আলিয়া মাদরাসার ইতিহাস
মুল রচনা : মাওলানা আবদুস সাত্তার
অনুবাদে : মোস্তফা হারুন
প্রকাশনায় : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
পৃষ্ঠা : ২১৭
সাইজ : ৯ মেগাবাইট
১৭৫৭ সালে সুবায়ে বাংলার শাসন ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যাওয়ার পর এ অঞ্চলের মুসলমানদের তাহজীব-তমুদ্দন ও শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অধঃপতন শুরু হয়। ইংরেজি ও আধুনিক শিক্ষা থেকে মুসলমানরা নিজেদেরকে দূরে রাখার ফলে দিনে দিনে তারা অবহেলিত ও অসহায় হয়ে পড়তে থাকে। সরকারী চাকরি-বাকরি ও ব্যবসায়-বাণিজ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে তারা অর্থনৈতিকভাবে দীনতার শিকারে পরিণত হয়। মোটকথা, শিক্ষা-দীক্ষা, তাহজীব-তমদ্দুন, রাজনীতি-অর্থনীতি সকল বিষয়ে মুসলমানরা পিছিয়ে পড়তে থাকে।
এমনি এক ক্রান্তিকালে কলকাতার কয়েকজন বিশিষ্ট মুসলমান তঙ্কালীন বাংলার শাসনকর্তা লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই মর্মে একটি আবেদন করেন যে, তিনি যেন এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন যেখানে মুসলমানদের ছেলে-সন্তানরা ইসলামী ও যুগোপযোগী লেখাপড়া শিখতে পারে।
এই পটভূমিতে ১৭৮০ সালের অক্টোবর মাসে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে প্রস্তাবিত মাদ্রাসার উদ্বোধন করে এর যাত্রা শুরু করা হয়। যা পরে ‘আলিয়া মাদ্রাসা’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
তৎকালীন কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছিল মুসলমানদের শিক্ষা-সংস্কৃতি, তাহজীব-তমদ্দুন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও চেতনা। এই মাদ্রাসা থেকে হাজার হাজার আলেমে দ্বীন সৃষ্টি হয়েছেন, যাঁরা পরবর্তীতে উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করেন।
তাই আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস নয় বরং একে বাংলা-আসামের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ইতিহাসের মুখবন্ধ বলা চলে। ‘আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস’ শীর্ষক মূল গ্রন্থটি উর্দুভাষায় রচনা করেন আলিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন প্রভাষক মাওলানা আবদুস সাত্তার। গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক জনাব মোস্তফা হারুন। এটি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
Google Drive
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....