বই, ধূপকাঠি - লেখকঃ মুহাম্মাদুল্লাহ মাসুম | Dhupkathi By Muhammadullah Masum

Image of  ধূপকাঠি  PDF Download - লেখকঃ মুহাম্মাদুল্লাহ মাসুম এর বই ধূপকাঠি পিডিএফ ডাউনলোড | Dhupkathi PDF Download By Muhammadullah Masum. Dhupkathi PDF


বই- ধূপকাঠি
লেখক, মুহাম্মাদুল্লাহ মাসুম
প্রকাশনা, জ্ঞান পিপাসু 
প্রচ্ছদ, Anas Muhammad  
মলাট মূল্য-১০৮
পৃষ্ঠা-৮৮


ধূপকাঠি বই নিয়ে কি বলবো বুঝতে পারছি না। অনেক অনেক বই জমা আছে পড়া হচ্ছেনা,, কিন্তু এটা এক বসাতে শেষ। যেন মনে হচ্ছিল আমি লেখকের জায়গায় আর আমার মা লেখকের মায়ের জায়গায়। চোখের জল আসে নাই এমন একটা পৃষ্ঠা নেই।


মূলত বইটা লেখকের মায়ের মৃত্যু সময়ে লেখা। কিন্তু যেন মনে হচ্ছিল সেই জায়গায় আমি,,, আসলে আমাদের যাদের মা আছে আমরা মা কে বলতে পারিনা কত ভালোবাসি,, কিন্তু এখন থেকে এইটা বলা শিখতে হবে,,মা থাকতে মায়ের মূল্য দিতে হবে।
লেখক বইয়ে তার মাকে নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতি ও মৃত্যু সময় ও পরবর্তী সময় খুব সুন্দর করে তুলে ধরতে পেরেছে।
লেখকের ৩টা বই আমার পড়া হয়েছে কোথাও না কোথাও আমার এত কষ্ট হয়েছে যা বোঝাতে পারবো না। এই এত কম বয়সে এইভাবে লিখতে পারা সত্যি কঠিন। 


যাই হোক লেখকের ইনবক্সে টোকা দিলাম বই নিবো বলে,,লেখক আমাকে একটা বই হাদিয়া দিয়ে দিল যা সে এই বই লেখার সময় বলেছিল,, এমনকি আমার মনেও ছিল না,,অথচ সে আমাকে মনে রেখেছে,,, ভালোবাসা ছোট ভাই,,,এই বোনকে মনে রাখার জন্য,, আমি কিন্তু আরো একটা বই নিয়েছি হাদিয়া দেওয়ার জন্য,, ভাবছি এখন থেকে দেখবো যারা মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে তাদের এই বই হাদিয়া দিবো এবং একটা বই সাথে রাখবো,, এই বই পড়লে যেন মায়ের মৃত্যু সময় দেখতে পাওয়া যায়,,এটা পড়ে যদি কারো পরিবর্তন আসে সেই আশায়।

অনুভূতি বস্তুটা কি তা হয়ত এ'বই (ধূপকাঠি) না পড়লে  জানতাম না,
অধীর আগ্রহে ছিলাম বইটির ব্যাপারে,মা '  নিয়ে যে লেখা।
কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে মনে হচ্ছিলো আর পারবো না,
রেখে দিতে চাইলাম। তবুও নোনাজলে পড়তে লাগলাম।
এতো আবেগের কথা মানুষ বলতে পারে,  হৃদ মাঝে রাখতে পারে, তা হয়ত "ধূপকাঠি'র সংস্পর্শে না আসলে জানতামই না!পাষাণ হৃদয়ী ব্যক্তিও হার মানতে বাধ্য হবে চোখের জল ফেলতে।

আমি পড়ার বেলায়তো বুঝতেও পারিনি অশ্রুতে সিক্ত হবো।
সাথি ভাইকে লক্ষ্য করে বললাম আমার তো মা মারা যাওয়ার  প্রায় এগারো বছর। আর বাবা মারা যাওয়ার প্রায় বারো বছর 
আমি আত্নবিশ্বাসী, বইটি পড়বে আর অশ্রুপাত হবেনা, তা একেবারেই অসম্ভব।

পরিশেষে প্রিয় ভাই মুহাম্মাদুল্লাহ মাসুম এর প্রতি রইলো অসংখ্য ধন্যবাদ।এবং প্রিয় ভাইয়ের মা ও আমার মা  সহ যে সকল মা এবং বাবারা পরপারে আছেন তাদের প্রতি আল্লাহ রহম করুন এবং জান্নাতের  আলা মাকাম দান করুন। এবং যাহারা জীবিত আছেন তাদের কে আল্লাহ সুস্হতার সাথে হায়াতের মধ্যে বরকত দান করুন। আমিন।   رب الرحمهماكما ربيني صغيرا

{*** ধুপকাঠি ***}

"বাবা, জানাযা পড়াতে পারবি তো"

একজন হাফেজের কাছে তার মা-বাবা কিংবা দাদা-দাদী, নানা-নানিদের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা থাকে- তাঁদের জানাযা নামাজের ইমামতি যেনো সে করে। এক জীবনের প্রাপ্তি বলতে এতটুকুই যথেষ্ট, ব্যস!

-সারাদিন কর্মব্যস্ততা সেরে যখন বাসায় ফিরে মা'য়ের মুখটা দেখি, যেনো সারাদিনের ক্লান্তিটা দূর হয়ে নিমিষেই উজ্জীবিত হই, নতুন প্রাণ পাই। যদিও-বা এই অনুভূতিটা বাহ্যিকভাবে প্রকাশ করি না পরিবারের সামনে কখনও। সকালবেলা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কোনো কারণ ছাড়াই মা'কে বকাঝকা দেয়াটা যেমন আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, তেমনি বকাগুলো নির্দ্ধিধায় হজম করে নেয়াটাও মা'র অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।। 
বুঝতে শেখার পর মা'য়ের থেকে আমার দূরত্ব ছিলো সর্বোচ্চ ১৫-২০ দিন! সেটাও জীবিকার তাগিদে! এ-তো বছর ৩ আগের কথা! গিয়েছিলাম ঢাকার বাইরে একটা কাজে। প্রায় ১৫ দিনের মত অবস্থান করেছিলাম সেখানে। ওই মূহুর্তের জন্য মনে হয়েছিলো পৃথিবীতে আমি একা। বড্ড বেশিই একা। সামান্য এ ক'দিনের দূরত্বে সেদিন মা'কে দেখার জন্য ঢু্ঁকরে কেঁদেছিলাম। কান্নাটা ছিলো সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুটির চিৎকারের মতোই।।

মা হারানোর পাহাড়সম ব্যাথা যে কীভাবে একজন ছেলে সইতে পারে, সে পরিস্থিতিতে কখনোই পড়তে চাইনা! প্রায়শই আল্লাহকে বলি- এমন পরিস্থিতিতে কখনো ফেলো না আমাকে!' মা'কে নেয়ার আগেই আমাকে তোমার কাছে ফেরৎ নিও আল্লাহ'। 

'ধুপকাঠি' মায়ের স্মৃতি নিয়ে লিখামুহাম্মাদুল্লাহ মাসুম  ভাইয়ের কলমের কালি দিয়ে লেখা; নন্দিত নির্বাসন, কী অভ ব্লাইন্ডের পর নিজের তিন নং বই এটি। এটা পড়ে এমন কোনো পাষাণ হৃদয়ের মানুষ নেই যে 'না কাঁদবে'! ধুপকাঠি নিয়ে লেখার মত নির্দিষ্ট অনূভুতি আমার জানা নেই।। 

কেঁদেছি! 
পৃষ্ঠা উলটিয়েছি আর চোখের কোণে জমে থাকা শিশির বিন্দুর মত জল মুছেছি! মা থাকা সত্ত্বেও কান্নাটা যেনো না চাইতেও এসেছে। আর যিনি লিখেছেন- তিনি তো মা হারানো শোকের রেশ না কাটিয়েই লিখেছেন। জানিনা তিনি কতোটা কেঁদেছেন! একজন তরুণ প্রতিভাবান লেখকের সাথে পরিচয় হতে পেরে নিজেকে সত্যিই গর্বিত মনে হচ্ছে। আল্লাহ যেনো তাঁর মায়ের সকল ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করেন।

১|

ধূপকাঠি পাঠক সমাজে কান্না করাবে জানতাম। কিন্তু এত বেশি করাবে, বুঝে উঠতে পারিনি। তবে সত্যি করে একটা বলি, বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় আমার চোখের জলের স্পর্শ রয়েছে। 

দুপুরের শুরু। জামিয়ার দিঘির মতো স্বচ্ছ পুকুরে বসে আছি। এলোমেলো ভাবনা। নীরবে তরঙ্গ খেলা দেখছি। হঠাৎ কারো স্পর্শ। পেছনে তাকালাম। ভেতরটা মুচড়ে উঠল। সাদী ভাইয়ের চোখে এত জল ! 
চোখগুলো ঘষামাজা করে ছোট্ট করে বলল, ভাই ! কীভাবে, কোন সে অসম শক্তিতে ধূপকাঠি লিখলা ?

আতহার হাফিজসাব। বড় ভালো মানুষ। আমার ক্লাসমেট। ধূপকাঠি পড়ে পড়ে উনার চোখ শেষ পাতায়। আমি ছোট্ট করে বললাম, অনুভূতি জানাবা কিন্তু। মানুষটা তাকালো আমার দিকে। হাউমাউ করে কেঁদে ফেলবে, এমন একটা পরিস্থিতি। আমি ঠোঁটে হাসি ফুটালাম। কলমের কালিতে ছোট্ট করে লিখে দিল, "মাসুম ভাই ! তুমি অনন্য। খোদার কসম, তোমার ধূপকাঠি চোখের এত বেশি জল গড়িয়েছে, আর কোনোদিন চোখগুলো এত কান্না করে নি। 

২|

খুব একটা দরকারে অনলাইনে আসা। 
হাম্মাদ ভাই নামের একজনের রিভিউ পড়ে কেঁদে ফেললাম আমিও। ইমাদ ভাইয়ের পাঠ অনুভূতি, সেই কান্নার স্রোত আরো বাড়িয়ে দিল। চোখ এখনো ভেজা। শুধু বলব মাবুদ, আমার মাকে জান্নাত বাসী করে নাও। জগতের প্রতিটি সন্তানের হৃদয়, মায়ের ভালোবাসায় ভরপুর করে দাও।

দ্র: আজ দাওরা হাদীস, (মাস্টার্স) ক্লাসে শ্রদ্ধেয় উস্তাদজী শমশেরনগরীর কাছ থেকে অটোগ্রাফ সহ বই নিতে বড় ভাইয়াদের খুশির উষ্ণতা।

দোয়া, শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো তার প্রতি- নিজের কলমকে আরও তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষ্ণত্ব করে যেনো তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন।

পুরো বইটি পড়ে প্রিয় লেখক আরিফ আজাদের  একটি লেখা মনে পড়লো;
'চাঁদের আলোতে আমি দেখতে পাচ্ছি হিজলের গাছ দু'টো দুলছে। বাতাসে কোথাও গুঞ্জন উঠেছে একটা সূরের। আমি শুনতে পাচ্ছি, আমার বুকের গহিন থেকে আমার অন্তরাত্মা ভেদ করে একটা অপার্থিব সূর ভেসে আসছে-

"রব্বির হাম-হুমা কা'মা রব্বা-ইয়ানী সগীরো"!
একটা গান। হিজল বনের গান'........

লেখকের জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকো ভাই আর নিজের বইয়ে মাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখলো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ