জবাব, আরিফ আজাদ book review with PDF short link available

জবাব (পেপার ব্যাক)
লেখক : আরিফ আজাদ, জাকারিয়া মাসুদ, ডা. শামসুল আরেফীন, মহিউদ্দিন রূপম, মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিন
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন
বিষয় : অন্ধকার থেকে আলোতে
পৃষ্ঠা : 216, কভার : পেপার ব্যাক

image of জবাব PDF (পেপার ব্যাক) লেখক : আরিফ আজাদ, জাকারিয়া মাসুদ, ডা. শামসুল আরেফীন, মহিউদ্দিন রূপম, মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিন প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন বিষয় : অন্ধকার থেকে আলোতে


আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদের তৃতীয় আরেকটি বই এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ‘জবাব’। তবে এখানে শুধু আরিফ আজাদের লেখা নয়, বইটিতে বাংলাদেশের প্রথিতযশা যে কয়েকজন লেখক ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সংশয়মূলক কিছু প্রশ্নের জবাব এবং ইসলামের সত্যতা নিয়ে লিখেছেন, তাদের লেখাও আছেন। তাঁরা হচ্ছেন:
.
ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি, মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিন, আরিফুল ইসলাম, জাকারিয়া মাসুদ, মহিউদ্দিন রূপম, মুরসালিন নিলয়-সহ প্রমুখ।সম্পাদনা করেছেন: মুফতি তারেকুজ্জামান, মুফতি আবুল হাসানাত কাসিম, উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ, জাকিয়া সিদ্দীকি।

বিজ্ঞান ও বিশ্বাস — যা আমাদের অজানা ডা . রাফান আহমেদ

ছেলেবেলায় বিজ্ঞানের প্রথম যে বইটি আমি হাতে পেয়েছিলাম — তা ছিল একটি সায়েন্স ফিকশন ; মজাই লাগত পড়তে । ভবিষ্যতের নায়ক বাইভার্বেল নামক এক অদ্ভুত বাহনে চড়ে আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে , হাতে থাকা ক্রিস্টাল স্ক্যান করতেই মুহূর্তের মাঝে হলোগ্রাফিক মানুষ যান্ত্রিক কণ্ঠে ‘ হ্যালো ’ বলে উঠছে , মাথার পেছনে থাকা পোর্ট দিয়ে সরাসরি তাকে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে ; ফলে সে প্রবেশ করছে পরাবাস্তব জগতে ! এমন আরও কত কী ! গাদা গাদা সায়েন্স ফিকশন পড়ার পর বর্তমান বিজ্ঞানের বই হাতে আসার পর জেনেছি — 

সেগুলো ছিল পপুলার সায়েন্সের বই ; সংক্ষেপে এদের বলা হয় পপ সায়েন্স । এগুলোতে দেখি বিজ্ঞানের জয়জয়কার ; শুধু চমক লাগানো তথ্য আর ছবির সমাহার । পড়ালেখা বাদ দিয়ে গোগ্রাসে গিলতাম সেগুলো । বিজ্ঞান সম্পর্কে এমন ধারণা নিয়েই হয়তো চলতাম ; যদি না বিজ্ঞানকে আমার আদর্শিক অবস্থানের বিপরীতে দাঁড় করানো হতো । 3 ভার্সিটি লেভেলে উঠে যখন আরও বড় একটি জগতের সাথে পরিচয় ঘটে , তখন আগের জীবনে শেখা অনেক কিছুতেই সংশয় আসতে শুরু হয় । এই পথে একসময় প্রায় হারিয়ে ফেলি আমার পরিবার থেকে পাওয়া ইসলামের প্রতি বিশ্বাস ( পরে জেনেছিলাম — 

সেই বিশ্বাসটাও আসলে ফোক ইসলাম ছিল , মূল ইসলাম না ) । এই হারিয়ে ফেলার পেছনে নাস্তিকদের প্রচার করা একটি ন্যারেটিভ ভূমিকা রেখেছিল । তাদের মতে , বিজ্ঞান হলো কেবলই যুক্তি - প্রমাণসিদ্ধ সত্যের ঘনঘটা । আর ধর্ম হলো অপ্রমাণিত কিছু বিশ্বাসের ডালা । বিশ্বাসের বালাই বিজ্ঞানের গণ্ডিতে নেই । বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় বিজ্ঞানপ্রচারকের ভক্ত হওয়ার কারণে তার লেখা থেকেই বিজ্ঞান আর ধর্মের তফাতটা চট করে শিখে ফেলি । 

তিনি বলেছেন— ‘ ধর্মের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস , কাজেই ধর্মগ্রন্থে যা লেখা থাকে সেটাকে কেউ কখনো প্রশ্ন করে না , গভীর বিশ্বাসে গ্রহণ করে নেয় । বিজ্ঞানে বিশ্বাসের কোনো স্থান নেই । ’ 

[ ১ ] অধিকাংশ মানুষ চিন্তা ছাড়াই সমাজের প্রচলিত ন্যারেটিভ মেনে নেয় , সেলিব্রেটিদের অনুসরণ করে ; আমিও তাই করতাম হয়তো ; কিন্তু কী যেন বাদ সেধে বসল । ভাবলাম — একটু বিদ্রোহী হই ; মেনে নেওয়ার আগে পরখ করে দেখি । পরখ করতে গিয়ে দেখি , ওরে বাপস্ , এ যে কেঁচো খুঁড়তে সাপ ! গল্পটা বলি একটু । গরম চা রেডি তো ? চায়ে চুমুক দিয়ে পড়ার মজাই আলাদা । বিজ্ঞান পড়তে গিয়ে প্রথমেই আগ্রহ জাগে বিজ্ঞান কাকে বলে , তা বোঝার । ইন্টারনেট ও ইউটিউব ঘুরে জানতে পারি , বিজ্ঞান - দর্শন ( Philosophy of science ) বলে একটা বিষয় আছে ; আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ানো হয় । বিজ্ঞানীরা বস্তুজগতের নানা বিষয় ; যেমন : মৌল বা যৌগ , কোনো প্রাণী , পদার্থের গতিবিধি ইত্যাদি গবেষণা করে সিদ্ধান্ত দেন ; আর বিজ্ঞানের দার্শনিকেরা কীভাবে বিজ্ঞানীরা এসব সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন অর্থাৎ তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তি কী তা নিয়ে গবেষণা করেন । 

সোজা কথায়— বিজ্ঞানের কর্মপদ্ধতি , এর অনুমান , উপযোগিতা , সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি নিয়ে কলম চালান । এ নিয়ে বেশকিছু বইও পড়ে ফেললাম । বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক বই । আগ্রহ এতই চরমে উঠল , মেডিকেলের নাভিশ্বাস তোলা পড়াশোনার মাঝেও এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন কোর্সও করে ফেলি । এই পড়াশোনার মাঝেই বুঝতে পারি , বিজ্ঞানের দর্শন সম্পর্কে অধিকাংশ বিজ্ঞানী সামান্যই ধারণা রাখেন । বিজ্ঞানের সুফলই তাদের জন্য যথেষ্ট , আমাদের জন্যও 

[ ১ ] একটুখানি বিজ্ঞান , মুহম্মদ জাফর ইকবাল ; পৃষ্ঠা : ১৩ ( কাকলী প্রকাশন , ২০০৬ )

বিজ্ঞান ও বিশ্বাস — যা আমাদের অজানা তা - ই । 
আমি যে ফিল্ডে কাজ করি , সেখানেও একই দশা । আপনি ১০০ জন মেডিসিনের প্রাজ্ঞ প্রফেসরকে যদি জিজ্ঞেস করেন মেডিসিনের দর্শন পড়েছেন ? আপনার কথা শুনে তারা আপনাকে পাগল ঠাওরাবে । অথচ আমি নিজেই বিজ্ঞানের দর্শনের পেছনে ছুটতে ছুটতে মেডিকেলের দর্শন নিয়ে লেখা একাডেমিক বইও পেয়ে গেছি ।  

বিজ্ঞানের দর্শন পড়ে জানতে পারি , বিজ্ঞান তার গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগেই কিছু ধারণাকে ‘ ঠিক ’ বলে ‘ ধরে নেয় ’ ; অন্যভাবে বললে , ‘ বিশ্বাস করে নেয় ’ ! এগুলোকে বলা হয় এসাম্পশান / প্রিসাপজিশানস অব সায়েন্স ( assumption or presupposition of science ) ! নামকরা একজন একাডেমিকের বইতে প্রিসাপজিশানের সংজ্ঞায় দুটি বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে 

[ ১ ] —এক . প্রারম্ভিক ধারণা । দুই . যা যাচাই বা প্রমাণ করা সম্ভব নয় । এইবার লেগে গেল খটকা ! এতদিন কোন বিজ্ঞান শিখলাম মুখরোচক বই পড়ে ! একাডেমিক বই দেখি মুখ তেতো করে দিলো ! এতদিন বিজ্ঞান শিখে এলাম — বিজ্ঞান মানে যুক্তি - প্রমাণের তীক্ষ্ণ ধার । এর মধ্যে বিশ্বাসের ভোঁতা ছুরি ঢুকে গেল কীভাবে ! 

Jobab by Arif Azad PDF (short link) Hardcopy Order link

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ