মন জোছনার কান্না PDF (short link) Mon Josnar Kanna by Mostaq Ahmed

মন জোছনার কান্না
লেখকঃ মোশতাক আহমেদ
Publisher অনিন্দ্য প্রকাশ
Quality হার্ডকভার
ISBN 9789849577522
Edition 1st Published, 2022
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

এই বইটি 01 Jan 2022 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে দৈব দুর্বিপাক বা বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে।

ছােট্ট একটা টিনের ঘর। ভিতরে একজন মানুষকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তার দুই হাতে শিকল, শিকল তার কোমরেও। মানুষটার নাম হামিদ। আজ প্রায় বিশ বছর ধরে সে এই ঘরে আছে। ডাক্তার তরফদার হামিদের ঘরে প্রবেশ করলেন। হামিদ মাদুরের উপর দুই পায়ে ভর দিয়ে বসে আছে। হাত দুটোকে এমনভাবে পেট আর হাঁটুর মাঝে রাখা, দেখে মনে হবে বুঝি শীতে কষ্ট পাচ্ছে খুব। অথচ ঘরের বাইরে এবং ভিতরে বেশ গরম। ডাক্তার তরফদার মােলায়েম কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছাে হামিদ? হামিদ কোনাে কথা বলল না।
মন জোছনার কান্না PDF (short link) Mon Josnar Kanna by Mostaq Ahmed Mostaq Ahmed Books PDF Download Free, লেখক মোস্তাক আহমেদ এর সমস্ত বই PDF download


শরীর কেমন তােমার? হামিদ চোখ বড় বড় করে ডাক্তার তরফদারের দিকে তাকাল যেন খুব বিরক্ত সে। ডাক্তার তরফদার হামিদের জন্য ডালিম নিয়ে এসেছেন। একটা বাটিতে ডালিমটা রেখে এগিয়ে দিলেন হামিদের দিকে। হামিদ ছোঁ মেরে নিল ডালিমটা। তারপর দাঁত দিয়ে কামড়ে উপর থেকে খানিকটা অংশ আলাদা করে ফেলল। তাতে বেরিয়ে এলাে ডালিমের লাল রঙের কোয়া। মুখে দিয়েই কাঁদতে শুরু করল। এমন কান্না, যে কেউ দেখলে খুব মায়া অনুভব করবে হামিদের জন্য। ডাক্তার তরফদার এই মায়ার টানেই বারবার আসেন হামিদের কাছে। ডাক্তার তরফদার ঘর থেকে বেরিয়ে আসতেই বাঁশির একটা করুণ সুর শুনতে পেলেন। 

হামিদই বাজাচ্ছে বাঁশি। সুরটা হলা সেই গানের, প্রথম প্রেমের স্বপ্ন বুনে, হারিয়ে গিয়েও বহুদূরে, কল্পনায় আছাে তুমি, হৃদয়ে আছাে তুমি, আছাে তুমি ভাবনায়, ভালােবাসার ঐ মন জোছনার কান্নায়। ছােট্ট একটা টিনের ঘর। ভিতরে একজন মানুষকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তার দুই হাতে শিকল, শিকল তার কোমরেও। মানুষটার নাম হামিদ। আজ প্রায় বিশ বছর ধরে সে এই ঘরে আছে। ডাক্তার তরফদার হামিদের ঘরে প্রবেশ করলেন। হামিদ মাদুরের উপর দুই পায়ে ভর দিয়ে বসে আছে। হাত দুটোকে এমনভাবে পেট আর হাঁটুর মাঝে রাখা, দেখে মনে হবে বুঝি শীতে কষ্ট পাচ্ছে খুব। অথচ ঘরের বাইরে এবং ভিতরে বেশ গরম। 

ডাক্তার তরফদার মােলায়েম কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছাে হামিদ? হামিদ কোনাে কথা বলল না। শরীর কেমন তােমার? হামিদ চোখ বড় বড় করে ডাক্তার তরফদারের দিকে তাকাল যেন খুব বিরক্ত সে। ডাক্তার তরফদার হামিদের জন্য ডালিম নিয়ে এসেছেন। একটা বাটিতে ডালিমটা রেখে এগিয়ে দিলেন হামিদের দিকে। হামিদ ছোঁ মেরে নিল ডালিমটা। তারপর দাঁত দিয়ে কামড়ে উপর থেকে খানিকটা অংশ আলাদা করে ফেলল। তাতে বেরিয়ে এলাে ডালিমের লাল রঙের কোয়া। মুখে দিয়েই কাঁদতে শুরু করল। এমন কান্না, যে কেউ দেখলে খুব মায়া অনুভব করবে হামিদের জন্য। 

ডাক্তার তরফদার এই মায়ার টানেই বারবার আসেন হামিদের কাছে। ডাক্তার তরফদার ঘর থেকে বেরিয়ে আসতেই বাঁশির একটা করুণ সুর শুনতে পেলেন। হামিদই বাজাচ্ছে বাঁশি। সুরটা হলা সেই গানের, প্রথম প্রেমের স্বপ্ন বুনে, হারিয়ে গিয়েও বহুদূরে, কল্পনায় আছাে তুমি, হৃদয়ে আছাে তুমি, আছাে তুমি ভাবনায়, ভালােবাসার ঐ "মন জোছনার কান্নায়"।

জেসমিন অনুভব করছে রেইনবাে রেইন হােটেলে তার কক্ষে কেউ একজন প্রবেশ করেছে। কারণ একটা ছায়া দেখতে পাচ্ছে সে। কার ছায়া ঠিক বুঝতে পারছে না। তবে যে প্রবেশ করেছে সে পুরুষ। পােশাকটা পায়জামা- পাঞ্জাবিই মনে হচ্ছে। কক্ষের মধ্যে হালকা লাল আলাে। স্পষ্ট হচ্ছে না চেহারা, ছায়ার চেহারা আসলে স্পষ্ট হয় না। এত রাতে হােটেলে তার কক্ষে প্রবেশের কারাে কোনাে অধিকার নেই। নিজের বিপদ অনুধাবন করছে সে। এই কক্ষটিতে সে একা, তার বান্ধবী ইলা ছিল গতকাল। ইলার আম্মা হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় চলে গেছে আজ। তখন সে একা হয়ে পড়ে। ভয় ভয় করছিল প্রথমে। 

স্টাডি ট্যুরের সমন্বয়কারী শিক্ষক রাবেয়া খাতুন নিজেই থাকতে চেয়েছিলেন তার সাথে। শিক্ষকের সাথে থাকলে অস্বস্তিতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় একা থাকারই সিদ্ধান্ত নেয় সে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ভুল করেছে। রাত কয়টা বাজে অনুমান করার চেষ্টা করল জেসমিন, কিন্তু পারল না। তার মনে আছে সাড়ে এগারােটার সময় শুয়ে পড়েছিল। ঘুমানাের আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেসবুকে কয়েকটা ছবি আপলােড করে। তারপর ঘুম না আসায় পড়তে শুরু করে আনন্দভ্রমণ নামক বই। ছবি দিয়ে ভরা ছিল বইটি। 

ছবিগুলাে দেখতে আর ছবির নিচের লেখাগুলাে পড়তে ভালাে লাগছিল তার। ঐ বই পড়তে পড়তেই সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছে। তারপর হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেছে। ঘুম ভাঙার কারণটা সে ঠিক বের করতে পারছে। না। সেক্ষেত্রে কি ঐ ছায়াই তার ঘুম ভাঙিয়েছে? প্রশ্নটা নিজেই নিজেকে করল। কিন্তু উত্তর পেল না। জেসমিন ঠিক বুঝতে পারছে না কীভাবে ছায়াটা তার কক্ষে প্রবেশ করল। ঘুমানাের আগে দরজা নিজে বন্ধ করেছে সে। জানালায় মােটা লােহার শিক। কোনাে মানুষের পক্ষে আসা সম্ভব না। তাছাড়া বাইরে পাহারা আছে। 

হােটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালাে। সেক্ষেত্রে কীভাবে সম্ভব হলাে একটা ছায়ার ভিতরে আসা? ডান কাত হয়ে শুয়ে আছে জেসমিন। সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে ছায়াটা এগিয়ে আসছে তার দিকে। হুবহু মানুষের মতাে অবয়ব। তবে চোখ-মুখ দেখা জেসমিন অনুভব করছে রেইনবাে রেইন হােটেলে তার কক্ষে কেউ একজন প্রবেশ করেছে। কারণ একটা ছায়া দেখতে পাচ্ছে সে। কার ছায়া ঠিক বুঝতে পারছে না। তবে যে প্রবেশ করেছে সে পুরুষ। পােশাকটা পায়জামা- পাঞ্জাবিই মনে হচ্ছে। 

কক্ষের মধ্যে হালকা লাল আলাে। স্পষ্ট হচ্ছে না চেহারা, ছায়ার চেহারা আসলে স্পষ্ট হয় না। এত রাতে হােটেলে তার কক্ষে প্রবেশের কারাে কোনাে অধিকার নেই। নিজের বিপদ অনুধাবন করছে সে। এই কক্ষটিতে সে একা, তার বান্ধবী ইলা ছিল গতকাল। ইলার আম্মা হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় চলে গেছে আজ। তখন সে একা হয়ে পড়ে। ভয় ভয় করছিল প্রথমে। স্টাডি ট্যুরের সমন্বয়কারী শিক্ষক রাবেয়া খাতুন নিজেই থাকতে চেয়েছিলেন তার সাথে। শিক্ষকের সাথে থাকলে অস্বস্তিতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় একা থাকারই সিদ্ধান্ত নেয় সে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ভুল করেছে। 

রাত কয়টা বাজে অনুমান করার চেষ্টা করল জেসমিন, কিন্তু পারল না। তার মনে আছে সাড়ে এগারােটার সময় শুয়ে পড়েছিল। ঘুমানাের আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেসবুকে কয়েকটা ছবি আপলােড করে। তারপর ঘুম না আসায় পড়তে শুরু করে;আনন্দভ্রমণ নামক বই। ছবি দিয়ে ভরা ছিল বইটি। ছবিগুলাে দেখতে আর ছবির নিচের লেখাগুলাে পড়তে ভালাে লাগছিল তার। ঐ বই পড়তে পড়তেই সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছে। তারপর হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেছে। 

ঘুম ভাঙার কারণটা সে ঠিক বের করতে পারছে। না। সেক্ষেত্রে কি ঐ ছায়াই তার ঘুম ভাঙিয়েছে? প্রশ্নটা নিজেই নিজেকে করল। কিন্তু উত্তর পেল না। জেসমিন ঠিক বুঝতে পারছে না কীভাবে ছায়াটা তার কক্ষে প্রবেশ করল। ঘুমানাের আগে দরজা নিজে বন্ধ করেছে সে। জানালায় মােটা লােহার শিক। কোনাে মানুষের পক্ষে আসা সম্ভব না। তাছাড়া বাইরে পাহারা আছে। হােটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালাে। সেক্ষেত্রে কীভাবে সম্ভব হলাে একটা ছায়ার ভিতরে আসা? ডান কাত হয়ে শুয়ে আছে জেসমিন। সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে ছায়াটা এগিয়ে আসছে তার দিকে। হুবহু মানুষের মতাে অবয়ব। তবে চোখ-মুখ দেখা যাচ্ছে না। ভূত-প্রেত কি না ঠিক বুঝতে পারছে না। 

তবে ভূত-প্রেত বলতে যে কিছু নেই সে জানে। সেক্ষেত্রে ছায়াটা কীভাবে এখানে এলাে ব্যাপারটা তার মাথায় ঢুকছে না। তবে ছায়ার মতলব যে ভালাে না অনুধাবন করছে সে। কারণ ছায়াটা এখন একেবারে খাটের কাছে চলে এসেছে। জেসমিন উপলব্ধি করছে তার এখন চিতকার করা উচিত। কিন্তু কেন যেন চিতকার করতে ইচ্ছে করছে না। বরং ইচ্ছে করছে দেখতে কী করে ছায়াটা। ভয়ও করছে। কাপতে শুরু করেছে শরীর। কী অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতি! কেন যেন মনে হতে লাগল, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সে, নিয়ন্ত্রণটা ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে ছায়ার কাছে।

ছায়াটা এসে বসল একেবারে তার পাশে, খাটের উপর। তারপর একটা হাত দিয়ে স্পর্শ করল তার ঠোঁট। মুহর্তেই যেন ভয়টা চলে গেল জেসমিনের ভালােলাগার আর-একটা কারণ হলাে ছায়াটাকে সে চিনতে পেরেছে, ছায়ার চোখ মুখ নাক দেখা যাচ্ছে এখন। তবে অনেকটা মূর্তির মতাে যেন। তারপরও অবয়ব দেখে বােঝা যাচ্ছে ডাক্তার হাডসনই হবেন। | ভালােলাগার ভিন্ন এক আবেশে ভরে উঠল মনটা। এই ডাক্তার হাডসনকে সত্যি মূর্তি মূর্তি লাগছে। তবে তিনি নড়াচড়া করতে পারছেন। ঝুঁকে এসে তার কানের কাছে স্পষ্ট বাংলায় বললেন, আছাে জেসমিন? জেসমিন কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারল না। তার মুখ দিয়ে কোনাে শব্দ বের হলাে না। 

শুধু কাঁপতে থাকল ঠোট দুটো। তুমি আমার কাছে এসেছ, তাই না? জেসমিন নিশচুপ। আগামীকাল তুমি আমার আরাে কাছে আসবে, আমি জানি। যদি সত্যি তুমি আমাকে চাও, আগামীকাল আমাকে স্পর্শ করবে। তাহলেই আমি চিরতরে তােমার হয়ে যাব। ডাক্তার হাডসনের শ্বাস-প্রশ্বাসের উত্তাপ অনুভব করছে জেসমিন। ডাক্তার হাডসন তার মুখটা আরাে খানিকটা নামিয়ে এনেছেন। তার ঠোঁটের একেবারে সামনে এখন ডাক্তার হাডসনের ঠোঁট, একটা হাত স্পর্শ করেছে। শরীর। তবে চেহারা সেই মূর্তির মতােই। বিড়বিড় করে ডাক্তার হাডসন বললেন, তুমি সুন্দর জেসমিন, অপূর্ব সুন্দর! জেসমিনের উচিত এখন ডাক্তার হাডসনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া। কিন্তু এই উচিত কাজটি তার করতে ইচ্ছে করছে না। 

উলটো ভালাে লাগছে ডাক্তার হাডসনের উপস্থিতি, তার স্পর্শ, তার তপ্ত নিঃশ্বাস। জেসমিন অনুভব করল তার নিজের মুখের উপর কয়েকটা চুল আছে, কেমন যাচ্ছে না। ভূত-প্রেত কি না ঠিক বুঝতে পারছে না। তবে ভূত-প্রেত বলতে যে কিছু নেই সে জানে। সেক্ষেত্রে ছায়াটা কীভাবে এখানে এলাে ব্যাপারটা তার মাথায় ঢুকছে না। তবে ছায়ার মতলব যে ভালাে না অনুধাবন করছে সে। কারণ ছায়াটা এখন একেবারে খাটের কাছে চলে এসেছে। জেসমিন উপলব্ধি করছে তার এখন চিতকার করা উচিত। কিন্তু কেন যেন চিতকার করতে ইচ্ছে করছে না। বরং ইচ্ছে করছে দেখতে কী করে ছায়াটা। ভয়ও করছে। কাপতে শুরু করেছে শরীর। কী অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতি! কেন যেন মনে হতে লাগল, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সে, নিয়ন্ত্রণটা ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে ছায়ার কাছে। 

ছায়াটা এসে বসল একেবারে তার পাশে, খাটের উপর। তারপর একটা হাত দিয়ে স্পর্শ করল তার ঠোঁট। মুহর্তেই যেন ভয়টা চলে গেল জেসমিনের ভালােলাগার আর-একটা কারণ হলাে ছায়াটাকে সে চিনতে পেরেছে, ছায়ার চোখ মুখ নাক দেখা যাচ্ছে এখন। তবে অনেকটা মূর্তির মতাে যেন। তারপরও অবয়ব দেখে বােঝা যাচ্ছে ডাক্তার হাডসনই হবেন। 

ভালােলাগার ভিন্ন এক আবেশে ভরে উঠল মনটা। এই ডাক্তার হাডসনকে সত্যি মূর্তি মূর্তি লাগছে। তবে তিনি নড়াচড়া করতে পারছেন। ঝুঁকে এসে তার কানের কাছে স্পষ্ট বাংলায় বললেন, আছাে জেসমিন? জেসমিন কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারল না। তার মুখ দিয়ে কোনাে শব্দ বের হলাে না। শুধু কাঁপতে থাকল ঠোট দুটো। তুমি আমার কাছে এসেছ, তাই না? জেসমিন নিশচুপ। আগামীকাল তুমি আমার আরাে কাছে আসবে, আমি জানি। যদি সত্যি তুমি আমাকে চাও, আগামীকাল আমাকে স্পর্শ করবে। তাহলেই আমি চিরতরে তােমার হয়ে যাব। ডাক্তার হাডসনের শ্বাস-প্রশ্বাসের উত্তাপ অনুভব করছে জেসমিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ