ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত লেখক : মুহাম্মাদ আসাদ (রাহিমাহুল্লাহ)

ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত 
লেখক : মুহাম্মাদ আসাদ (রাহিমাহুল্লাহ)
প্রকাশনী : সাবিল পাবলিকেশন
বিষয় : মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি
অনুবাদক : জাকারিয়া মাসুদ
পৃষ্ঠা : 120
ভাষা : বাংলা

   ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত বইটির সর্ট রিভিউ

পশ্চিমা সভ্যতা আজ বিজয়ী শক্তি। তার রয়েছে চোখ-ধাঁধানো প্রযুক্তি, অভিনব জীবনদর্শন। মহাকাশ পর্যন্ত তারা জয় করে ফেলেছে। অত্যন্ত দাপটের সাথে পশ্চিমারা এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছে পুরো দুনিয়া জুড়ে। মুসলিম বিশ্বকেও তারা করায়ত্ব করে ফেলেছে। পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে ইসলামি তমদ্দুন কালের স্রোতে হারিয়ে যেতে বসেছে। মুসলিম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ফিরিঙ্গিপনার প্রবল আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতে আমাদের করণীয় কী?

আমরা কি পশ্চিমাদের দাপুটে সভ্যতার কাছে সবকিছু সঁপে দেব? আত্মসমর্পণ করে নেব পশ্চিমা সংস্কৃতির সামনে?ইসলাম সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জীবনব্যবস্থা। এর রয়েছে পৃথক সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক কাঠামো। রয়েছে আলাদা সমাজব্যবস্থা। তাই একজন সত্যিকারের মুসলিম কখনো ফিরিঙ্গি সভ্যতার আনুগত্য করতে পারে না। বিলাতি সভ্যতার অনুকরণ করে ইসলামে মহান ভাবধারাকে বিসর্জন দিতে পারে না। তাকে অবশ্যই পশ্চিমা স্রোতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু কিভাবে সে অগ্রসর হবে? 

কোন পন্থায় আসবে ইসলামের পুনর্জাগরণ?এসব দিকই খোলাসা করা হয়েছে “ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত” বইটিতে। মুহাম্মাদ আসাদ (রহ.) খুব স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ইসলামি কর্মধারা। বইটিকে বলা যায় “ইসলামি সভ্যতার ইশতেহার”। কর্মবীর মুসলিমদের চিন্তার খুরাক জুগাতে বইটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে ইন-শা-আল্লাহ।
Image



 ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত বইটি কেন লিখলাম?

বর্তমান সময়ের মতো মানুষ আর কখনোই এতটা বুদ্ধিবৃত্তিক অস্থিরতার সম্মুখীন হয়নি। আমরা কেবল এমন সমস্যার মুখোমুখিই হচ্ছি না, যার জন্যে নিত্যনতুন ও অভিনব সমাধান প্রয়োজন। পাশাপাশি এসব সমস্যা আমাদের সামনে এমন সব দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হাজির হচ্ছে, যেগুলোর সাথে আজও আমাদের পরিচয় ঘটেনি। সকল দেশের সমাজব্যবস্থায় সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের মৌলিক পরিবর্তন ঘটেছে। যে গতিতে এই পরিবর্তন হয়, অবস্থাভেদে তার তফাত ঘটে। তবে আমরা সকল জায়গায় একই ধরনের ভাবলেশহীন গতিশীলতা দেখতে পাই।

এই দিক থেকে ইসলামি জগতও ব্যতিক্রম নয়। পুরোনো রীতিনীতি ও ধ্যানধারণাগুলো ক্রমাগত বিলীন করে দিয়ে নতুনত্বের উত্থান এখানেও আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু এই ক্রমবিকাশ আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? কতখানি গভীরে গিয়ে ঠেকেছে এটি? ইসলামের সাংস্কৃতিক মিশনের সাথে এটি কতটা খাপ খায়?

সামগ্রিকভাবে এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়া এই কিতাবের উদ্দেশ্য নয়। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এখানে কেবল নয়া জমানার মুসলিমদের একটি সমস্যা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। তা হলো, পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতি তারা কী ধরনের মনোভাব পোষণ করবে। বিষয়টি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ, তাই ইসলামের বিভিন্ন মৌলিক দিকসমূহ খতিয়ে দেখা হয়েছে। বিশেষ করে সুন্নাহর বিষয়টি। এটি এমন এক বিষয়, যার সম্পর্কে বলতে গেলে খণ্ডের-পর-খণ্ড শেষ হয়ে যাবে। তাই যৎসামান্য ধারণা দেওয়া ছাড়া এখানে আর কিছু বলা সম্ভব হয়ে উঠবে না। এরপরও আমি কিছুটা আত্মবিশ্বাসী যে, এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি নিয়ে হয়তো অন্যদের উদ্যোগী হতে সাহায্য করবে।

এখন আমি নিজের পরিচয় দিচ্ছি। কারণ, (ইসলামে) প্রত্যাবর্তনকারী একজন ব্যক্তি যখন মুসলিমদের সাথে কথা বলবে, তখন ‘কিভাবে' আর ‘কেন’ সে ইসলাম গ্রহণ করেছে—এটা জানার অধিকার তাদের আছে।

১৯২২ সালে আমি আমার জন্মস্থান অস্ট্রিয়া ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি। উদ্দেশ্য ছিল, কিছু বিখ্যাত মহাদেশীয় পত্রিকার বিশেষ সাংবাদিক হিসেবে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করা। তারপর থেকে আজ অবধি, আমি আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি ইসলামি প্রাচ্যে। আমি যেসব জাতির সংস্পর্শে এসেছিলাম, প্রথম দিকে স্রেফ একজন ভিনদেশী হিসেবে তাদের ব্যাপারে (জানার) আগ্রহবোধ করতাম। আমি তখন এমন এক সমাজব্যবস্থা ও জীবনবোধ দেখতে পেলাম, যা একেবারেই ইউরোপীয়দের বিপরীত। ঠিক এ কারণেই প্রথম থেকে আমার মধ্যে ইউরোপের হঠকারী ও যান্ত্রিক জীবনের তুলনায় শান্ত কিংবা বলা উচিত মানবিক জীবনবোধের প্রতি অনুরাগ জেগে ওঠে। এই অনুরাগ আমাকে এমনতরো পার্থক্যের কারণ অনুসন্ধানের দিকে নিয়ে যায়। আর আমি মুসলিমদের দ্বীনি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ি।

সে-সময় ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ার দৃঢ় আগ্রহ আমার মধ্যে ততটা ছিল না। কিন্তু এটি আমার সামনে এমন এক অগ্রগামী মানব সমাজের চিত্র তুলে ধরে, যার মধ্যে রয়েছে প্রকৃত ভ্রাতৃত্বের অনুভূতি। আর অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ (যার মধ্যে) খুবই সামান্য। তা সত্ত্বেও আমার মনে হয়েছে—বর্তমান মুসলিমদের জীবন, ইসলামের বাতলে দেওয়া ধর্মীয় আদর্শ থেকে বহু দূরে অবস্থান করছে। ইসলামের অগ্রযাত্রা ও বিপ্লবী চেতনা পাল্টে দিয়ে, মুসলিমরা অলস ও কর্মবিমুখ জীবন (বেছে নিয়েছে)। ইসলামের উদারতা ও কুরবানির মানসিকতা বিকৃত করে, মুসলিমরা আয়েশী জীবন এবং সংকীর্ণ মানসিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েছে)।

এটি আবিষ্কার করার পর আমার উৎসাহ বাড়ল ঠিক, কিন্তু অবাক হলাম ইসলামের অতীত ও বর্তমানের ফারাক দেখে। তাই আমার সামনে আসা সমস্যাটিকে আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। মানে, আমি নিজেকে ইসলামের ছায়াতলে কল্পনা করতে লাগলাম। এটি ছিল পুরোপুরি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক গবেষণা। আর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সঠিক দিশা খুঁজে পেলাম। বুঝতে পারলাম, মুসলিমদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের মূল কারণ হলো, তারা আত্মিকভাবে ধীরে ধীরে ইসলামি শিক্ষার অনুসরণ ছেড়ে দিয়েছে। ইসলামে সেখানে আছে ঠিক, কিন্তু সেটা যেন আত্মাহীন এক দেহের মতো। যে উপাদানটি একসময় পুরো মুসলিম উম্মাহকে শক্তি জুগিয়েছিল, আজ সেটাই তার দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোড়ার দিক থেকেই ইসলামি সমাজব্যবস্থার একমাত্র ভিত্তি ছিল দ্বীন। আর এই ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার কারণেই আজকে মুসলিমদের সাংস্কৃতিক কাঠামো দুর্বল হয়ে গিয়েছে। হয়তো এর জন্যেই ইসলামি সংস্কৃতি দিনে দিনে ম্লান হয়ে যাবে।

আমি যতই ইসলামি শিক্ষার বাস্তবতা ও এর প্রায়োগিক দিকটা অনুধাবন করতে পারছিলাম, ততই আমার মধ্যে প্রশ্ন জেগে উঠছিল—কেন মুসলিমরা তাদের জীবনে দ্বীনের পরিপূর্ণ চর্চা ছেড়ে দিয়েছে।

লিবিয়ান মরুভূমি ও পামিরস অঞ্চল, বসফরাস ও আরব সাগরের মাঝে অবস্থিত দেশসমূহের বহু মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনা করি। এটি আমার জন্যে রীতিমতো অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামি দুনিয়ার অন্যসব বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয় সম্পর্কে আমার আগ্রহকে ছাপিয়ে যায়। আমার জিজ্ঞাসাবাদ ধীরে ধীরে এতটাই জোরালো হয়ে দাঁড়ায় যে, মনে হচ্ছিল—একজন অমুসলিম হয়েও মুসলিমদের অবহেলা ও উদাসীনতা থেকে ইসলামকে রক্ষা করার জন্যে আমি তাদের সাথে কথা বলছিলাম।

আমার এই অগ্রগতি নিজের কাছেই অনেকটা আড়াল থেকে যায়। ১৯২৫ সালের শরৎকালে আফগানিস্তানের পাহাড়ি অঞ্চলের এক যুবক গভর্নর আমাকে বলেন : “তুমি তো মুসলিম। কিন্তু তুমি নিজেই তা জানো না।” তার কথায় আমি অভিভূত হয়ে পড়লাম এবং নিশ্চুপ থাকলাম। কিন্তু ১৯২৬ সালে পুনরায় ইউরোপে ফেরার পর বুঝতে পারলাম আমার মনোভাবের একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল হলো ইসলাম কবুল করা। এটাই হলো আমার ইসলাম গ্রহণের উপাখ্যান। সে সময় থেকেই আমি বারবার নিজেকে প্রশ্ন করে আসছি, “কেন তুমি ইসলাম গ্রহণ করলে? কোন জিনিসটি বিশেষভাবে তোমাকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করেছিল?”

এটা স্বীকার করতেই হবে, এই প্রশ্নের জুতসই কোনো উত্তর আমার কাছে নেই। আসলে বিশেষ কোনো শিক্ষা আমাকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করেনি। বরং ইসলামের আকর্ষণীয় ও বর্ণনাতীত সুসঙ্গত নৈতিক শিক্ষা এবং বাস্তবসম্মত জীবনাচার আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। আমি এখনো বলতে পারব না, এর মধ্যে কোন জিনিসটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছে

ইসলামকে আমার কাছে নিখুঁত স্থাপত্যকলার মতো মনে হয়। এর প্রত্যেকটি অংশ এতটাই সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত যে, একটি অন্যটির পরিপূরক ও অবলম্বন হিসেবে কাজ করে। এখানে কোনো বাড়াবাড়ি নেই, আবার ছাড়াছাড়িও নেই। এর ফলে এটি ভারসাম্যপূর্ণ ও স্থির জীবনব্যবস্থায় রূপ নিয়েছে। ইসলামের প্রত্যেকটি শিক্ষা ও মৌলিক নীতি ‘যথাযথ অবস্থানে রয়েছে'—খুব সম্ভবত এই অনুভূতিই আমার ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল। এর সাথে আরও কিছু প্রভাব হয়তো দায়ী ছিল, যা এই মুহূর্তে ব্যাখ্যা করা কঠিন। সর্বোপরি এর সাথে ভালোবাসার ব্যাপারটিও জড়িত ছিল। আর ভালোবাসা তো নানাভাবেই জন্মাতে পারে। আশা-আকাঙ্ক্ষা ও একাকীত্ব থেকে, উচ্চাশা ও অক্ষমতা থেকে, দৃঢ়তা ও দুর্বলতা থেকে ভালোবাসার জন্ম হয়। আমার ক্ষেত্রে হয়তো এমনটাই ঘটেছিল। ইসলাম আমার কাছে এসেছিল ডাকাতের বেশে, যে কিনা রাতের বেলায় মানুষের ঘরে ঢুকে। কিন্তু ডাকুর মতো (ধন-সম্পদ লুট না করে) লুটে নিয়ে যায় অন্তর |

তখন থেকেই আমি আমার সাধ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে ইসলামকে বোঝার

[১] শাব্দিক অনুবাদ হবে : “যে কিনা রাতের বেলায় মানুষের ঘরে ঢুকে। কিন্তু ডাকাতের মতো আচরণ না করে, চিরকাল থেকে যাওয়ার জন্যে আসে।”

চেষ্টা করতে লাগলাম। আমি কুরআন-হাদীস নিয়ে পড়াশোনা করলাম। এর ভাষা ও ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করলাম। এর পক্ষে-বিপক্ষে যা কিছু লেখা হয়েছে, সে-সম্পর্কে ঘাঁটাঘাঁটি করলাম প্রচুর। হিজায ও নজদ এলাকায় প্রায় নয়টা বছর পার করেছি আমি। বেশিরভাগ সময় কেটেছে মক্কা ও মদীনায়। যাতে করে মুহাম্মাদে আরাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে পরিবেশে এই দ্বীন প্রচার করেছিলেন, তার কিছুটা স্বাদ আমিও পেতে পারি।

হিজায বহুদেশের মুসলিমদের মিলনস্থল। যার ফলে আমি মুসলিম বিশ্বে প্রচলিত বিভিন্ন ধর্ম ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে তুলনা করতে পেরেছিলাম। এসব গবেষণা ও তুলনা আমার মাঝে এই দৃঢ়তা সৃষ্টি করে যে, মুসলিমদের লার ফলে সৃষ্টি হওয়া নানাবিধ বিপত্তি সত্ত্বেও আধ্যাত্মিক ও সামাজিক ব্যবস্থা হিসেবে ইসলাম আজও এমন এক চালিকাশক্তি, যা মানবজাতি আর কখনোই প্রত্যক্ষ করেনি। সেই থেকে আমার সমস্ত আগ্রহ ইসলামের পুনর্জাগরণকে ঘিরে। এই ছোট্ট বইটি সেই মহান লক্ষ্যের পথে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র৷

এখানে বিভিন্ন বিষয়াদির ব্যাপারে নিরঙ্কুশ পর্যবেক্ষণ জাহির করা হয়নি। আমার দৃষ্টিতে এটি 'ইসলাম বনাম পাশ্চাত্য সভ্যতা'-র ব্যাপারে আলোকপাত মাত্র। বইটি ওইসব মানুষদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়নি, যাদের কাছে ইসলাম হলো অন্যান্য ধর্মের মতো গড়পড়তা সামাজিক উপকরণ। বরং এটি তাদের জন্যে লেখা হয়েছে যাদের মনে আজও ওই আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে, যা নবিজির সাহাবিদের অন্তরে ছিল। সেই আগুন, যা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ফুটিয়ে তুলেছিল।

মুহাম্মাদ আসাদ

দিল্লি, মার্চ, ১৯৩৪

ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত বইটির free pdf download চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ