মুক্ত ভাবনা | Free thought by Dr. Salman Al Awdah | Mukti Bhabna

মুক্ত ভাবনা PDF available only for Hardcopy
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহ
প্রকাশনী : ছায়াবীথি
বিষয় : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
অনুবাদক : আব্দুল আহাদ তাওহীদ
পৃষ্ঠা : 224, কভার : হার্ড কভার
আইএসবিএন : 9789849584223, ভাষা : বাংলা


সাপ্লায়ার জানিয়েছেন এই পণ্যটি 12 February প্রকাশিত হতে পারে। প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পণ্যটি পেতে আগেই অর্ডার করে রাখুন ।
বইঃ মুক্ত ভাবনা PDF | Free thought by Dr. Salman Al Awdah | Mukti Bhabna


জাতি বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি জনগণ স্বাধীনতার সুফল উপভোগ করবে, এটা তার মৌলিক অধিকার। এক্ষেত্রে অধিকার চর্চা করা হলে বলিষ্ঠ কণ্ঠগুলো প্রতিবাদ স্বরে দামামা বাজাবে একসাথে। আমার রাষ্ট্রে হস্তগত করার অধিকার কে দিল আপনাকে? এক রাজনীতিবিদ বলেছেন “এ দেশ আমাদের, সমস্যাও আমাদের, আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে।” আর এটাই ছিল খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ।

বহিরাগতদের হানায় ল-ভ- হবে তিলে তিলে ঘাম আর রক্ত-মাংস বিসর্জন দিয়ে গড়ে তোলা আমার এ প্রিয় মাতৃভূমি?”
“ব্যর্থতা আর হতাশার কাছে যখন আমরা পরাজয় বরণ করি; তখন নিতান্তই আমরা মনোবল হারিয়ে ফেলি। ব্যর্থ হওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়। ব্যর্থতা নতুন করে শেখার প্রেরণা জোগায়। ব্যর্থতা আমাদের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করে। ব্যর্থতা একটি পরীক্ষা মাত্র। ব্যর্থতার মাঝেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যত উজ্জল হওয়ার স্বপ্নগুলো।”

“গঠনমূলক সমালোচনা করতে কারো কোনো আপত্তি নেই। তবে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে সমালোচনার মাধ্যমে যেন হিংসার বহিঃপ্রকাশ না ঘটে। সমালোচনা কিন্তু অত্যন্ত দুঃসাধ্য কঠিন একটি কর্ম। যে কারও পক্ষে সম্ভব নয় এ কাজটি করা। কেননা এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর পড়াশোনা, গবেষণা ও বিশ্লেষণ। সমালোচনা হবে অপরের ভুল শুধরানোর একটি মাধ্যম কেবল। তবে এ সমাজে কেউ সমালোচনা করে না। সকলেই পরনিন্দায় ব্যস্ত। এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ।”

আত্মার খোরাক __________________

* ক্ষুধা - যেন তোমাকে কিছু বীজ বপন করতে ভুলিয়ে না দেয় । 

* আমি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম । আর আমার বয়স তো এখন পঞ্চাশ ঊর্ধ্বে । আমার দায়িত্ব বা কর্তব্য হিসেবে আমি কি আমার সন্তানদের বিষয়গুলো নিশ্চিতভাবে অনুধাবন করতে পারি ? তাদের প্রাপ্য আদায় করার ক্ষেত্রে তারা কি আমার প্রতি সন্তুষ্ট ? বাবা হিসেবে আমার প্রতি তাদের অনুভূতির বাস্তবতা কি ? তারা কি আমাকে উপেক্ষা করে চলে , নীরবতা পালন করে ও ক্রোধ সংবরণ করে নাকি আমার জন্য এটা ব্যর্থতা যে , আমি অন্য প্রজন্মেরে মানুষ বিধায় তারা আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে । সেটা কি সোহার্দ্যপূর্ণ আচরণ , সন্তুষ্টি , অজুহাত নাকি ভর্ৎসনার কোনো অংশ ?

*  সুতরাং যদি তৃতীয়টি ( ভর্ৎসনা ) হয় , তাহলে সেটাই আমার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মহৎ কাজ । কেননা আমি এ বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারি যে , সেটা হবে তাদের সাথে আমার সংলগ্ন রক্তপিন্ডের স্বভাবের কারণে তিরষ্কারের উপযুক্ত । ^ আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো , তোমার অন্তরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কি ? উত্তরে বললাম , সে অন্তরের মধ্যে বিদ্বেষকে স্থায়ীভাবে বাস করার অনুমতি প্রদান করে না । পুনরায় সে আমাকে জিজ্ঞেস করল , বোধশক্তির বিশেষ বৈশিষ্ট্য কি ? উত্তরে আমি বললাম , সে প্রতি মুহূর্তে শিখতে চায় । ক্ষণিকটা বিলম্ব করে সে আমাকে আবার জিজ্ঞাসা করল , তোমার অন্তরও কি শিখতে চায় ? আমি বললাম , সে ভোগ বতে চায় । কিন্তু শিখতে চায় না । বরং সে প্রতিবারই ভালোবাসার ভুল পুনরাবৃত্তি করে । কেমন যেন এটা তার জন্য এ প্রথমবার সংঘটিত হলো । 

*  তুমি সবসময় তোমার আবেগকে দমন করবে না । কেননা কখনো কখনো আবেগ প্রকাশ করলে দুঃখ বেদনা কিছুটা হলেও লাঘব হয় । 

* একদিন আমি আমার সাথীকে পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে বললাম , তোমার প্রতি আমি নিজেকে আত্মনিয়োগ করব যেভাবে তুমি চেয়েছ । আর যেভাবে তুমি মনেপ্রাণে আকাঙ্খা করেছ সেভাবে আমি পূর্ণ অজুহাত পরিহার করে চলব । 

* অনুভূতি দমন করার ফলে মানসিক ব্যথা এবং উৎকন্ঠা সঞ্চারিত হয় । এ প্রচেষ্টা চালাবে যে , তুমি তোমার অনুভূতিগুলো বুদ্ধিমান বন্ধুর কাছে প্রকাশ করবে । আর যদি বুদ্ধিমান কোনো বন্ধু না পাও তাহলে তুমি খাতা কলম নিয়ে বসে পড়ো এবং তোমার হৃদয়ে উঁকি দেয়া কথামালাগুলো খাতায় লিপিবদ্ধ করে ফেলো । 

* তুমি সাজদায় আল্লাহকে তোমার দুর্ভোগ , কষ্ট , ব্যথা এবং দুঃখ - বেদনা- সব বলো । 

* এবার থামো ! অনেক হয়েছে । আর অবধ্য হয়ো না । সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করো । ক্ষমা প্রার্থনা করো । আর জেনে রাখো ! তুমি যত বড়ো অপরাধী হও না কেন , তিনি কিন্তু অত্যন্ত ক্ষমাশীল , চির দয়াময় । 
 
* একটু ভেবে দেখো ! তোমার প্রভাব - প্রতিপত্তি কি তোমার শক্তি ও সততার উপর নির্ভর করে নাকি তোমার বিরোধীদের বিশৃঙ্খলা ও দুর্বলতার উপর ? সুতরাং দুর্বল একদিন শক্তিশালি হবে এবং অযোগ্য যোগ্য হবে । আর ঐশ্বরিক প্রবর্তন কারো পক্ষপাতিত্ব করে না । 

* হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি কতইনা উত্তম । আমাদের চাহন ভঙ্গি দেখে তো আপনি আমাদের সার্বিক অবস্থার ব্যাপারে সম্যক অবগত । এর উপর ভিত্তি করে আমরা আপনার কাছে মিনতি করি যেভাবে আপনি আদেশ করেছেন । সুতরাং আপনি আমাদের আহ্বানে সাড়া দিন যেভাবে আপনি আমাদের সাথে প্রতিশ্রুতবদ্ধ হয়েছেন । + নীরবতা আমার আশ্রয় এমন সকল স্থানে যেখানে আমি দুঃখজনক বিভিন্ন তথ্য পাই । আর নীরবতা ও দুঃখ একত্র করতে করতে এখন ক্লান্ত আমি I হে মহাশক্তিধর ! আমি বিষন্ন হৃদয়ে দাঁড়িয়ে আছি অনেকের কষ্টের সামনে । এ প্রেক্ষিতে আমার ব্যথা ছাড়া আর কিছুই নেই । 

* আপনি বক্তব্য দিন । কারণ বক্তব্য সুখ এবং অনুপ্রেরণা সঞ্চার করে । তুমি নিজেকে চিনতে শেখো । কেননা এটি গোপনীয়তা এবং অন্তর্মুখী থেকে ভালো । * আমি মানুষের প্রয়োজনে তাদের খুঁজে পেয়েছি । তারা ওই ব্যক্তির মুখাপেক্ষী , যে তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে এবং কান পেতে তাদের কষ্ট শুনে । তাদের সাথে আলোচনা করার জন্য তাদের প্রয়োজনের চেয়ে অধিকহারে সত্য অনুভূতিকে অদলবদল করে । 

* সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধটি হলো , নিজের সাথে লড়াই করা সাহসের সাথে সাহসিকতার সহিত । তাহলে তুমি সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হবে ।

* তুমি কি দেখো না ! যেকোনো ক্ষেত্রে নিজেকে অনুসরণীয় মনে করার কারণে তোমার উপর আবশ্যক হয়ে গিয়েছে অসার যুক্তি ছেড়ে দিয়ে পথ চলতে শুরু করা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ