Anayetullah Altamas Biography | এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ জীবনী ও সকল বই পিডিএফ

Anayetullah Altamas Biography
image of Anayetullah Altamas Biography | এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ জীবনী ও সকল বই পিডিএফ
__Anayetullah Altamas__


লেখক পরিচিতিঃ
এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ (English - Enayetullah Altamash) অনেকে "Anayetullah" এভাবেও বানান করে থাকে। এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ জন্মগ্রহণ করেছিলেন একটি রাজপুত পরিবারে ১লা নভেম্বর ১৯২০ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের গুজারখানে। এলাকাটি মার্শাল এরিয়া হিসেবে পরিচিত ছিল ব্রিটিশ আমলে এখান থেকে প্রচুর সৈন্য নিয়োগ দেয়ার কারণে। এনায়েতুল্লাহ এর পরিবারও ঐতিহ্যগতভাবে সৈনিক পরিবার ছিল।
 
১৯৩৬ সালে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করে একজন ক্লার্ক হিসেবে ব্রিটিশ আর্মিতে যোগদান করেন। তিনি একটি পদাতিক ইউনিটে ছিলেন এবং বার্মা ফ্রন্টে জাপানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৪ সালে জাপানিদের হাতে বন্দি হন। কিন্তু তিনি জেল থেকে পালিয়ে যান। সেখান থেকে পালানোর পরে দুই বছর বার্মার জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। 

ভারত ফিরে আসার পর আবার ব্রিটিশ সেনাবাহিনিতে যোগদান করেন। কর্তৃপক্ষ তাকে আবার মালয়শিয়া পাঠায় বিদ্রোহ দমন করতে। তিনি মালয়শিয়া এসে খুব কাছে থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন দেখলেন। এটাও অনুধাবন করলেন যে, যাদেরকে বিদ্রোহী বলা হচ্ছে তারা আসলে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা। সমগ্র মালয়শিয়ার জনগণ তাদেরকে বীর মনে করছে এবং তাদেরকে সমর্থন ও সাহায্য করছে। এনায়েতুল্লাহ মতামত ছিল যে, মালয়শিয়ানদের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। 

তাছাড়া তিনি নিজেওতো ব্রিটিশদের শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতা চাচ্ছেন। সে সময় তিনি একটি সাহসী ও নির্ভীক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন এবং স্বাধীনতাকামীদের সাথে যোগ দেন। যখন ব্রিটিশরা ভারতের বিভক্তি ও স্বাধীনতা ঘোষণা করে, তখন এটা জেনে তিনি মাতৃভুমিতে ফিরে আসেন। পাকিস্তানে এসে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে একজন কর্পোরাল হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ঐ প্রথম দলটির একজন ছিলেন যারা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর আগমনের পর তাকে পেশওয়ার এয়ারপোর্টে স্যালুট করেছিল। 

তিনি ডাইজেস্ট এর প্রকাশনা কাজ শুরু করেন। এর পরে নিজেই একটি পাবলিশিং হাউজ তৈরি করেন নাম দেন মাকতাবা দাস্তান। তিনি হিকায়াত নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেন যা ঐ সময়ের উর্দু ভাষার সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত ম্যাগাজিনসমূহের একটিতে পরিণত হয়। তিনি আকৃষ্ট হয়ে যান ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার প্রতি। তিনি কিছু জনপ্রিয় ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখেছেন। এছাড়াও তিনি শিকার কাহিনী, তদন্ত, মনোবিদ্যা, জীবনী ও রাজনৈতিক ও সামাজিক অপকর্ম ইত্যাদি বিষয়ের উপর লিখেছেন। তিনি একশটিরও বেশি বই এবং প্রায় একশটির মত সম্পাদনা লিখেছেন। 

একজন লেখক হিসেবে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। যেমনঃ মীম আলিফ, আহমদ ইয়ার খান, আলতামাশ, সাবির হোসাইন রাজপুত, ওয়াক্কাস, মেহদি খান, গুমনাম খাতুন ও এনায়েতুল্লাহ। একজন লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে তিনি তার পরিচয়টাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার পৃষ্ঠপোষকতা অনেক লেখককে প্রশিক্ষিত করেছে (যেমনঃ তারিক ইসমাইল সাগর)। তিনি উর্দু উপন্যাসের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া উর্দু সাংবাদিকতারও একজন সম্পদ ছিলেন। ইসলামী উপন্যাসে তার কার্যক্রম অনেক । যে কারণে আজকাল তার লেখা উপন্যাস গুলো যুব সমাজের কাছে প্রথম কাতারের প্রিয় বই ।

মৃত্যুঃ এনায়েতুল্লাহ নিজের আদর্শ বানিয়েছিলেন সালাউদ্দিন আইউবীকে। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৬ই নভেম্বর ১৯৯৯ সালে লাহোরে, যে দিনটি সালাউদ্দিন আইউবীর ইন্তেকালের দিন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। লাহোরেই তাকে সমাহিত করা হয়, যেখানে তিনি তার জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন।

তথ্য সূত্রঃ Internet


ঈমান দিপ্ত দাস্তান সিরিজ বাংলা অনুবাদ__________________

লেখক: এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ | অনুবাদক: মাওলানা মুহাম্মদ মুহিউদ্দীন | প্রকাশনী: পরশমনি প্রকাশন | প্রথম প্রকাশ: অগাস্ট, ২০০২

সুলতান সালাউদ্দিন আইউবীর শাসনকাল । পৃথিবী থেকে বিশেষত মিশর থেকে ইসলামের নাম-চিহ্ন মুছে ফেলে ক্রশ প্রতিষ্ঠার ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে খৃস্টানরা । ক্রসেডাররা সলতানাতে ইসলামিয়ার উপর নানামুখী সশস্ত্র আক্রমণ পরিচালনার পাশাপাশি বেছে নেয় নানারকম কুটিল ষড়যন্ত্রের পথ । গুপ্তচরবৃত্তি, নাশকতা ও চরিত্র-বিধংসী ভয়াবহ অভিযানে মেতে উঠে তারা । মুসলমানদের নৈতিক শক্তি ধ্বংস করার হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে অর্থ, মদ, আর ছলনাময়ী রুপসী মেয়েদের । সুলতান আইউবীর হাই কমা্ন্ড ও প্রশাসনের উচ্চস্তরে একদল ঈমান-বিক্রেতা গাদ্দার  তৈরী করে নিতে সক্ষম হয় তারা ।

ইসলামের মহান বীর মুজাহিদ সুলতান সালাউদ্দিন আইউবী পরম বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, দু:সাহসিকতা ও অনুপম চরিত্র মাধুরী দিয়ে সেইসব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ছিনিয়ে আনেন বিজয় ।

সুলতান আইউবী ময়দানে অবতীর্ণ হয়ে অস্ত্র হাতে খ্রস্টানদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ লড়েছিলেন, খ্রস্টানরা মুসলমানদের উপর যে অস্ত্রের আঘাত হেনেছিলো, ইতিহাসে ‘ক্রসেড যুদ্ধ’ নামে তার উল্লেখ পাওয়া যায় । কিন্তু সালতানাতে ইসলামীয়ার বিরুদ্ধে পরিচালিত খৃস্টানদের নাশকতা, গুপ্তহত্যা ও ছলনাময়ী রুপসী নারীদের লেলিয়ে দিয়ে মুসলিম শাসক ও আমীরদের ঈমান ক্রয়ের হীন ষড়যন্ত্র এবং সুলতান আইউবীর তার মুকাবেলা করার কাহিনী এড়িয়ে গেছেন অমুসলিম ঐতিহাসিকগণ । সেইসব অকথিত কাহিনী ও সুলতান আইউবীর দু:সাহসিক অভিযানের  রোমাঞ্চকর ঘটনাবলী নিয়ে রচিত হলো সিরিজ উপন্যাস ‘ঈমানদীপ্ত দাস্তান’ ।


ভয়াবহ সংঘাত, রক্ত্ক্ষয়ী সংঘর্ষ ও সুলতান আইউবীর ঈমানদীপ্ত কাহিনীতে ভরপুর এই সিরিজ বইটি ঘুমন্ত মুমিনের ঝিমিয়েপড়া ঈমাণী চেতনাকে উজ্জীবিত ও শাণিত করে তুলতে সক্ষম হবে বলে আমাদের বিশ্বাস । পাশাপশি বইটি পূর্ণমাত্রায় উপণ্যাসের স্বাদ ও যোগাবে । আল্লাহ কবুল করুন ।


Iman Dipto Dastan








একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ