দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প লেখক: শামসুর রহমান ও কানিজ শারমিন

বই রিভিউ: দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প
লেখক: শামসুর রহমান ও কানিজ শারমিন
প্রকাশনি: গার্ডিয়ান পাবলিকেশন
ফাতিহা আয়াত রোশনী(review credit)
দ্যা রিভার্টস: ফিরে আসার গল্প লেখক: শামসুর রহমান ও কানিজ শারমিন


"দ্যা রিভার্টস" বইটির পিডিএফ হটাৎ করেই সামনে চলে আসে।পিডিএফ ওপেন করে পড়া শুরু করতেই মুহূর্তের মধ্যেই মুগ্ধতায় হারিয়ে যাই। একদিনেই পুরো বইটি শেষ করে ফেলি।

"রিভার্টস" শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রত্যাবর্তন "বা ফিরে অাসা।
হ্যাৃঁবইটিতে ফিরে অাসার গল্পই বলা হয়েছে।

তবে এখানে কোনো এডভেঞ্চারের জীবনযুদ্ধে মৃত্যু থেকে বেঁচে যাওয়ার গল্প শোনানো হয়নি,কিংবা অনেকদিন পরে হারিয়ে যাওয়া কোনো শিশুর মায়ের কোলে ফিরে অাসার গল্প ও বলা হয়নি।

এখানে বলা হয়েছে জীবনের লক্ষ্য বা জীবনের মানে খুঁজতে গিয়ে যারা জীবনের লক্ষ্য বুঝতে পেরেছেন,স্রষ্টার অাসল পরিচয় পেয়েছেন এবং ফিরে পেয়েছেন শান্তির উৎস, স্বর্গীয় পথ-তাদের কথা। যারা জীবন-যৌবনের শুরুতে নিজেদের অস্তিত্বদাতা মহাবিশ্বের প্রভু সম্পর্কে ছিলেন সন্দিহান কিংবা অবিশ্বাসী,অতঃপর ফিরে পেলেন স্বীয় সত্তাকে,স্বীয় প্রভুর পরিচয়। এমন তেরোজন লোকের জীবনের শ্রেষ্ঠ গল্প নিয়ে বইটি সাজানো হয়েছে।বইটি পড়ে মনে এক প্রফুল্লতার উল্লকস পাবেন।যা ছুঁয়ে দিবে আপনার মনকে।হৃদয়ে এনে দিনে এক প্রশান্তি।চিনতে পারবেন সৃষ্টিকর্তাকে।

বইটির গল্পসমূহ বিভিন্ন ভাষা থেকে রুপান্তর করে বাংলায় লিখেছেন সামছুর রহমান ও কানিজ নামে দুজন।
সামছুর রহমান ওমর ও কানিজ শারমিন একটি দম্পতির নাম। লেখকদ্বয়ের এ পরিচয় পেয়ে মনে অারও একটু ভালো লাগা কাজ করল।
বইটি প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স। দেশের অন্যতম সেরা প্রকাশনী। গার্ডিয়ান পাবলিকেশন সবসময় সেরা ও পাঠকপ্রিয় বই পাবলিশ করে। 

যে তেরোজন পরিশুদ্ধ মানব-মানবীর গল্প নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে তারা বিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাস থেকে ফিরে এসে ইসলামের অালোয় নিজেদের উদ্ভাসিত করেছেন। ইসলামের নির্মলতায় নিজেদের পরিশুদ্ধ করেছেন। তাদের কেউ কেউ ছিলেন ইহুদি,খৃষ্টান,হিন্দু,বৌদ্ধ,কমিউনিস্ট কিংবা সৃষ্টিকর্তার প্রতি চরম অবিশ্বাসী।
মোটকথা, প্রায় সকল মত ও বিশ্বাস থেকে সত্য ধর্ম ইসলামের প্রতি প্রত্যাবর্তনকারী লোকদের বাস্তবকাহিনী এখানে রয়েছে।

অাসলে,ইসলামবিহীন প্রতিটি মানবের অন্তরে একধরণের শূন্যতা, না পাওয়া, হাহাকার কিংবা হতাশা বিদ্যমান। তারা পার্থিব সকল প্রয়োজনীয়তায় যতই ভরপুর কিংবা স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকুক না কেন তাদের অন্তর অতৃপ্ত।রুহের একটা খাদ্য থাকে।যা ছাড়া আমাদের মনের প্রশান্তি লাভ সম্ভব নয়।
সুতরাং অনেকে কাঙ্ক্ষিত সেই প্রশান্তির  অাশায় সত্যান্বেষণে ছুটে পড়েন।
অার কেউ যদি সত্যলাভে সচেষ্ট হন,ভালোবাসেন তাহলে স্রষ্টা তাকে সহযোগিতা করেন এবং সত্যের দিশা দেন।

অমানিশা,ভ্রান্তি হতে এসকল লোক যখন সত্যপ্রাপ্তির পিপাসায় তৃষ্ণার্ত ছিলেন অথবা কোনো পথে শান্তি না পেয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছাই হারিয়ে ফেলেছিলেন কিংবা জীবনের মানে খু্ঁজতে গিয়ে কোনো সন্তোষজনক ও গ্রহণযোগ্য উত্তর না পেয়ে বারবার হোচৎ খাচ্ছিলেন তখনই তাদেরকে তৃপ্তির সহিত মুক্তি দিয়েছিল ইসলাম।তারা ফিরে পেয়েছেন চিরশান্তির পথ। অার ইসলামে দূর হয়ে গেল তাদের সকল না পাওয়ার অশান্তি অার ক্লান্তি।সকল প্রশ্ন, অতীত জীবনের না পাওয়ার
হিসাব তারা খুঁজে পেলেন যেভাবে তারই ধারাবাহিক বর্ণনা ভুক্তভুগি আমাদের বলে গেছেন এ বইটিতে।
প্রায় সবারই কাহিনীতে যে দিকটার মিল পেলাম তা হচ্ছে,মুসলমানদের অাচার-অাচরণ তথা মানবিক গুণাবলী তাদেরকে প্রথমে ইসলামের প্রতি অাগ্রহী করে তুলে। এবং ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ও পবিত্র কুরঅানের গভীর অধ্যয়নের পরে তারা ইসলামের প্রতি অাকৃষ্ট হয়েছিলেন। অতঃপর সত্য জেনে সত্য মনে ভালোবাসায়, পরম বিশ্বাস ও ভক্তিসহকারে তারা ইসলামকে গ্রহণ করেন। 
বইটি সকল শ্রেণী ও ধর্মের লোক,মুসলিমরা পড়তে পারেন। হয়ত অন্যদের সত্যগ্রহণের গল্প অাপনাকে সত্যাগ্রহী ও সত্যগ্রহণে উৎসাহিত করবে।
‌যে তাওহীদকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, আল্লাহর সামনে আনুগত্যের মস্তক নত করে, সে কোন কিছুর পরোয়া করেনা। শক্তি, সামাজিক মর্যাদা, অর্থ-বিত্ত,ফ্যাশন, নাম যশ খ্যাতি...কোন কিছুর সামনে সে নত হয়না। সকল কাজে তার চাওয়া পাওয়া থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি। সকল কাজে সে আল্লাহর উপরই ভরসা করে। গভীরভাবে ভেবে দেখলো, এ...ইতো মানুষের সত্যিকারের মুক্তি।

যে আল্লাহ ছাড়া আর অন্য কোন কিছুর উপাসনা করে, অন্য কিছুর আরাধনা করে, অন্য কোন কিছুর উপর সু গভীর বিশ্বাস স্থাপন করে, দিন শেষে তাকে তার জন্য অনেক কষ্ট পেতে হয়। কারণ আল্লাহ ছাড়া আর কোন কিছুই নিখুঁত নয়, কোন কিছুই নয় শক্তিমান। 

বইটির প্রিয় কিছু বাক্যঃ

ইসলামে মুলত ঈমান বলতে বোঝায়, অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি ও কাজে বাস্তবায়ন। আল্লাহর আনুগত্য করার মধ্য দিয়ে ঈমান বাড়ে। আল্লাহর দেয়া বিধি নিষেধ অমান্য করলে ঈমান দিনে দিনে কমে।

সুতরাং বিশ্বাস এমনই একটা জিনিস, আপনি যদি মনে প্রানে তা মেনে নেন, আপনার কাজে কর্মে তার প্রতিফলন ঘটবেই। আমাদের নবী এক হাদিসে বলেছেন, আল্লাহর কসম সে লোক মুমিন নয়, যার হাত ও মুখের অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশিরা নিরাপদ নয়। 

তার মানে কি? তার মানে নবী বলছেন, যে ব্যক্তি মুমিন, তার চরিত্র এ রকম হতে পারে না। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেছেন, মুমিনের মাঝে আর যাই দোষ থাকুক না কেন, মুমীন কখনো মিথ্যেবাদী হতে পারেনা।

তার মানে বুঝা গেল যিনি বিশ্বাসী, যিনি মুমীন তার চরিত্রে এই ধরনের ত্রুটি থাকতে পারে না। 

আরেক হাদিসে তিনি বলেছেন, মুনাফিকের লক্ষন চারটি। ক. যখন কথা বলে তখন মিথ্যা বলে, খ. যখন কোন ওয়াদা করে, তখন তা ভংগ করে, গ. তার কাছে কোন আমানত রাখা হলে তা খেয়ানত করে, এবং ঘ. যখন তর্ক করে তখন খুবই উগ্র আচরন করে।

সুতরাং যার মধ্যে এই চারটি ত্রুটির কোন একটি থাকে, তার মধ্যে মুনাফিকের লক্ষন আছে। আর যার মধ্যে এই চারটি গুনের সব গুলোই আছে, সে পরিপুর্ন মুনাফিক। মুনাফিক হল সেই ব্যক্তি, যার অন্তরে এক, বাইরে আরেক। তাই, কেউ যদি বলে থাকেন তিনি আল্লহকে বিশ্বাস করেন, তবে অবশ্যই তার কাজে তার প্রতিফলন থাকবে। মুখে বলছেন, বিশ্বাস করি, কাজে কর্মে বোঝার উপায় নেই...এমন হলে তিনি খাটি মুমীন নন। তার বিশ্বাস করার দাবী এক ধরনের ঠগবাজি, মুনাফিকি।

আপনাদের একটা উদাহরন দেই। ধরুন, আমরা যেখানে বসে আছি, সেখানে এক ভাই চিৎকার শুরু করলো “আগুন আগুন”। আপনারা কি করলেন? আপনারা যার যার আসনে বসে রইলেন আর বললেন “ও আচ্ছা”। 

তার মানে কি বুঝা গেল? নিশ্চয় আপনারা সেই ভাইয়ের কথা বিশ্বাস করেন নি। ভাবছেন তিনি একটু মজা করেছেন। যদি সত্যি সত্যি আপনারা তার কথা বিশ্বাস করতেন, তবে কি করতেন? আপনারা কি অত্যন্ত জোরে দৌড় দিয়ে এখান থেকে বেরিয়ে যেতেন না?

এটাই বাস্তবতা। বিশ্বাস এমনই এক জিনিস যেটি আপনার কাজে কর্মে প্রকাশ পাবে। এ জন্যই অনেক বিজ্ঞ আলেম বলে থাকেন, দৈনিক ৫ ওয়াক্ত সালাত না পড়া কুফুরি। এটা অনেকটা ইসলাম ত্যাগ করার স্বীকৃতি দেয়ার মত। কারন রসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন। ঈমান আর কুফরের মাঝে পার্থক্য হল নামাজ। যে লোক নামাজ ছেড়ে দিল, সে কুফুরি করলো।

আপনি দেখবেন, অনেকেই আছেন, যারা কথায় কথায় বলে আমি মুসলিম। মুসলিম বলতে আসলে তিনি কি বুঝাচ্ছেন? মুলত মুসলিম বলতে তিনি বুঝাচ্ছেন তিনি কোন দেশের, কোন সংস্কৃতির মানুষ। তারা মুসলিম বলতে বোঝান, তারা পাকিস্তানী কিংবা সোমালী কিংবা বাংলাদেশি...ইত্যাদি।

একটা মজার কথা বলি। বসনিয়ার মুসলিমদের কথা মনে আছেতো? সেই যে সার্বরা তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন, নিপিড়ন আর গনহত্যা চালিয়েছিল। বসনিয়ার মুসলিমদের মধ্যে বেশিরভাগই আমলের দিক দিয়ে খুবই দুর্বল। 

একবার এক সাক্ষাতকারে বসনিয়ার সেনাবাহিনীর এক মুসলিম সদস্য বলছিলেন “দেখুন, আমি মুসলিম ঠিকই, তবে আমি আল্লাহ খোদায় বিশ্বাস করিনা। আমি মুলত নাস্তিক”

আপনাদের হয়তো হাসি পাচ্ছে শুনে। ভাবছেন একদিকে মুসলিম আবার অন্যদিকে নাস্তিক...দুটো এক হয় কি করে? মূলত, তিনি মুসলিম বলতে তার জাতিসত্বাকে বুঝিয়েছেন।

অনেক মুসলিমকে পাবেন যারা মাদক ব্যবসা সহ আরো নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। অথচ তাদের কারো কারো মুখে দাড়ি আছে, আবার কেউবা হিজাব ও পালন করেন। অনেকেই দাড়ি রাখেন, হিজাব পালন করেন, কারন এটা তদের সংস্কৃতির একটা অংশ।

অনেক সৌদি নারীদের কথা শোনা যায়, যারা বিদেশগামী প্লেনে উঠে তাদের হিজাব খুলে ফেলেন। আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, এটা আমাদের সৌদি পোশাক। হয়তো তাদের জানাও নেই, ইসলাম হিজাব সম্পর্কে কি বলে। তারা এতটুকুই জানেন, এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ। 

এ রকম অনেক অনেক মুসলিমদের পাবেন যারা বলে “আমি মুসলিম”। মূলত এটা দ্বারা নিজেরা কোন দেশের কিংবা কোন সংস্কৃতির মানুষ সেটাকেই তারা বুঝায়। সুতরাং, বোঝা গেল কেউ যদি মনে প্রানে বিশ্বাস করে থাকেন, তবে তার আমল ও সে অনুযায়ী ভাল হবে।

(দ্যা রিভার্টস/জীবনের মানে খু্ঁজতে গিয়ে/)

আমি লাইভ গানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে আজকের সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে ভাবি। তরুণীদের অনেকেরই তাদের প্রিয় গায়ককে ষ্টেজে দেখতে পেয়ে উত্তেজনায় মরে যাবার দশা হয়। এটা কি এক ধরনের ব্যক্তি পূজা নয়? আমি নিজেও কি সেটি উস্কে দিচ্ছি না?

বিনোদন দুনিয়ার অনেকেই নিজের তারুণ্য ধরে রাখতে কি না করে। অনেকে প্লাস্টিক সার্জারি করে, নিজেকে সপে দেয় চিকিৎসকের কাচির নিচে। অনেকে নিজের ঠোঁট বদলায়। অনেকে নিজের দেহের আকর্ষণীয় অংশগুলো আরও আকর্ষণীয় করতে কৃত্রিম জিনিসের সাহায্য নেয়। কেউ নেয় ইনজেকশন। সবাই চায় নিজেকে এমন করে ফুটিয়ে তুলতে, যাকে মিডিয়া “সুন্দরী, আকর্ষনীয়" বলে মাথায় তুলে রাখবে।

কিন্তু আপনি যতই চেষ্টা চালিয়ে যান না কেন, কোন ডাক্তার, ঔষধ আপনার যৌবন সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারবে না। সময়ের সাথে সাথে এক সময় শরীর ফুরিয়ে যাবে। টিকে থাকবে আত্মা। আত্মা অমর। একমাত্র জান্নাতেই মানুষ হবে চির যৌবনা। 

তাই বুদ্ধিমানের কাজ হল আত্মার উন্নতির জন্য কাজ করে যাওয়া।

(দ্যা রিভার্টস/MTV থেকে মক্কা/ক্রিস্টিন বেকার)
আপনাদেরকে আমি কিছু কথা বলতে চাই। 

একজন মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে বড় পার্থক্য হল নামাজ। নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমেই কেবল একজন মানুষ সত্যিকারে মুসলিম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ কারনেই, আমি নিজেকে সেই দিন থেকে মুসলিম ভাবি, যেদিন থেকে আমি নিয়মিত নামাজ আদায় করছি। সেদিন থেকে নয়, যেদিন আমি শাহাদাহ উচ্চারন করে মুসলিম হবার ঘোষনা দিয়েছিলাম।

আরেকটা বিষয় হল, খেয়াল করলে দেখবেন আল্লাহ আমাদের জন্য সু চিন্তিতভাবে কিছু কর্ম্পরিকল্পনা দিয়ে দিয়েছেন। আমরা যদি সঠিকভাবে সেগুলো অনুসরন করি, তাহলে আমাদের জীবনে সমস্যা অনেক কমে যাবে। 

যেদিন থেকে আমি নামাজ আদায় করা শুরু করলাম, সেদিন থেকে আমার জীবন বদলে গিয়েছিল। আপনি যদি বুঝে শুনে, ধীরে সুস্থ্‌, আন্তরিকতা ও মনোযোগ নিয়ে নামাজ পড়েন, দেখবেন নামাজ আপনার জীবন বদলে দিয়েছে।

আমার নিজের কথাই বলি। নামাজ শুরু করার পর আমি মাদক নেয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি জানতাম না এটা হারাম। আমি কুরআনে পড়েছিলাম, তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজে দাঁড়াবে না। প্রথম প্রথম এশার নামাজ খুব দ্রুত পড়ে নিতাম। তারপর রাতের দিকে সিগারেটের সাথে মাদক নিতাম। আমাকে পরের দিন আবার খুব ভোরে উঠতে হত, ফজরের জন্য। সেজন্য রাতে ঘুমাতাম তাড়াতাড়ি।

এভাবে নামাজের সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে আমার মাদক নেয়া অনেক কমে গিয়েছিল। এক সময় আমি ভাবলাম, নামাজ আর মাদক দুটো এক সাথে চলতে পারেনা। 

সিদ্ধান্ত নিয়ে একদিন আমি মাদক পুরোপুরি ছেড়ে দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ...

(দ্যা রিভার্টস/জীবনের মানে খুঁজতে গিয়ে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ