আমরা কোথায় যাবো...? স্কুলে না ফ্যাক্টরীতে...?

অনার্স মাস্টার্স পাশ করা ২৬, ২৭ বছর বয়সী একজন যুবক-যুবতীকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরিতে যোগদান করতে হয়...। 
আর পড়ালেখা না জানা ১২/১৪ বছর বয়সী একজন বাস হেল্পার এর দৈনিক হাজিরা প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, যা মাস শেষে ১৪, ১৫ হাজার টাকা হয়..।
            
কেউ কোন ফ্যাক্টরীতে ২০ বছর কাজ করলে তার বেতন হয় লক্ষ টাকা..।
আর ২০ বছর পড়ালেখা করে যখন চাকরির জন্য যায়, তখন তার বেতন হয় ১০ হাজার টাকা যদিও সর্বত্র হয়না...। 
তাহলে আমরা কোথায় যাবো...?
স্কুলে না ফ্যাক্টরীতে...?


হাজার হাজার - লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পড়ালেখা করে আজ শিক্ষিত মানুষগুলো পরিবারের, সমাজের এবং সবার কাছে অবহেলিত তখন...!
রাষ্ট্র পড়ালেখা করার জন্য পরিবেশ তৈরী করে
কিন্তু পড়ালেখা শেষ করার পর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারেনা...?

অনেকেই বলবে ভাল করে পড়ালেখা করলে, ভাল রেজাল্ট করলে ভাল চাকুরী পাওয়া যায়..। 
আসলেই কি পাওয়া যায়...? 
নাকি মোটা অংকের Donation দিতে হয় অথবা স্বজনপ্রীতির কোটা পাইতে হয়...।

ভাল রেজাল্ট না করলে পাশ দেওয়া হয় কেন...? 
রাষ্ট্র যদি শিক্ষিত মানুষের চাকুরী দিতে না পারে, তাহলে রাষ্ট্রের উচিত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেন। তখনই কিছু করবে জনগন তাহলে।
তাহলে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য বাবা মায়ের এতো কষ্ট করতে হতো না..। টাকা গুলো অন্তত সঞ্চয় হতো..।

দেশে সকলেরই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবার দরকার নেই তো। যারা গবেষণা বা শিক্ষকতা করবেন তারাই বেশি শিক্ষিত হোক। এরচেয়ে বরং কর্মমূখি শিক্ষার প্রয়োজন। সহজ ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারী পর্যায়ে। এটা অন্তত উদ্যোক্তা তৈরী করবে ঘরে ঘরে। এরাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। বড় বড় লাঘব বোয়ালরা হাজার কোটি টাকা পায় অথচ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা লোন পায়না তেমন। শেষে সরকারের সেইটাকা পাবারও নিশ্চয়তা নেই, চলে যায় বেগম পাড়ায়। কথায় শুধু ফুলঝুরি দিয়েন না। নাকের সামনে মূলো না ঝুলিয়ে বাস্তবে এদেরই এগিয়ে  নিয়ে পরিবর্তন করতে হবে দেশের। 

এই সত্যটা মনে হয় চীন অনেক আগেই উপলব্ধি করতে পেরেছিল। তাই তখন চীনারা সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষায় বেশী গুরুত্ব দিয়েছিলেন যার ফলস্বরূপ এখন চীনের প্রতিটি ঘর এখন এক একটা ফ্যাক্টরী। ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা। তারা জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে রুপান্তর করে বিশ্ববাজার দখল করে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকাকে ল্যাং মেরে নামিয়ে হয়ত আগামী ৫০বছর পর নেতৃত্বের আসনে বসবে।

যাহোক, চাকরির অভাবে পরিপক্ক হওয়া ছেলেটা ২৮ বছরেও বিয়ে করতে পারে না...।
অন্যদিকে বয়স বাড়তে থাকা অবিবাহিত মেয়েটাও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না..। 
না পারছে তারা উপযুক্ত ছেলেকে বিয়ে করতে, না পারছে পাড়া-পড়শির খোটা সহ্য করতে...

আফসোস অনেকেরই...

Engineer Ruhul Amin

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ