বইয়ের নাম: সাইলেন্স অব দা ল্যাম্বস
লেখক: টমাস হ্যারিস।
রিভিউ লিখেছেন Moniruzzaman Monir
অনুবাদ: Team Translators( আমিনা মিম, এম এস আই সোহান )
প্রকাশনী: নয়া উদ্যোগ
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৭২
একের পর এক তরুণী মেয়েদের হত্যা করে যাচ্ছে এক অচেনা হত্যাকারী। হত্যার পর লাশের শরীর থেকে কেটে তুলে নিচ্ছে নির্দিষ্ট মাপের চামড়া। পরপর পাঁচটি খুন হয়ে গেলেও ঘটনার কূলকিনারা করতে পারছে না কেউ। নতুন এই সাইকোপ্যাথ খুনি যার নাম দেওয়া হয়েছে বাফেলো বিল তাকে খুঁজে বের করার জন্য এফবিআই নিল নতুন পন্থা। এফবিআইয়ের তরুণ শিক্ষানবিস ইনভেস্টিগেটর ক্লারিস স্টারলিং কে পাঠানো হল জেলে আটক আরেক সাইকোপ্যাথ সাইক্রিয়াটিস্ট ডক্টর হানিবল লেকটার এর কাছে।
লেকটার নিজে কেন ক্যানিবালিজম এ আক্রান্ত। সে মানুষের মাংস খেতে ভালোবাসে। ডাক্তার হওয়ার দরুন সে নিজেই অনেক সাইকোপ্যাথ রোগির চিকিৎসা করেছে। সে ভালো করে বুঝবে বাফেলো বিলের মনস্তাত্ত্বিক চরিত্র। তাই স্টার্লিং ডক্টর লেকটার এর সহায়তায় চেষ্টা করে খুনি বাফেলো বিল কে খুঁজে বের করতে। ইতিমধ্যে এক সিনেটরের মেয়ে ক্যাথরিন কিডন্যাপ করে ফেলে বাফেলো বিল। হাতে সময় কম, উদ্ধার করতে হবে মেয়েটিকে। ঘড়ির কাটা ও হ্যানিবেল লেকটারের হেঁয়ালির সাথে পাল্লা দিয়ে স্টারলিং কি পারবে সিনেটরের মেয়ে ক্যাথরিনকে উদ্ধার করতে? ওদিকে লেকটার পুলিশ হেফাজত থেকে পালালে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে যায় স্টারলিংয়ের জন্য। নরখাদক ডাক্তার এখন কোথায় কি করছে না কেউ জানে না।
স্টারলিং এর সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।
স্টারলিং কি পারবে লেকটার এর দেয়া সূত্র ধরে বাফেলো বিল কে ধরতে?
টান টান উত্তেজনাপূর্ণ বিখ্যাত এই সাইকোলোজিকাল থ্রিলারের নাম অনেকদিন আগেই শুনেছিলাম। আজ পড়ে ফেললাম। প্রতিটি অধ্যায় আটকে রেখেছিল চুম্বকের মত। নরখাদক কিন্তু বুদ্ধিমান সাইকোলজিস্ট ডাক্তার লেকটারের এর চরিত্রটি ছিল চিত্তাকর্ষক। অল্প তথ্যের উপর ভিত্তি করে যেভাবে ঘটনার সঠিক বর্ণনা দিতে পারছিল তা সত্যি ই আশ্চর্যজনক। টিম ট্রান্সলেটরের অনুবাদ করা বইটির অনুবাদ ছিল প্রাঞ্জলও বেশ সাবলীল। শব্দ চয়ন ও গঠন ছিল চমৎকার। গল্পটি পাঠক শেষ না করা পর্যন্ত উঠতে পারবে না এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
রিভিউ লিখেছেন Moniruzzaman Monir
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....