সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্পাকের জন্য এবং তাঁর নির্বাচিত বান্দাগণের প্রতি সালাম । - মানুষ নিরাপত্তা চায় । সব মানুষই শান্তিকামী । শান্তির জন্য মানুষের এই আর্তি যতোই বিশুদ্ধ হোক না কেনো— শান্তি অর্জনের জন্য তার প্রচেষ্টাও থাকতে হবে নিরলস । আবার প্রচেষ্টাও চালাতে হবে নির্ভুল প্রক্রিয়ায় । আর মানুষের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রক্রিয়া পদ্ধতি যেহেতু নির্ভুল নয়— তাই তাকে মুখ ফিরাতে হবে তার প্রতিপালকের দিকে– যিনি ভুলত্রুটি থেকে পবিত্র ।
মানুষের প্রতি যাঁর মেহেরবানির কোনো সীমা পরিসীমা নেই । আল্লাহ্পাকই মানবতার রূপরেখা প্রণয়নের একমাত্র অধিকারী । যুগে যুগে মুক্ত মানবতার বাণী যাঁরা বহন করে এনেছেন পথভ্রান্ত মানুষের জন্য , তাঁরা আল্লাহ্পাক কর্তৃক নির্বাচিত বান্দা- নবী , রসুল । এই মুক্ত মানবতার সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ প্রবক্তা হচ্ছেন শেষ নবী মোহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ্ সল্লাল্লহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ।এখন তাঁর আনুগত্যের আওতাভুক্ত না হয়ে মুক্ত মানবতার স্বপ্ন দেখা চরম নির্বুদ্ধিতা বই আর কিছুই নয় ।
জ্ঞানী ব্যক্তিগণ তাঁর সফল অনুসরণের মধ্যেই সজ্জিত করতে সক্ষম হন তাঁদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনকে ।
মহানবী স . এর শরীয়তই সমস্ত প্রকার সৌভাগ্য অর্জনের চাবিকাঠি 1 শরীয়তের বন্ধনের মাধ্যমেই উন্মোচিত হয় মানবতার সীমাহীন আকাশ । শান্তির কপোত এই আকাশেই নিশ্চিন্তে ডানা মেলে দিতে পারে । যারা শরীয়তের বন্ধনকে মানবমুক্তির প্রতিকূল বলে মনে করে , তারা তো প্রবৃত্তির ( নফসের ) বন্ধনে আবদ্ধ । তারা আপাতদৃষ্টিতে তিক্ত প্রতিষেধকের মতো শরীয়তকে অপছন্দ করে । তাই তাদের ব্যাধি দিন দিন হয়ে ওঠে দূরারোগ্য ।
মানুষকে এই প্রবৃত্তির কারাগার থেকে মুক্ত করবার জন্য যাঁরা উৎসর্গ করেন তাঁদের সমগ্র জীবন তাঁরাই পীর বা মোর্শেদ নামে খ্যাত ।
তাঁরা আখেরী নবী স . এর প্রকৃত প্রতিনিধি । তাঁদের অনুগমন ব্যতীত প্রবৃত্তি আক্রান্ত মানুষের জন্য বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই এখন । শরীয়তের সজ্জায় পূর্ণরূপে সজ্জিত হতে গেলে প্রত্যেককে তিনটি জিনিস অর্জন করতে হবে । প্রথমতঃ জ্ঞান অর্জন করতে হবে আল্লাহ্পাকের আদেশ এবং নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে । দ্বিতীয়তঃ জ্ঞাত বিষয় অনুযায়ী কাজ ( আমল ) করতে হবে । তৃতীয়তঃ অর্জন করতে হবে বিশুদ্ধ নিয়ত ( এখলাস ) ।
এই নিয়তের উৎপত্তিস্থল মানুষের অন্তর ( কলব ) । এই কলব বিশুদ্ধ করবার জ্ঞান অর্জনের জন্যই পীর বা মোর্শেদের শরণাপন্ন হতে হয় । এই নিয়মেই শরীয়তের পূর্ণ পাবন্দ হয়েছেন পূর্ববর্তী জামানার ওলামা , মাশায়েখগণ ।
এর ব্যতিক্রম হলে নিয়তের বিশুদ্ধতা অর্জিত হবে না । তার ফলে রূহানিয়াত বিবর্জিত শরীয়তের বাহ্যিক আকৃতি নিয়েই পড়ে থাকতে হবে সারা জীবন 1 ইসলামের এই প্রাণপ্রবাহ ( রূহানিয়াত ) জারী রাখবার প্রচেষ্টায় যাঁরা প্রাণপাত করেছেন তাঁদের কাফেলার একজন সফল সিপাহসালার ছিলেন হজরত হাকিম আবদুল হাকিম রহ . ।
অতি সম্প্রতি পরপারে পাড়ি দিয়েছেন তিনি । তাঁর জীবন বৃত্তান্ত ধরে রাখা হলো ' তুমিতো মোর্শেদ মহান ’ গ্রন্থে । এবারও আমাদের আহ্বান রইলো সবার প্রতি । উন্মুক্ত দুয়ার । প্রবেশ করুন এ কাফেলার অভ্যন্তরে । আসুন , শরীয়ত প্রতিষ্ঠার মহান উদ্যোগে সম্মিলিতভাবে শরীক হই সবাই । প্রারম্ভে এবং অবশেষে সালাম ।
মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ
হাকিমাবাদ খানকায়ে মোজাদ্দেদিয়া
ভুঁইগড় , নারায়ণগঞ্জ ।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....