বই : সময়ের মূল্য বুঝতেন যারা পিডিএফ ডাউনলোড করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে
লেখক : শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহঃ এর রচিত বই
অনুবাদ : মাওলানা ইমরানুল হক
Shaykh Abdul Fattah Abu Guddah Rah. Books
শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহঃ এর সম্পর্কে_______
শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদাহ রহঃ বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত হাদীছবিশারদ,যুগশ্রেষ্ঠ আলেমে দীন।হাদীছের খেদমতে নিজের জীবন উৎসর্গকারী মহান কাফেলার অন্যতম সদস্য। হালবে জন্মগ্রহণকারী এই মনীষী ১৯১৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।১৯ বছর বয়সে পড়ালেখা শুরু করেন। খসরুয়ীয়া মাদ্রাসার পরে বিশ্বের অন্যতম ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ বছর পড়াশুনা করার পর মনোবিজ্ঞানে সনদ পাওয়ার পর পড়াশুনা শেষ করেন। তিনি ছিলেন অনেক উচ্চ মনোবল,প্রচণ্ড আগ্রহ,প্রখর স্মৃতিশক্তি ও তুখড় মেধার অধিকারী; যা তার রচনাসমগ্র থেকে অনুধাবন করা যায়। তিনি ছিলেন একাধারে মুহাদ্দিস, ফকীহ,উসূলবিদ,নাহুবিদ সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক। তার ইলমী অবস্থান সম্পর্কে বুঝাতে গিয়ে মহান ব্যক্তিত্ব, শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী,, ইতিহাসবিদ মুফাক্কিরে ইসলাম সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভীর উক্তিটি যথেষ্ট । “আলি মিয়া নদভী রহঃ এই বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণের মুখবন্ধে লেখেন,পরকথা হলো,এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয় যে,মহান সাধক আলিম শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহঃ এর কিতাবটি সম্পর্কে আমার মতামত কয়েক লাইনে লিখতে পারছি।যিনি উচ্চ মনোবল,উন্নত দৃষ্টিভঙ্গী,বিভিন্ন শাস্ত্রে দক্ষতা ও পাণ্ডিত্যের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ওলামায়ে কেরামের নিদর্শন।তিনি-ই তার কোনো একজন ছাত্রকে আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহঃ এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বলেছিলেন-আগামী দিনগুলোতে তুমি অবশ্যই ঐসকল উলামায়ে কেরামের কথা স্মরণ করবে যাদের সাথে তুমি সাক্ষাৎ করেছ এবং অবশ্যই তুমি এ সাক্ষাতের কারণে গর্ববোধ করবে এবং অচিরেই কোনো একদিন বলবে আমি মহান শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর সাক্ষাত পেয়েছি “
সময়ের মূল্য বুঝতেন যারা বই সম্পর্কে__________
মানুষের প্রতি আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যেএক অমূল্য,অন্যতম মৌলিক নিয়ামত হল সময়।।এটি ই
মানুষের অস্তিত্বের ক্ষেত্র এবং জীবনের মূলধন।।সময়কে কেন্দ্র করেই আমাদের জীবনের সব কর্মকান্ড আবর্তিত হয়।
সময়ের মূল্য তাই ব্যাপক অর্থবহ শব্দ।।এ সম্পর্কে ইয়াহইয়া ইবন হুরায়রা বলেছেন, “যা কিছু সংরক্ষণ করায় সচেষ্ট হওয়া দরকার, তন্মধ্যে সময় ই সবচেয়ে মূল্যবান। অথচ আমি দেখি এটাই খুব সহজে বরবাদ হচ্ছে।।”
বাস্তব জীবনে সময়ের মূল্য অপরিসীম -হোক সেটা ব্যক্তিজীবন বা জাতীয় জীবনে।আর ইসলামি শরীয়ত এর প্রায় সব বিষয় ই সময়ের সাথে সম্পর্কিত।প্রথমে ই বলা যায়,,,ফরজ নামাযের কথা।তারপর রোযা,হজ্ব,যাকাত,শিশু র আক্বীকা,দুধ পান,ফিতরা,,, ইত্যাদি কর্মকাণ্ড নির্দিষ্ট সময়ে আবর্তিত।।।
জীবনে যারা উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করেছেন,,কোন না কোন ক্ষেত্রে অবদান রেখে অমর হয়েছেন,তাদের উন্নতির মূলে ছিল পরিশ্রম,অধ্যবসায় আর সময়ের মূল্য।
লেখক এমন সব আলিম ও মনীষী দের উদাহরণ দিয়েছেন যে তাদের সময়ের প্রতি নিষ্ঠা জানলে আমরা অনেক অবাক হব,,, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত অবস্থা হবে -আমাদের নিজেদের অবস্থা উপলব্ধি করতে পারব।
দুটা নিয়ামত দ্বারা মানুষ প্রতারিত হয় -সুস্থতা,আর অবসর।কারণ এগুলো ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে সময়ের উপকার আদায় করা যায়,,প্রকৃত নির্যাস আস্বাদন করা যায়।কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ একে কাজে লাগাতে পারে না,,,অপাত্রে ব্যয় করে।ফলে তা নিয়ামত না হয়ে আপদ হয়ে দাঁড়ায়।
“সময় হল তরবারির মত,,,,তুমি তাকে যদি না কাট,,সে তোমাকেই কেটে ফেলবে।। “কেননা সময় সদা গতিশীল।
প্রখ্যাত মনীষী হযরত ইউসুফ ( র) যখন মৃত্যু শয্যায় শায়িত,,তখনো ইলমের আলোচনা য় মগ্ন ছিলেন।যাতে উত্তরসূরি রা জাহান্নাম এর হাত থেকে বাঁচে। তারাই জানতেন,,, সময়ের মূল্য কত।
এ মনীষীগণ সময়ের কদর করেছেন বলেই,,আমাদের কাছে হাদীস,,বিভিন্ন বিষয়ে র জ্ঞান সহজলভ্য হয়েছে।
দাউদ আততায়ী ( র) ছাতু গুলে খেতেন।তিনি নিজেই বলেছেন,”ছাতু গুলে খাওয়া আর রুটি চিবিয়ে খাওয়ার
মধ্যে যে সময়ের ব্যবধান,, তাতে ৫০ কুরআনের আয়াত পড়া যায়।”
ইমাম ইবনুল জাওযী ( র) তার পুত্রকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন,,”হে বৎস! জেনে রাখ,জীবনের দিনগুলো কিছু সময়ে র সমষ্টি।আর এ সময় কতক শ্বাস প্রশ্বাস এর যোগফল।প্রতিটি শ্বাস তোমার জন্য কোষাগার এর মত।
সতর্ক থেকো,যেন শ্বাস পরিমাণ সময় ও যেন কর্মহীন না কাটে,তোমার কোষাগার যেন শূন্য না হয়ে পড়ে,,,বিরান যেন না হয়।নতুবা হাশরের ময়দানে মহান বিচারকের সামনে লজ্জিত অনুতপ্ত হওয়া ছাড়া,আফসোস করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না “।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....