লেখক : মাওলানা সামীরুদ্দীন কাসেমী হাফি.
প্রকাশনী : চেতনা প্রকাশন
বিষয় : ঈমান ও আকীদা
অনুবাদক : এনামুল হক মাসউদ
সম্পাদক : শাইখ আব্দুল্লাহ আল মামুন
পৃষ্ঠা : 582, কভার : হার্ড কভার
ভাষা : বাংলা।
সাপ্লায়ার জানিয়েছেন এই পণ্যটি 24 February প্রকাশিত হতে পারে। প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পণ্যটি পেতে আগেই অর্ডার করে রাখুন ।
এক নজরে আকিদার মর্মকথা ......
ঈমান বিহীন একজন মানুষের উদাহরণ হল, রূহ বিহীন শরীরের মত। দুনিয়াতে যেমন রূহ বিহীন শরীরের কোন মূল্য নেই, তদ্রূপ আখেরাতে ঈমান-আকিদার বিশুদ্ধতা ছাড়া ভাল কাজ ও আমলের কোন গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদান নেই।
আকিদা বিশুদ্ধ করার জন্য এই গ্রন্থটি আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ গাইডলাইন হবে ইন শা আল্লাহ।
😍লেখক সম্পর্কে জানতে পড়ুন :- মাওলানা সামীরুদ্বীন কাসেমী এর জীবনী
গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য :
♦ অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় লেখা।
♦ বর্তমান সময়ের প্রয়োজনীয় আকিদা নিয়ে রচিত।
♦ প্রতিটি আকিদার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট আয়াত ও সহিহ হাদিসের সমাবেশ।
♦ সম্ভাব্য সকল মতাদর্শের লোকদের আকিদার আলোচনা।
♦ সম্মানিত খতিবদের জন্য এই গ্রন্থটি থেকে খুব সহজে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আয়াত ও হাদিস সংগ্রহ করে বয়ান করার সুবিধা।
♦ অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী একটি রচনা। যা সকল মতাদর্শের লোকদের জন্যই উপকারী।
♦ প্রতিটি আকিদার ক্ষেত্রে কয়টি আয়াত ও কয়টি হাদিস অধ্যায়ের শুরুতেই তা উল্লেখ করে দেওয়া এবং প্রতিটি আয়াত ও হাদিসের তথ্যসূত্র উল্লেখ করা।
♦ গ্রন্থটিতে প্রয়োজনীয় ছোট-বড় প্রায় ৩৫০টি আকিদা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আর উক্ত আকিদাসমূহ প্রমাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি আকিদার জন্য ৩টি করে আয়াত ও ৩টি করে হাদিস; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও অধিক আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে।
♦ বর্ণিত আকিদাসমূহ প্রমাণের ক্ষেত্রে সর্বমোট ৫৬৩টি আয়াত এবং ৩৭৩টি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বমোট বিষয়বস্তু হলো ৪৬৫টি। আর মৌলিক আকিদা হলো ৪৪টি
গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য :
♦ অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় লেখা।
♦ বর্তমান সময়ের প্রয়োজনীয় আকিদা নিয়ে রচিত।
♦ প্রতিটি আকিদার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট আয়াত ও সহিহ হাদিসের সমাবেশ।
♦ সম্ভাব্য সকল মতাদর্শের লোকদের আকিদার আলোচনা।
♦ সম্মানিত খতিবদের জন্য এই গ্রন্থটি থেকে খুব সহজে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আয়াত ও হাদিস সংগ্রহ করে বয়ান করার সুবিধা।
♦ অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী একটি রচনা। যা সকল মতাদর্শের লোকদের জন্যই উপকারী।
♦ প্রতিটি আকিদার ক্ষেত্রে কয়টি আয়াত ও কয়টি হাদিস অধ্যায়ের শুরুতেই তা উল্লেখ করে দেওয়া এবং প্রতিটি আয়াত ও হাদিসের তথ্যসূত্র উল্লেখ করা।
♦ গ্রন্থটিতে প্রয়োজনীয় ছোট-বড় প্রায় ৩৫০টি আকিদা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আর উক্ত আকিদাসমূহ প্রমাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি আকিদার জন্য ৩টি করে আয়াত ও ৩টি করে হাদিস; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও অধিক আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে।
♦ বর্ণিত আকিদাসমূহ প্রমাণের ক্ষেত্রে সর্বমোট ৫৬৩টি আয়াত এবং ৩৭৩টি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বমোট বিষয়বস্তু হলো ৪৬৫টি। আর মৌলিক আকিদা হলো ৪৪টি
ইসলামের বুনিয়াদ যে পাঁচটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তন্মধ্যে প্রথম ও প্রধান হলো ঈমান-আকিদা। বরং এটা এমন এক স্তম্ভ, যার ওপর নির্ভর করে বাকি চারটি স্তম্ভ তথা নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজসহ শরিয়তের সকল আমলের গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রতিদান পাওয়ার আশা-আকাঙ্ক্ষা। বিশাল দালান দাঁড়ানোর জন্য যেমন ফাউন্ডেশন আবশ্যকীয়, তেমনই নেক আমলের জন্য ঈমান প্রয়োজনীয়। এজন্য বিভিন্ন আয়াতে কারিমায় আল্লাহ তাআলা আমলের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদানের জন্য ঈমানকে পূর্বশর্ত বলেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
ومن أراد الآخرة وسعى لها سعيها وهو مؤمن فأوليك كان سعيهم مشكورا যে ব্যক্তি আখেরাত কামনা করে এবং সেজন্য যথাযথ চেষ্টা করে, (শর্ত হলো) যদি সে মুমিন হয়, তবে এরূপ চেষ্টার পরিপূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হবে। – সুরা বনি ইসরাইল, ১৯
ومن يعمل من الصالحات من ذكر أو أنثى وهو مؤمن فأوليك يدخلون الجنة ولا
يظلمون نقيرا و
পুরুষ-নারীর মধ্যে যে-কেউ নেক আমল করলে যদি ঈমানদার হয়, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হবে না। – সুরা নিসা, ১২৪; সুরা নাহল, ৯৭ এই আয়াতসমূহ দ্বারা আমরা বুঝতে পারি, সমস্ত আমলের রুহ হলো ঈমান। আর ঈমানবিহীন একজন মানুষের উদাহরণ হলো রুহবিহীন শরীরের মতো। দুনিয়ায় যেমন রুহবিহীন শরীরের কোনো মূল্য নেই, তদ্রূপ আখেরাতে ঈমান-আকিদার বিশুদ্ধতা ছাড়া ভালো কাজ ও আমলের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদান নেই। ইরশাদ হয়েছে,
وقدمنا إلى ماعملوا من عمل فجعلنة هباء منثورا
তারা (ঈমানবিহীন ব্যক্তিরা দুনিয়ায়) যা-কিছু আমল করেছে, আমি তার ফয়সালা করতে আসব এবং সেগুলোকে শূন্যে বিক্ষিপ্ত ধুলোবালি (-এর মতো মূল্যহীন) করে দেবো। – সুরা ফুরকান, ২৩
অর্থাৎ তারা যে-সকল কাজকে পুণ্য মনে করত, আখেরাতে তা ধুলোবালির মতো মিথ্যা মনে হবে। আখেরাতে তার বিনিময়ে কিছুই পাবে না। কেননা আখেরাতে কোনো কাজ গৃহীত হওয়ার জন্য ঈমান শর্ত, যা তাদের ছিল না। তাই সেখানে এসব কোনো কাজে আসবে না। আরও ইরশাদ হয়েছে,
والذين كفروا أعمالهم كسراب بقيعة يحسبه الفنان ماء حتى إذا جاءه لم يجده
যারা কাফের, তাদের কর্ম মরুভূমির মরীচিকাসদৃশ, যাকে পিপাসার্ত ব্যক্তি পানি মনে করে। অবশেষে সে যখন কাছে যায়, তখন কিছুই পায় না। – সুরা নুর, ৩৯
মরুভূমিতে যে বালুরাশি চিকচিক করে, দূর থেকে তাকে মনে হয় পানি। আসলে তা পানি নয়, মরীচিকা। সফরকালে মুসাফিরগণ ভ্রমবশত তাকে পানি মনে করে বসে। কিন্তু বাস্তবে তা কিছুই নয়। ঠিক এরকমই কাফের ও ঈমানবিহীন ব্যক্তিরা যে ইবাদত ও সৎকর্ম করে আর ভাবে বেশ নেকি কামাচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তার কিছুই কামাই হয় না, তা মরীচিকার মতোই ফাঁকি। এভাবেই তারা দেখতে পাবে তাদের কর্ম তাদের কোনো উপকারে আসেনি, বরং ক্ষতিরই কারণ হয়েছে।
উল্লেখ্য মানুষ দুধরনের, মুমিন-মুসলিম ও বেইমান-কাফের, এর বাইরে আর কোনো প্রকার নেই। ইরশাদ হয়েছে,
وهو الذي خلقكم فمنكم كان ومنكم مؤمن " والله بما تعملون بصيره তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের এবং কেউ মুমিন। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা দেখেন। সুরা তাগাবুন, ২; সুরা দাহর, ৩
কাজেই মুমিন-মুসলিম ছাড়া সকল কাফের-বেঈমান, নাস্তিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ধর্মহীন ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপরিউক্ত বিধান প্রযোজ্য। যদিও মুসলিম নামধারী হোক না কেন, যেমন কাদিয়ানি সম্প্রদায়।
তাই আমাদের প্রথম ও প্রধান করণীয় হলো, ঈমান আনা ও আকিদা ঠিক করা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
عن ابن عباس: أن النبي بعث معاذا إلى اليمن، فقال: ادعهم إلى شهادة أن لا إله إلا الله، وأن محمدا رسول الله، فإن هم أطاعوا لذلك: فأعلمهم أن الله قد افترض عليهم خمس صلوات... وفي رواية: إنك تقدم على قوم من أهل الكتاب، فليكن أول ما تدعوهم إلى أن يوحدوا الله تعالى.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুআয ইবনে জাবাল রা.-কে ইয়ামান অভিমুখে (শাসকরূপে) প্রেরণকালে বলেন, সেখানকার অধিবাসীদেরকে আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসুল এ কথার সাক্ষ্যদানের দাওয়াত দেবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাদের ওপর প্রতিদিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন।–সহিহ বুখারি, ইফা ন. ১৩১৩ অন্য বর্ণনায় এসেছে,
তুমি (মুআয রা.) আহলে কিতাবদের এক কওমের কাছে চলেছ। অতএব তাদের প্রতি তোমার প্রথম দাওয়াত হবে, তারা যেন আল্লাহর একত্ববাদকে স্বীকার করে নেয়।–সহিহ বুখারি, ইফা ন. ৬৮৬৮
হাদিসে সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে, নামাজ ইত্যাদি আমলের পূর্বে প্রথম ও প্রধান কাজ হলো, ঈমান আনা ও আকিদা ঠিক করা। ইমাম গাজালি রহ. (মৃ. ৫০৫ হি.) ইহইয়াউ উলুমুদ্দিন কিতাবে এবং ইবনে খালদুন রহ. (মৃ. ৮০৮ হি.) তার মুকাদ্দিমায় বাচ্চাদেরকে আকিদা শেখানোর গুরুত্ব নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন। আর আজ থেকে প্রায় ১ হাজার ১০০ বছর আগে ইমাম ইবনে আবি যায়দ কাইরাওয়ানি মালেকি রহ. (মৃত্যু ৩৮৬ হি.) আর রিসালা কিতাবের শুরুতে বাচ্চাদের শেখানোর জন্য আকিদা লিখে গিয়েছেন।
ঈমান সংরক্ষণ প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব এরপর ঈমানের দাবি ও সংরক্ষণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা এবং ঈমান আকিদা বিনষ্টকারী কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। কারণ অনেক বেশি আমলকারীও ঈমানবিহীন হতে পারে।
আলি রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
يخرج قوم من أمتي يقرءون القرآن، ليس قراءتكم إلى قراءتهم بشيء، ولا صلاتكم إلى صلاتهم بشيء، ولا صيامكم إلى صيامهم بشيء... يمرقون من الإسلام كما يمرق السهم من الرمية.
আমার উম্মতের মধ্যে একদল লোকের আবির্ভাব হবে, যাদের কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ ও রোজা তোমাদের চেয়ে ভালো ও বেশি হবে, (কিন্তু) তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তির তার লক্ষ্যস্থল ভেদ করে বের হয়ে যায়। —সহিহ মুসলিম, হা. ১০৬৬
অন্য হাদিসে আরও ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
يصبح الرجل مؤمنا ويمسي كافرا، أو يمسي مؤمنا ويصبح كافرا، يبيع دينه
بعرض من الدنيا.
সকালের মুমিন সন্ধ্যায় ঈমানহারা কিংবা সন্ধ্যার ঈমানদার সকালে ঈমানছাড়া। দুনিয়ার সামান্য স্বার্থে নিজের দ্বীনকে ছেড়ে দেবে।— সহিহ মুসলিম, হা. ১১৮
এজন্য কোন কোন বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করা একজন মুমিনের জন্য ফরজে আইন এর তালিকায় আল্লামা ইবনে আবিদিন শামি রহ. (মৃ. ১২৫৮ হি.) ‘তাবয়িনুল মাহারেম' কিতাবের হাওয়ালায় উল্লেখ করেন,
لا شك في فرضية... وعلم الألفاظ المحرمة أو المكفرة، ولعمري هذا من أهم المهمات في هذا الزمان؛ لأنك تسمع كثيرا من العوام يتكلمون بما يكفر وهم عنها غافلون، والاحتياط أن يجدد الجاهل إيمانه كل يوم ويجدد نكاح امرأته عند شاهدين في كل شهر مرة أو مرتين، إذ الخطأ وإن لم يصدر من الرجل فهو من النساء كثير .
হারাম ও কুফরি শব্দ (তথা কোন কথা বা কাজ করলে ঈমান চলে যাবে) সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। কসম, বর্তমান সময়ে যে সকল বিষয়ের জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য, তন্মধ্যে এটি অন্যতম।
কারণ অনেক মানুষ কুফরি কথা বলে, যা তাকে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়। অথচ এই ভয়াবহতা সম্পর্কে সে সম্পূর্ণ উদাসীন ! সতর্কতা হলো, জাহেল সাধারণ (ও অনভিজ্ঞ আলেম) ব্যক্তি প্রতিদিন তার ঈমানকে নবায়ন করবে এবং প্রতি মাসে এক-দুবার দুজন সাক্ষীর সামনে বিবাহকে নবায়ন করবে। কেননা পুরুষরা যদিও কিছুটা সতর্ক থাকে, কিন্তু মহিলাদের থেকে কুফরি কথা খুব বেশি পরিমাণে বের হয়।—ফাতাওয়া শামি, ১/১৪০, ড. হুসামুদ্দিন ফারফুরের তাহকিককৃত নুসখা
এই ফরজের প্রতি আমরা চরম উদাসীন এবং এটি আমাদের মাঝে মারাত্মক অবহেলিত ফরজে আইন'। এ বিষয়ে আমরা ফিকহ ও ফাতাওয়ার কিতাবসমূহে শুধু 'মুরতাদ' অধ্যায় দেখলে এর গুরুত্ব বুঝে আসবে। আর সাধারণরা শুধু কাজি সানাউল্লাহ পানিপথি রহ.-এর ‘মালাবুদ্দা মিনহু’ (দশম অধ্যায়, কুফরি কালাম অধ্যায়ের আলোচনা, পৃ. ২৪৭-২৭০, মাও. আনোয়ার হুসাইনের অনুবাদ) দেখতে পারি।
মনে রাখতে হবে, ঈমান বিনষ্টকারী বিষয় আর ঈমান একত্র হতে পারে না। যেভাবে অজু-নামাজ ভঙ্গের কারণ পাওয়া যায় আর অজু-নামাজ ঠিক থাকা একসাথে হতে পারে না। কিন্তু আমরা অজু-নামাজেরটা বুঝি, ঈমানেরটা বুঝি না। ফলে অজু-নামাজের বিষয়ে যতটা সচেষ্ট থাকি, ঈমান-আকিদার বিষয়ে ততই অবহেলা করি!
অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমাদের ছেলেমেয়েরা অজু ভঙ্গের কারণ শেখে, অনেকেই নামাজ ভঙ্গের কারণও জানে। কিন্তু (কিছু আকিদার বিষয় জানলেও) ঈমান ভঙ্গের কারণ বা ঈমান বিনষ্টকারী বিষয় শেখে না, কোন কথা বললে, কী কাজ করলে, কেমন বিশ্বাস রাখলে ঈমান চলে যায়, তা জানে না।
এভাবে আমাদের মাহফিল ও সম্মেলনগুলোয় ঈমান-আকিদার বিষয়বস্তুকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না এবং জুমার দিন মিম্বার থেকেও এ সম্পর্কে আওয়াজ উচ্চারিত হয় না বা হতে দেওয়া হয় না। আর রচনা ও প্রবন্ধ-নিবন্ধেও এ জাতীয় আলোচনা তেমন চোখে পড়ে না কিংবা গুরুত্ব পায় না। ফলে যার ভয়াবহ পরিণতি আজ আমরা প্রত্যক্ষ করছি। বর্তমানে এর চিত্র একেবারেই সুস্পষ্ট।
আরো পড়তে অথবা দেখতে :- অনুগ্রহ করে Hardcopy ক্রয় করুন।
We Respect Every Author Hardwork - boipaw.com™
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....