ছোটদের খুলাফায়ে রাশিদা pdf for pre order লেখক : জাকারিয়া মাসুদ এর বই

ছোটদের খুলাফায়ে রাশিদা
লেখক : জাকারিয়া মাসুদ
প্রকাশনী : সন্দীপন প্রকাশন
বিষয় : সাহাবীদের জীবনী, শিশু কিশোরদের বই
পৃষ্ঠা : 192, কভার : পেপার ব্যাক
ভাষা : বাংলা
মোট বই- ৮টি
সাইজ- প্রস্থ ৮.৭৫ ইঞ্চি * উচ্চতা ৭.৭৫ ইঞ্চি
image

কাগজ- পূর্ণ রঙিন গ্লসি আর্টপেপারে ছাপা, ব্যাগ ও বক্স গিফট হিসেবে থাকবে
রূপকথার রাজপুত্রের গল্প শোনেনি— এই সময়ে এমন শিশু অপ্রতুল। রূপালী পর্দার সুপারহিরোদের কাল্পনিক হিরোগিরি দেখে তাদের মতো হতে চায়নি—এমন শিশু এই প্রজন্মে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।
.
আমরা আমাদের শিশুদের এসব কাল্পনিক সুপারহিরোদের গল্প শোনাতে চাই না। আমরা চাই, আমাদের শিশুরা সতিকারের সুপারহিরোদের গল্প জানুক। এমন হিরোদের গল্প, যারা রচনা করেছিলেন মাটির পৃথিবীর এক সোনালী অধ্যায়। যাদের নাম উচ্চারিত হতো সাত আসমানের ওপর। যারা ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত।
.
আমরা আমাদের শিশুদের তাঁদের-ই মতো করে গড়ে তুলতে চাই। তাঁরা ছিলেন এই উম্মাহর সেরাদের সেরা। গল্পে গল্পে সেরা চার খলীফাকে শিশুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে আমরা নিয়ে আসছি ‘ছোটদের খুলাফায়ে রাশিদা’ সিরিজ।
.
এই সিরিজের গল্পগুলো বিশুদ্ধ হাদীস এবং বিশুদ্ধ ইতিহাস গ্রন্থের আলোকে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি গল্পে রয়েছে আকর্ষণীয় রঙিন রঙিন ছবি। সহজ-সাবলীল ভাষায় রচিত এই সিরিজটি পড়ে এক বসাতেই শিশুরা জেনে যাবে চার খলীফার জীবনী। বড় হয়ে হতে চাইবে তাঁদের-ই মতো, ইন শা আল্লাহ।

১ ইসলাম কবুল করলেন তিনি গল্প শুনতে চাও? চলাে, মজার মজার কাহিনী তােমাদের বলি। আজ শােনাব, দুজন বন্ধুর কথা। তাঁরা বাস করতেন একই এলাকায়। তাঁদের বয়সও ছিল কাছাকাছি। একজনের নাম মুহাম্মাদ স., অপরজন আবু বকর রা.। মক্কার কুরাইশ বংশে তাঁদের জন্ম। এই বংশের ছিল অনেক নামডাক। আবু বকর রা.তখন ঘরেই ছিলেন। তিনি শুনতে পেলেন, মুহাম্মাদ স. নিজেকে নবি দাবি করেছেন। তিনি নাকি দেব-দেবীদের পূজা ছেড়ে দিয়েছেন। আর তাই কুরাইশরা তাঁকে অপমান করছে। গালি দিচ্ছে। সব শুনে চমকে উঠলেন আবু বকর রা.। তাঁর বুকটা ধুকপুক করছিল। এ কেমন কথা! কী হলাে আমার বন্ধুর! আবু বকর রা. সিদ্ধান্ত নিলেন, বন্ধুর সাথে সরাসরি কথা বলবেন। সবকিছু জানতে চাইবেন।

আমীরুল মুমিনীন উমর রা. মারা গেলেন। এরপর শুরা সদস্যরা কাজ শুরু করলেন। সবাই যাঁর যাঁর মত জানাতে থাকলেন। তারপর সকলে মিলে আবদুর রহমান ইবনু আউফের কাছে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন। তাঁকে খলিফা ঠিক করার অধিকার দিলেন। আবদুর রহমান রা. কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। বড় বড় সাহাবিদের কাছে তিনি ফয়সালা চান। তাঁরা নিজেদের মতামত জানান। নারী, শিশু ও দাসদের কাছ থেকেও পরামর্শ নেওয়া হয়। বেশিরভাগ মানুষ খলিফা হিসেবে উসমানকেই পছন্দ করেছিল।

সাহাবিরা মসজিদে চলে আসেন। ফজরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষ হলে আবদুর রহমান ইবনু আউফ রা. দাঁড়িয়ে যান। নবি স. তাঁকে একটি পাগড়ি হাদিয়া দিয়েছিলেন। তিনি সেটা মাথায় বেঁধে নেন। এরপর মিম্বারে ওঠে বলেন, আমি মানুষদের সাথে পরামর্শ করেছি। তাদের মতামত জানার চেষ্টা করেছি। সবার কথা শুনে মনে হয়েছে, তারা উসমানকেই বেশি পছন্দ করে। তিনি উসমানকে উঠে দাঁড়াতে বলেন। উসমান রা. উঠে দাঁড়ান। তিনি তখন উসমানের হাতে বাইয়াত দেন। এরপর এগিয়ে আসেন আলি রা.। তিনিও বাইয়াত দেন। একে একে সব লােকেরা বাইয়াত দিতে থাকে। কেউ কোনাে আপত্তি করেনি। সকলেই উসমানকে খলিফা হিসেবে মেনে নেয়। উসমানের হাতে বাইয়াত দেয়। উসমান রা. হয়ে যান মুসলিমদের তৃতীয় খলিফা। সাল্লাবি, উসমান (১০৪-১০৬) অনুসারে এটি লেখা হয়েছে।

PDF For Pre Order Hardcopy

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ