মেঘে ঢাকা সুন্নাত - লেখক : মুহিব খান | Meghe Dhaka Sunnat By Muhib Khan

মেঘে ঢাকা সুন্নাত (pdf download free no available)
লেখক : মুহিব খান
প্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনী
বিষয় : সুন্নাত ও শিষ্টাচার
পৃষ্ঠা : 112, কভার : হার্ড কভার
আইএসবিএন : 9789849385946, ভাষা : বাংলা

Image

সূচিপত্র........

  1. • প্রারম্ভিকা—১১
  2.  মেঘে ঢাকা সুন্নাত – ১৩
  3. সত্যবাদিতা—২১
  4.  আমানতদারি ২৮
  5. দেনা-পাওনা ও হক পরিশোধ–৩৫
  6. দাম্ভিক-অহংকারী না হওয়া–৪৩
  7. প্রতিবেশীর অধিকার ও সদ্ব্যবহার -৫১
  8. পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন
  9. কষ্ট প্রশমন, উপকার ও কল্যাণ সাধন–৫৮
  10. আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও সদ্ব্যবহার–৬৫
  11. সচ্চরিত্র ও সদাচরণ – ৭৪
  12. সহনশীলতা ও নম্রতা–৮৩
  13. গিবত, চোগলখোরি, দ্বিমুখিতা ও কুধারণা না করা–৮৭
  14. লোকদেখানো, কৃত্রিমতা ও মোসাহেবি না করা—৯৪ 
  15.  আরও কিছু সামাজিক সুন্নাত–৯৯
  16. উপকার করে খোঁটা না দেওয়া – ১০২
  17. অপর মুসলমানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করা– ১০৪
  18. একজনকে বাদ দিয়ে কানাকানি না করা—১০৬
  19. সুন্নতি (কবিতা) – ১০৮
  20. উপসংহার–১১১
মানবতার মুক্তিদূত, বিশ্বসভ্যতার পথপ্রদর্শক, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীর প্রতিটি মুমিন-হৃদয়ের জ্যোতির্ময় ভালোবাসা। স্বয়ং রাব্বুল আলামিন তাঁর কালামে পাকে যাঁকে মানবজাতির জন্যে সর্বোত্তম আদর্শ বা ‘উসওয়াতুন হাসানাহ' বলে প্রশংসিত করেছেন।

রাসুলপত্নী আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা যাঁকে পবিত্র কুরআনের জীবন্ত রূপ বলে অভিহিত নীতি-আদর্শ ও চরিত্র-মাধুর্যে বিমুগ্ধ বিমোহিত হয়েছে গোটা আরব রছেন। যাঁর আজমসহ কুল মাখলুকাত ও কুল কায়েনাত। মহান রাব্বুল আলামিনের প্রশংসার পর অসংখ্য দুরুদ ও সালাম সেই প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।

ইসলামি শরিয়ার পরিভাষায় উম্মতের প্রতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল নির্দেশ, সমর্থন, কর্ম ও আচরণকে আমরা সুন্নাহ বা সুন্নাত বলে জানি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য হল, আমরা তাঁর আদর্শের বিশালতা ও গভীরতা সম্পর্কে নিতান্তই অজ্ঞ ও উদাসীন হয়ে আছি। আমরা তাঁর সুন্নাহর তাৎপর্য ও পরিধি যথাযথ অনুধাবন না করেই একে অন্যকে সুন্নাতের অনুসারী বা পরিপন্থি সাব্যস্ত করছি; এমনকি তাঁর হাতেগোনা কতক বাহ্যিক এবং অপেক্ষাকৃত গৌণ সুন্নাতের চর্চা ও প্রচারেই আত্মতুষ্টির ঢেকুর তুলছি এবং এর ভিত্তিতেই ‘মুহিউসসুন্নাহ'র মতো স্পর্শকাতর উপাধিরও যথেচ্ছ আরোপ করছি।

আমাদের এ অজ্ঞতা ও সংকীর্ণতা সাধারণ মুসলমানদের কাছে সুন্নাতে নববীর প্রকৃত মাহাত্ম্যকে দিন দিন ম্লান করে দিচ্ছে; আধুনিক বিশ্বের কাছে করে দিচ্ছে গৌণ ও উপেক্ষিত। আমরা নিজেদের প্রজ্ঞার দৈন্যতায় বা অন্ধ স্বার্থচিন্তায় প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুটিকয়েক বাহ্যিক সুন্নাতের আড়ালে তাঁর জীবনময় লালিত অসংখ্য নৈতিক ও চারিত্রিক সুন্নাতকে বানিয়ে দিচ্ছি বিলুপ্তপ্রায়। আমরা সময় এবং সমাজে তাঁর বাহ্যিক ও আদর্শিক সুন্নাতসমূহের সুসমন্বিত প্রকাশ ও বিকাশ সাধনে বহুলাংশেই উদাসীনতা ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছি। এ অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।

আমি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অতি নগণ্য এক উম্মাত। হৃদয়ের অতল গভীর থেকে তাঁর প্রেমমুগ্ধ অতি সাধারণ এক প্রেমিক। আমি এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়ের উপর যৎসামান্য আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আমি কেবল মনোযোগ আকর্ষণ করতে চেয়েছি সেই সব উপযুক্ত মানুষদের, যাদের সামনে হয়তো আমি তেমন কিছুই নই। তবুও আমার একান্ত চাওয়া—চিন্তার দৈন্যতা ও জ্ঞানের সংকীর্ণতার এই দুঃসময়ে সুন্নাতে নববির বর্ণিল আকাশে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের 'মেঘে ঢাকা সুন্নাত’-গুলো হেসে উঠুক প্রজ্ঞার সূর্যকিরণে। প্রতিটি মুমিনের ভেতর-বাহির সুশোভিত হয়ে উঠুক নববি আদর্শের স্নিগ্ধ আবরণে।

সুন্নাতে নববির এই সামান্য খেদমতের ওসিলায় আখেরাতে যেন তাঁর সাক্ষাৎ ও শাফায়াত নসিব হয়।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফিয়িনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদ, ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া বারিক ওয়া সালিম।

মুহিব খান
ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বাগিচা প্যালেস, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।

                      মেঘে ঢাকা সুন্নাত.......

আমাদের প্রিয় নবী, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, আল্লাহর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল, পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, আকায়ে নামদার, সারওয়ারে কায়েনাত, সারকারে দো আলম, তাজদারে মদিনা, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। এ কথাটি বলতে বলতে এবং শুনতে শুনতে আমরা এতই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, এর সুগভীর মর্ম অনুধাবনে যথেষ্ট উদাসীন হয়ে গেছি।

মানুষের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন ও সামাজিক জীবনের চিন্তা ও মানসিকতা কেমন হওয়া উচিত, উপলব্ধি ও অনুভূতি প্রকাশ কেমন হওয়া উচিত, বাহ্যিক আচার ও তৎপরতা কেমন হওয়া উচিত, নিজের ও অন্যের ক্ষেত্রে পছন্দ ও সিদ্ধান্তগত সমন্বয়বিধানের দিকটি কেমন হওয়া উচিত–এ সব কিছুর সুবিন্যস্ত, সুসামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি ও বাস্তব উদাহরণ হিসেবে যাঁর জীবনের প্রতিটি উপদেশ, নির্দেশ, কর্ম ও কাহিনি আমাদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট অনুসরণীয় আদর্শ—তিনিই তো আল্লাহর হাবিব, আমাদের জীবনযাপন, পরিবার-পরিজন থেকেও প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ চৈন্তিক, আচরণিক, মানবিক ও ব্যাবহারিক জীবন আদর্শকেই আমরা সুন্নাহ বা সুন্নাত বলে থাকি। আর এই সুন্নাতসমূহকে নিজেদের জীবনে ধারণ ও পালন করার অর্থই হল নবীর সুন্নাতের অনুসারী হওয়া বা এককথায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারী হওয়া।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসারী হওয়ার জন্য ঈমান শর্ত। কোনো অমুসলিম যদি রাসুলের কিছু কিছু নীতি ও আচরণকে অনুসরণ করেও তবুও তাকে সুন্নাতের অনুসারী বলা যাবে না। কারণ, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি বিশ্বাসীই নয়—অর্থাৎ মুমিন নয়। অতএব, পৃথিবীর সমস্ত মুমিন ও মুসলিমরাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারী; কেননা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্নাতটিই হচ্ছে ঈমান। ঈমানের পাশাপাশি নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতসহ আল্লাহর অনেক বিধান ও নির্দেশ রয়েছে, যা আমাদের জন্য ফরজ আমল এবং এ সব ফরজ বিধানসমূহ আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুলের মাধ্যমেই আমাদের নিকট এসেছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আমল করে আমাদের শিখিয়েছেন বলেই আমরা শিখেছি এবং আমাদেরও আমল করতে বলেছেন বলেই আমরা আমল করি। অতএব, এ সব বিধান আল্লাহর পক্ষ হতে আরোপিত ফরজ হওয়ার পাশাপাশি রাসুলের নির্দেশিত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। তদ্রূপ রাসুলের জীবনাচার থেকে পাওয়া অন্য সব সুন্নাত আমাদের জন্য সরাসরি আল্লাহর নির্দেশ না হলেও নিদর্শনস্বরূপ, যা আমাদের জন্য অনুকরণীয় করে দিয়েই পবিত্র কুরআনে একে ‘উসাওয়াতুন হাসানাহ' বা উত্তম আদর্শ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে কোনো সুন্নাতের অনুসরণ আল্লাহর নিদর্শন ও নির্দেশনারই অনুসরণ।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতকে নানা আঙ্গিক থেকে বিশ্লেষণ ও বিন্যস্ত করা যায়। প্রথমত ধরে নেওয়া যায় সুন্নাত দুই প্রকার :

এক. আল্লাহর সমস্ত বিধান, যা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জানিয়েছেন ও বুঝিয়েছেন, শিখিয়েছেন, করে দেখিয়েছেন এবং করতে বলেছেন। এগুলো আল্লাহরও বিধান এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরও সুন্নাত।

দুই. রাসুলের নিজস্ব রুচি, বৈশিষ্ট্য ও জীবনাচার, যা আল্লাহই মানবজাতির অনুসরণীয় আদর্শ হিসাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সত্তা, ব্যক্তিত্ব ও জীবনের সঙ্গেই জুড়ে দিয়েছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আমাদের দেখিয়েছেন, শিখিয়েছেন এবং ‘উত্তম আদর্শ’ বা ‘উসওয়াতুন হাসানাহ' বিশেষণে কুরআনে উল্লেখ করেছেন এবং মানুষকে তা অনুসরণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

দ্বিতীয় প্রকার সুন্নাত অর্থাৎ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাচার থেকে পাওয়া সুন্নাতকেও প্রথমে দুটো ভাগে ভাগ করে নেওয়া যায় :

এক. পরোক্ষ সুন্নাত। অর্থাৎ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চিন্তা-চেতনা, অনুভূতি-উপলব্ধি, বিশ্বাস-বিবেচনা, মন-মানসিকতা, বিবেক ও বিচার-বুদ্ধির ধারণ-ধরন, প্রকাশ ও প্রয়োগের দৃষ্টি-গতি, আন্দাজ-মেজাজ ও মাত্রা।

দুই. প্রত্যক্ষ সুন্নাত। অর্থাৎ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা-কাজ-নির্দেশ, আচার-আচরণ-তৎপরতা, রুচি-পছন্দ-আগ্রহ অভ্যাস, আদেশ-আকাঙ্ক্ষা, পরামর্শ, নির্দেশনা ও সমর্থন।

এ ক্ষেত্রে প্রথম প্রকার সুন্নাত, অর্থাৎ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরোক্ষ সুন্নাতসমূহ সঠিকভাবে অনুধাবন ও অনুকরণ করতে পারা খুব কমসংখ্যক মানুষের পক্ষেই সম্ভব হয়ে থাকে। এর জন্য যে গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রয়োজন, যতটুকু সূক্ষ্ম উপলব্ধি ও নিরীক্ষণ ক্ষমতার প্রয়োজন, তা উম্মতের অতি অল্প মনোনীত মানুষকেই আল্লাহ দান করেন—যাদের চিনতে ও বুঝতে পারাও অন্য সবার পক্ষে সহজ নয়, এমনকি সম্ভবও নয়!

আর দ্বিতীয় প্রকার সুন্নাত, অর্থাৎ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রত্যক্ষ সুন্নাতসমূহের মধ্যেও আবার কিছু ভাগ রয়েছে :

এক. একান্ত ব্যক্তিগত রুচি-অভ্যাস। দুই. পারিবারিক রীতি-নিয়ম ও বৈশিষ্ট্য।

তিন. সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক আচরণ, শিক্ষা ও নির্দেশনা।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও এই তৃতীয় প্রকারটির বর্ধিত ও সম্প্রসারিত চর্চাই প্রযোজ্য হয়ে থাকে। সর্বোপরি এই সমস্ত প্রকারের সুন্নাতকে বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে আরও দু রকম ভাগে বিন্যস্ত করা যায় : এক. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাহ্যিক কথা, কর্ম ও

সমর্থন ।

দুই. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উদ্দেশ্য ও আদর্শ।

অথবা

এক. আচরণগত সুন্নাত ।

দুই. নীতিগত সুন্নাত ।

সুন্নাতের এ বহুমাত্রিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও বিভাগ-বিন্যাসের সমীকরণ আপাতত কিছুটা দুর্বোধ্য মনে হলেও 'মেঘে ঢাকা সুন্নাত’ শিরোনামে এ আলোচনার পরবর্তী বিশ্লেষণগুলো সহজে অনুধাবন করার জন্য নিশ্চয়ই সহায়ক হবে। কারণ, পাঠকের মনে স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নানা প্রকারের অসংখ্য সুন্নাতের মাঝে 'মেঘে ঢাকা সুন্নাত’-এর সংজ্ঞা ও পরিচয় তাহলে কী?

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত বলতেই আমরা চারটি বিষয়ের দিকে প্রাথমিকভাবে লক্ষ করে থাকি; কোনো মানুষকে সুন্নাতপালনকারী বা সুন্নাততরককারী বলে সাব্যস্ত করতেও এ চারটি বিষয়কেই প্রধানত মাপকাঠি ধরে নিই।

এক. চুল, দাড়ি, গোঁফ—এককথায় অবয়ব।

দুই. পোশাক-আশাক, সাজসজ্জা—এককথায় পরিচ্ছদ। তিন. ডান হাত-পা ও বাম হাত-পায়ের ব্যবহার—এককথায় বাহ্যিক অঙ্গ-সঞ্চালন।

চার. সালাম, মুসাহাফা, মুআনাকা—এককথায় সম্ভাষণ।

আরো পড়তে অথবা দেখতে :- অনুগ্রহ করে Hardcopy ক্রয় করুন।
We Respect Every Author Hardwork - boipaw.com™

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ