে কোন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য নেই। শহরের শিক্ষিত, ভদ্র, মুখোশপরা মানুষের মতো এদের মধ্যে সুকৌশলে সুবিধা আদায়ের ধান্দা নেই।’’
‘‘মেয়েদেরকে মা বলে একবার ডাকতে পারলেই হয়, যত কঠিন মনই হোক একবার মা ডাক শুনলে যেন মেয়েদের মনের সমস্ত বরফ সব মুহূর্তেই গলে যায়।’’
‘‘আমাদের হাত-পা আছে, আমরা দেখতে মানুষের মতো তাই সবাই আমাদের মানুষ বলে। আসলে আমাদেরকে কেউ মানুষ মনে করে না। আমরা হোটেলে বসতে পারি না, আমরা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে পারি না, আমাদের দেখলে মানুষ নাক ছিটকায়, মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে আরেক দিকে তাকায়।’’
৭.
❑ অপরিপক্বতাঃ এই উপন্যাসে অপরিপক্বতা বলতে কয়েকটি বাক্যে সাজ-সজ্জার একটু অভাব ছিলো।
যেমন: ‘‘শাওন তো আমাকে বিয়ে করতে নাও চাইতে পারে’’ না লিখে ‘‘শাওন তো আমাকে বিয়ে করতে না চাইতে পারে’’ লেখা হয়েছে। যা শুনতে একটু অগোছালো মনে হয়। তবে এর সংখ্যা নিতান্তই কম। মাত্র ২/৩ টি বাক্যে এমন ছিলো।
‘‘আমরাও ওকে ছেড়ে এক রাত কাটায়নি’’
বাক্যটি যেহেতু উত্তম পুরুষে রচিত, সেহেতু ‘কাটায়নি’ না হয়ে ‘কাটাইনি’ হবে
লেখকের লেখার হাত খুবই শক্ত ও পোক্ত। তাই লেখার মাঝে আর কোনো অপরিপক্বতা খুঁজে পাইনি। প্রতিটি লাইনে, প্রতিটি প্যারায় ভাষার মাধুর্যতা মিশিয়ে অত্যন্ত সুনিপুণ ভাবে অনুভূতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
৮.
❑ পাঠ অনুভূতিঃ
অনুভূতি নিয়ে লিখতে গেলে আমার লেখা শেষ হবে না। আসলে এই উপন্যাসটি যে এত ভালো লেগেছে যে আমার সর্বোচ্চ পছন্দের তালিকায় এই উপন্যাসটিও যোগ হলো। গঠনশৈলী ও প্লটের ধারাবাহিকতা রক্ষা করায় পড়ার সময় চরিত্র আর কাহিনী গুলো আমার চোখের সামনে ভেসেছে, মনে হয়েছে এইতো কাহিনী গুলো আমি নিজ চোখে দেখছি।
আমাদের দেশে প্রচলিত জাত, ধর্ম ও বর্ণের যে বৈষম্য রয়েছে তা লেখক তাঁর কলমের অগাধ শক্তিতে ভেঙ্গে দিয়েছেন। বিশেষ করে সমাজের উঁচু শ্রেণির সাথে নিম্নশ্রেণির মধ্যস্ততা তৈরিতে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছেন। আরো তুলে ধরেছেন একজন ব্যবসায়ী তার ব্যাবসায়িক কার্যক্রমকে কিভাবে সৎ উদ্দেশ্যে পরিচালনা করতে হয়।
এই উপন্যাসটির মাধ্যমে সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও সহানুভূতি শত গুনে বেড়ে গেছে। জানতে পেরেছি দুটি পবিত্র মনের পবিত্র অনুভূতি দিয়ে কিভাবে ভালোবাসাকে জয় করতে হয়। একটি পরিবারে যেভাবে মিলেমিশে থাকা যায়, যেভাবে একে অন্যের প্রতি যত্নশীল ও ভালোবাসার বিনিময় করা যায় তার জন্য এই উপন্যাসটি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৮০/৫
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....