মহানবির যুদ্ধজীবন PDF (short link) লেখক : হাসান রাউফুন | Mohanobir juddho jibon

মহানবির যুদ্ধজীবন
লেখক : হাসান রাউফুন
প্রকাশনী : শব্দশৈলী
বিষয় : সীরাতে রাসূল (সা.)
পৃষ্ঠা : 168, কভার : হার্ড কভার
আইএসবিএন : 9789849574378, ভাষা : বাংলা

সাপ্লায়ার জানিয়েছেন এই পণ্যটি 15 January প্রকাশিত হতে পারে। প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পণ্যটি পেতে আগেই অর্ডার করে রাখুন ।

আরববাসী আল্লাহকে ভুলে লিপ্ত হয়েছিল বিভিন্ন পাপাচারে। তারা কুসংস্কার, মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, চুরি-ডাকাতি, হত্যা, লুষ্ঠন, সুদ, মদ-জুয়া ও ব্যভিচারে লিপ্ত থাকত। অবক্ষয় হয়েছিল মানবতার। মানবের এই চরম দুর্দিনে আল্লাহতায়ালা দুনিয় প্রেরণ করলেন পরম বন্ধু, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সর্বশেষ নবি, সত্য-সুন্দর-ন্যায়-নীতির প্রচারক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। তরুণ বয়সে মুহাম্মদ (সা.) গড়ে তােলেন; হিলফুল ফুজুল নামক একটি সংঘ। 

মহানবির যুদ্ধজীবন PDF (short link) লেখক : হাসান রাউফুন মহানবির যুদ্ধজীবন by হাসান রাউফুন,book review 2022, Hasan Rowfun, Prophet Muhammad,Islamic book

আরববাসীর মধ্যে বিদ্যমান হিংস্রতা, খেয়ানত প্রবণতা প্রতিশােধস্পৃহা দমনে সংঘটি বিরাট ভূমিকা রাখে। সঙ্গে সঙ্গে সত্যবাদী, বিশ্বাসী, আমানতদার, বিচক্ষণ, পরােপকারী, শান্তিকামী যুবক হিসেবে তার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মুহাম্মদের সুখ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে খাদিজা তাঁকে নিজের ব্যবসার জন্য সফরে যাবার অনুরােধ জানান। মুহাম্মদ (সা.) এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। খাদিজার মুখে মুহাম্মদের সততা ও ন্যায়পরায়ণতার ভূয়সী প্রশংসা শুনে অভিভূত হন। এছাড়া ব্যবসায়ের সফলতা দেখে তিনি তাঁর যােগ্যতা সম্বন্ধেও অবহিত হন এবং তাঁর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে ও আবদ্ধ হন। 

মুহাম্মদের বয়স যখন ৩৫ বছর তখন কাবা গৃহের পুনর্নির্মাণের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয়। পুরােনাে ইমারত ভেঙে নতুন করে তৈরি করা শুরু হয়। ৪০ বছর বয়সে (৬১০) শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভ করেন। এই সময়েই সৃষ্টিকর্তা তাঁর কাছে বাণী প্রেরণ করেন। প্রথমে তিনি গােপনে ইসলাম প্রচার করেন। তিন বছর গােপনে দাওয়াত দেওয়ার পর মুহাম্মদ (সা.) প্রকাশ্যে ইসলামের প্রচার শুরু করেন। এরই মধ্যে তিনি মেরাজে গমন করে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরম্পরায় তিনি তায়েফ এবং মদিনায় গমন করে ইসলামের দাওয়াত দেন। এতে অনেক বিধর্মী মহানবির যুদ্ধজীবনও ৭ ভূমিকা আরববাসী আল্লাহকে ভুলে লিপ্ত হয়েছিল বিভিন্ন পাপাচারে। 

তারা কুসংস্কার, মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, চুরি-ডাকাতি, হত্যা, লুষ্ঠন, সুদ, মদ-জুয়া ও ব্যভিচারে লিপ্ত থাকত। অবক্ষয় হয়েছিল মানবতার। মানবের এই চরম দুর্দিনে আল্লাহতায়ালা দুনিয় প্রেরণ করলেন পরম বন্ধু, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সর্বশেষ নবি, সত্য-সুন্দর-ন্যায়-নীতির প্রচারক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। তরুণ বয়সে মুহাম্মদ (সা.) গড়ে তােলেন;হিলফুল ফুজুল নামক একটি সংঘ। আরববাসীর মধ্যে বিদ্যমান হিংস্রতা, খেয়ানত প্রবণতা প্রতিশােধস্পৃহা দমনে সংঘটি বিরাট ভূমিকা রাখে। সঙ্গে সঙ্গে সত্যবাদী, বিশ্বাসী, আমানতদার, বিচক্ষণ, পরােপকারী, শান্তিকামী যুবক হিসেবে তার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মুহাম্মদের সুখ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে খাদিজা তাঁকে নিজের ব্যবসার জন্য সফরে যাবার অনুরােধ জানান। 

মুহাম্মদ (সা.) এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। খাদিজার মুখে মুহাম্মদের সততা ও ন্যায়পরায়ণতার ভূয়সী প্রশংসা শুনে অভিভূত হন। এছাড়া ব্যবসায়ের সফলতা দেখে তিনি তাঁর যােগ্যতা সম্বন্ধেও অবহিত হন এবং তাঁর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে ও আবদ্ধ হন। মুহাম্মদের বয়স যখন ৩৫ বছর তখন কাবা গৃহের পুনর্নির্মাণের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয়। পুরােনাে ইমারত ভেঙে নতুন করে তৈরি করা শুরু হয়। ৪০ বছর বয়সে (৬১০) শেষ নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভ করেন। 

এই সময়েই সৃষ্টিকর্তা তাঁর কাছে বাণী প্রেরণ করেন। প্রথমে তিনি গােপনে ইসলাম প্রচার করেন। তিন বছর গােপনে দাওয়াত দেওয়ার পর মুহাম্মদ (সা.) প্রকাশ্যে ইসলামের প্রচার শুরু করেন। এরই মধ্যে তিনি মেরাজে গমন করে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরম্পরায় তিনি তায়েফ এবং মদিনায় গমন করে ইসলামের দাওয়াত দেন। এতে অনেক বিধর্মী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তবে ইসলাম প্রচারে তিনি প্রচণ্ড বাঁধার সম্মুখীন হন। এই জন্য তাঁকে বেশকিছু ছােটো-বড়াে যুদ্ধ ও অভিযানে অংশগ্রহণ করে নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দিতে হয়েছে। কিন্তু এসব যুদ্ধ প্রচলিত যুদ্ধ থেকে আলাদা ছিল। কারণ মহানবির যুদ্ধগুলাে প্রচলিত সামরিক অভিযান ছিল না, সাম্রাজ্য বিস্তার বা ধন-সম্পদ উপার্জনের লক্ষ্যও ছিল না। বেশির ভাগ যুদ্ধই ছিল মুসলিমদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। 


যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর প্রধান কাজ ছিল প্রতিরােধ করা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মহানবি তাঁর বাহিনীকে আগে আক্রমণ করতে নিষেধ করতেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ১৪ বছর বয়সে (৫৮৫ সালে) প্রথম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৬২৪ থেকে ৬৩২ সাল পর্যন্ত মােট আট বছর ধরে সংগ্রাম করে গিয়েছেন। শক্তিশালী কুরাইশ গােত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পবিত্র মক্কা নগরী থেকে তাকে এবং তার অনুসারীদের বিতাড়িত করা হয়। তিনি মক্কার কাফেলাগুলাে বাধা দিতে শুরু করেছিলেন। ৬২৪ সালে বদর যুদ্ধের প্রথম লড়াইয়ের পরে তাঁর শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। বিজয়ের মাধ্যমে তিনি অন্যান্য গােত্র প্রভাবিত করতে শুরু করেন। ৬৩০ সালে তিনি অবশেষে মক্কা এবং কাবা জয়ের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জন করেন। ৬৩২ সালে তাঁর মৃত্যুর সময়ে তিনি আরব উপদ্বীপের বেশির ভাগ অঞ্চল একত্র করতে পেরেছিলেন বলেই ইসলাম বিস্তারে সুবিধা হয়েছিল। 


ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য তিনি প্রথম যুদ্ধ করেন ৫৩ বছর বয়সে (৬২৪ সালে); এটি ছিল বদরের যুদ্ধ। আবার ছােটো ছােটো যুদ্ধ ও অভিযানে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে এসব যুদ্ধ মনােবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছিল। এসব যুদ্ধে সৈন্যের (মুসলিম-অমুসলিম) নিহতের সংখ্যা খুব কম, মাত্র এক হাজার ১৮। এত ছােটো-বড়াে যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা সমকালের ইতিহাসে একেবারই নগণ্য। তবে যুদ্ধগুলাে মানবিক ছিল বলেই বেঁচে গিয়েছে লাখাে মানুষ। বর্বর আরবরা সভ্য হয়েছিল এসব যুদ্ধের বিনিময়ে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছিল আরব সমাজে। নারীরাও বেঁচে গিয়েছিল নিষ্ঠুরতা পুরুষতন্ত্র থেকে। 


একজন শহিদের রক্তের বিনিময়ে ইসলামের বিস্তৃতি ঘটেছিল দৈনিক দুই হাজার ৭৪০ বর্গমাইল। (গুলজার আহমদ : The battle of Prophet of Allah, Karachi, 1975, P. 28) মহানবির হাতে একজন অমুসলিমও নিহত হয়নি। তরবারি ব্যবহারের চেয়ে ক্ষমাই ছিল তাঁর যুদ্ধনীতি। শতক্রদের সম্পদ নষ্ট না করার নির্দেশ ছিল ৮০ মহানবির যুদ্ধজীবন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তবে ইসলাম প্রচারে তিনি প্রচণ্ড বাঁধার সম্মুখীন হন। এই জন্য তাঁকে বেশকিছু ছােটো-বড়াে যুদ্ধ ও অভিযানে অংশগ্রহণ করে নেতৃত্ব ও নির্দেশনা দিতে হয়েছে। কিন্তু এসব যুদ্ধ প্রচলিত যুদ্ধ থেকে আলাদা ছিল। 


কারণ মহানবির যুদ্ধগুলাে প্রচলিত সামরিক অভিযান ছিল না, সাম্রাজ্য বিস্তার বা ধন-সম্পদ উপার্জনের লক্ষ্যও ছিল না। বেশির ভাগ যুদ্ধই ছিল মুসলিমদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর প্রধান কাজ ছিল প্রতিরােধ করা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মহানবি তাঁর বাহিনীকে আগে আক্রমণ করতে নিষেধ করতেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ১৪ বছর বয়সে (৫৮৫ সালে) প্রথম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৬২৪ থেকে ৬৩২ সাল পর্যন্ত মােট আট বছর ধরে সংগ্রাম করে গিয়েছেন। শক্তিশালী কুরাইশ গােত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পবিত্র মক্কা নগরী থেকে তাকে এবং তার অনুসারীদের বিতাড়িত করা হয়। তিনি মক্কার কাফেলাগুলাে বাধা দিতে শুরু করেছিলেন। ৬২৪ সালে বদর যুদ্ধের প্রথম লড়াইয়ের পরে তাঁর শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। বিজয়ের মাধ্যমে তিনি অন্যান্য গােত্র প্রভাবিত করতে শুরু করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ