বইঃ খলিফাদের সোনালি ইতিহাস | Kholifader Sonali Etihash By Syed Abdul Quddus Hashemi

বইঃ খলিফাদের সোনালি ইতিহাস পিডিএফ ডাউনলোড | Kholifader Sonali Etihash By Syed Abdul Quddus Hashemi


খলিফা ও খেলাফত শব্দ দুটি হলো আরবি। এর আসল অর্থ হলো স্থলাভিষিক্ত হওয়া। খলিফা শব্দটি কুরআন মাজিদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আঙ্গিকে ব্যবহার হয়েছে।

ইসলামের ইতিহাসে খেলাফত বলা হয় এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে, যা সকল মুসলমানের কাছে কেন্দ্রের মর্যাদা রাখে। চাই এই কেন্দ্রটি অত্যন্ত শক্তিশালী হোক কিংবা অত্যন্ত দুর্বল হোক। এই কেন্দ্রের মহাপরিচালককে বলা হয় খলিফা। যিনি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ও আল্লাহর বিধান কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খলিফা ও প্রতিনিধি।

সর্বপ্রথম দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক রা. নিজের জন্য আমিরুল মুমিনিন শব্দটি চয়ন করেছিলেন। এরপর থেকে সকল খলিফাই আমিরুল মুমিনিন উপাধি ব্যবহার করতে থাকেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর যখন হযরত আবু বকর রা. খলিফা হন, তখন মুসলমানরা তাঁকে খলিফাতু রাসুলিল্লাহ তথা আল্লাহর রাসুলের খলিফা বলে সম্বোধন করতে শুরু করে। তারপর হযরত উমর রা. যখন খলিফা হন, তখন লোকেরা তাঁকেও খলিফাতু রাসুলিল্লাহ অভিধায় ভূষিত করে।

সহসা একদিন হযরত উমর রা. বললেন, 'আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খলিফা নই; বরং হযরত আবু বকর রা.-এর খলিফা। আল্লাহর রাসুলের খলিফা ও স্থলাভিষিক্ত ছিলেন আবু বকর রা.। আর আমি আবু বকর রা. এর স্থলাভিষিক্ত। তাই শুদ্ধ ও সুন্দর কথা হলো, সঠিক ও ন্যায়ানুগ কথা হলো, তোমরা সবাই মুমিন আর আমি তোমাদের আমির।' এভাবেই আমিরুল মুমিনিন উপাধি ব্যবহার শুরু হয়। তারপর মানুষের কাছে এই শব্দটা অত্যন্ত প্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের কাছে এই অভিধা মধু মধু লাগে। তারা তা এতই পছন্দ করে যে, পরবর্তী সকল খলিফা এই অভিধায় অভিষিক্ত হতে থাকেন।

বই: খলিফাদের সোনালি ইতিহাস 
প্রকাশনী: হাসানাহ পাবলিকেশন 
মলাট মূল্য: ৭২০/-

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ