রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত - Do Not Become Angry - Rag Korben Na

রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত (pdf no available)
লেখক : ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী
প্রকাশনী : হুদহুদ প্রকাশন
বিষয় : সুন্নাত ও শিষ্টাচার
অনুবাদক : আবদুল্লাহ আল মাসউদ
পৃষ্ঠা : 128, কভার : হার্ড কভার
আইএসবিএন : 9789849001149
Image


সংক্ষিপ্ত বর্ণনা.......
আমরা সবাই জানি, মানুষ নানা কিসিমের হয়ে থাকে। কেউ ধনী, কেউ দরিদ্র। কেউ ধৈর্যশীল, কেউ রাগী। কেউ দানশীল, কেউ কৃপণ ইত্যাদি। মানুষের এই শ্রেণিভেদকে সামনে রেখে তাদের সাথে আমাদের আচরণ করা উচিত। এই বিষয়টি নববী যিন্দেগীর কিছু ঘটনাতে আমরা প্রত্যক্ষ করবাে। আনাস রা. থেকে জানা যায় যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনাে তাকে ‘উফ” শব্দটুকুও বলেন নি। 

আয়েশা রা.-এর হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার এসে বললেন, তােমাদের কাছে কি খাবার আছে? তারা বললেন, না। তখন তিনি রাগ করলেন না। এমন কোন কথাও বললেন না যে, কেন তােমরা নাস্তা তৈরি করলে না? অথচ তােমরা জান আমি ক্ষুধার্ত। মসজিদ থেকে আগমন করবাে। তিনি শুধু বলেছিলেন, ঠিক আছে। আমি তাহলে সিয়াম পালন করলাম। আরেকবার তিনি এসে বললেন, তােমাদের কাছে খাবার আছে? তারা বললাে, জী আছে। তিনি বললেন, তাহলে নিয়ে আসাে। 

তারপর বললেন, তােমাদের কাছে তরকারী আছে? তারা বললাে, আমাদের কাছে শুধু সিরকা আছে। তিনি বললেন, নিয়ে এসাে। তারপর সেটা দিয়েই তিনি ভােজন-পর্ব সম্পাদন করেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব ক্ষেত্রে বিবেক দিয়ে কাজ করতেন। উদাহরণস্বরূপ একবার তার কাছে এক গ্রাম্য লােক এসে মসজিদের ভেতরই প্রশ্রাব করে দিল। সাহাবিরা এই দৃশ্য দেখে তাকে বাধা দিতে উদ্যত হল । কারণ তারা কেবল আবেগ দিয়েই বিষয়টি বিবেচনা করছিলেন কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিকই ভেবেছেন, এমনটা হলে কী কী অঘটন ঘটতে পারে। তাই তিনি বললেন, তাকে বাধা দিওনা।’ এরপর এক বালতি পানি আনতে বলে তা ধুয়ে দিলেন। 

যদি তাকে বাধা দেওয়া হত তাহলে প্রথমেই যা ঘটনার আশংকা ছিল তা হল, তার কাপড়টা নাপাক হয়ে যেত। দ্বিতীয়ত তার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে অমুসলিম হয়ে যাবারও আশংকা ছিল। অথবা ব্যাথা বা হঠাৎ প্রশ্রাব বন্ধ হওয়া থেকে সৃষ্ট নির্দিষ্ট ধরনের রােগেও সে আক্রান্ত হতে পারতাে। রাগ করা না করা নিয়ে এরকম আরও অনেক কিছুই বইটিতে পাবেন।
স্বজাতির নেতা হবেন বোকা ভাবধারী ব্যক্তি....
প্রিয় ভাই, এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। নির্বোধ বোকা লোক স্বাজাতির নেতা হয় না কখনো। তবে যিনি স্বজাতির নেতা হন তিনি বোকা বোকা ভাব ধরে থাকেন। আপনি সহজে উত্তেজিত হবেন না। সব বিষয়ে ক্রোধান্বিত হবেন না। বিশেষকরে অনেক সময় দেখবেন যে, কিছু লোক আছে যাদের কাজই হল অন্যদের ক্ষেপানো। যেমন কেউ একজন এসে আপনাকে মজা করে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য বললো, ‘প্রতিদিন একটা মেয়ের সাথে আমি কথা বলি।' অথচ জানা কথা যে, গাইরে মাহরাম মেয়ের সাথে এভাবে কথা বলা হারাম। তো সে আপনাকে বললো, 'এই যে নাও। ওই মেয়ের নাম্বার। তার সাথে তুমিও কথা বলো। এবং তাকে জিজ্ঞেস করো তার সাথে কথা বলা ঠিক কি না।' আপনি বললেন, আমি তার সাথে কথা বলতে পারবো না। তবে আমি এতটুকু জানি যে, এটা হারাম। আসলে সে যা চাচ্ছিল আপনি তার বাস্তবায়ন করলেন। সে চেয়েছিল আপনাকে উত্তেজিত করে মানুষের সামনে হাসির পাত্র বানাতে।

আল্লাহ মুসা আ. কে রহম করুন

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিক মাধুর্যতা এমন ছিল যে, একবার একব্যক্তি তার কাছে এসে তাকে বললো, “হে মুহাম্মাদ এটা তো এমন বণ্টন, যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়নি।'

দেখুন, সে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমানত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাকে বলেছে, ‘আপনি ন্যায় সঙ্গত ফয়সালা করুন। কারণ আপনি সমতা রক্ষা করেন নি।' আল্লাহু আকবার! নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি ন্যায়পরায়ন না হন তবে ভূপৃষ্ঠে আর কে আছে যে ন্যায় পরায়ণ হবে? নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন জুলুম করেন নি। তিনি খুব শান্তভাবে বললেন, ‘আমার ভাই মুসাকে আল্লাহ তাআলা রহম করুন। এরচেয়েও বেশি কষ্ট তাকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি ধৈর্য ধারণ করেছিলেন। তারপর তিনি তার সাথী-সঙ্গীদের প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং তাদেরকে এই ধরনের লোকদের সাথে আচার-ব্যবহারের রীতি বাতলে দেন। সতর্ক হোন

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনি যখন মানুষের সাথে মেলামেশা ও চলাফেরা করবেন তখন খুবই সতর্ক থাকবেন। যাতে করে কেউ আপনাকে উত্তেজিত করতে না পারে। কারো আচরণ বা উচ্চারণ যাতে আপনাকে ক্রোধান্বিত না করে। অর্থাৎ তারা যাতে আপনাকে নিজেদের মতো নাচাতে না পারে। বরং তাদের সাথে আচার-ব্যবহারের সময় আপনি তাদের সামনে নিজেকে তাদের চেয়ে আরো বেশি বুদ্ধিমান প্রমাণ করুন।

জীবনকে উপভোগ করুন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় জীবনকে উপভোগ করতেন। সেজন্যই দেখবেন তিনি কখনো রাগ করতেন না। আয়েশা রা. বলেন, ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহজে ক্রোধান্বিত হতেন না এই নীতিটা মনে রাখুন। তবে হ্যাঁ, যখন আল্লাহর কোন বিধান লংঘিত হতো তখন তিনি রাগ করতেন। একবার তিনি আয়েশা রা. এর কাছে এসে দেখলেন তিনি দরজায় ছবিযুক্ত পর্দা ঝুলিয়েছেন। তখন তাকে বললেন, 'হে আয়েশা, এটা কী? নিশ্চয় যারা এসব ছবি অংকন করে কেয়ামতের দিন তাদেরকে এর কারণে শাস্তি প্রদান করা হবে।' কথাগুলো তিনি রাগত স্বরে বললেন।

নবীজী রাগ করতেন না

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় রাগ করতেন। তবে ছোট বড় সব বিষয়েই কিন্তু তিনি তা করতেন না। একবার জুমার দিন মাগরিবের পরে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগমন করলেন। প্রচণ্ড জ্বর তাকে কাবু করে ফেলেছিল। তার যখন কোন অসুখ হত তখন মারাত্মকভাবে তাকে তা আক্রমণ করতো। তিনি দুইটা কাপড় দিয়ে নিজেকে আবৃত করে রেখেছিলেন। ইবনে মাসউদ রা. শরীরের তাপমাত্রা নীরিক্ষা করার উদ্দেশ্যে কাপড়ের উপর হাত রেখে বললেন, 'হে আল্লাহর রাসুল, আপনি তো মারাত্মক অসুস্থ। আপনার এই অসুখটা কী?’ তিনি বললেন, ‘আমি অসুস্থ হলে তোমাদের দুই জনের সমপরিমান অসুস্থ হয়ে থাকি। কারণ আমার জন্য রয়েছে দুই নেকী।

Want to more read ...? Than, Please Buy This Book Hardcopy & Help's Author to more write..
boipaw.com™

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ