বই: ক্রীতদাসের হাসি
লেখক: শওকত উসমান
Rizoana Kamal Bosra (review credit)
📕প্রেক্ষাপট:
ক্রিতদাসের হাসি মূলত শওকত উসমানের একটি প্রতীকধর্মী উপন্যাস। এখানে লেখক খলিফা হারুন রশীদের চরিত্র নির্মাণ করেছেন তা স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকেই প্রতীকরূপ অন্যদিকে নির্যাতিত বন্দী তাতারী যেন বাংলার নির্যাতিত মানুষের প্রতীকীরূপ।এরই মধ্যে দিয়ে ঔপন্যাসিক ষাটের দশকের অবরুদ্ধ বাংলাদেশের সমাজবয়বস্থা-অত্যাচারী শাসকের নগ্নরূপ-নির্যাতিত বাঙালির আহাজারি ফুটিয়ে তুলেছেন। বাঙালির অবরুদ্ধতাি "ক্রিতদাসের হাসি" উপন্যাসটির কাহিলকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
📕কাহিনী সংক্ষেপ:
ক্রিতদাসের হাসি উপন্যাসে বাদশাহ হারুনর রশীদ হলেও মূল চরিত্র ক্রীতদাস তাতারী। নিঃসঙ্গতা-শূন্যতা-বেদনাময় স্মৃতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাদশাহ মশরুরের সাথে বাগানে পায়চারি করে। কিন্তু স্মৃতি তাকে রক্তাক্ত করে তুলে ক্ষমা করে না।এমন সময় সে এক অদ্ভুত স্বর্গীয় হাসি শুনে ক্ষিপ্ত ও ঈর্ষান্বিত হয় এবং এ হাসির উৎস খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
হাসির উৎস বাঁন্দী মেহেরজান ও ক্রিতদাস তাতারী জেনে বাদশাহ আকর্ষিকভাবে তাদের ক্ষমা করে এবং তাদের মুক্তি দিয়ে দেন।মেহেরজান কে বিবি করে পাঠিয়ে দেন অন্দরমহলে। আর তাতারীকে বাগিচার মালিক বানিয়ে দেন এই শর্তে যে, বাদশার মন ভারাক্রান্ত হলেই তাকে হাসি শুনাতে হবে। তাতারী বুঝতে পারে সে প্রকৃতপক্ষে বন্দী এবং তার প্রিয়তমাকে সুকৌশলে তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।,তখন সে চিরতরে স্তব্ধ হয়ে যায় না এবং হারিয়ে যায় তার হাসি।
নানাভাবে শাস্তি দিয়েও বাদশাহ তাতারীকে হাসাতে ব্যর্থ হয়।অবশেষে কতল করার হুকুম দিলে মেহেরজান বাদশা পত্নীর আবরন খুলে পুরনো প্রেমিক তাতারীর দুঃখ মুছে দেয়। তখনই তাতারী মুখ খুলে এবং বাদশাহ কে তার ক্ষোভের বানী শুনা—"শোন,হারুনর রশীদ! দিরহাম দৌলত দিয়ে ক্রিতদাস গোলাম কেনা চলে।বান্দী কেনা সম্ভব। কিন্তু–কিন্তু ক্রিতদাসের হাসি না,,,,না,,,,না,,,না,,,"
📕প্রিয় উক্তি:
📖কৌতূহলী মানুষ কখনই আরামের স্বাদ-পার্থী নয়।
📖দর্শকার আর শরীকদার রূপেই জীবনকে মেলাতে হয়,তবেই জীবনের শতদল ফোটে।
📖স্মৃতি লাশ জেন্দা করে।
📖যুক্তির পেছনে থাকে মুক্তির স্বপ্ন।আর মুক্তির স্বপ্নই মানুষকে মানুষ বানায়।
📖হাসি মানুষের আত্মার প্রতিধ্বনি।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....