শেষ বিকালের মেয়ে পিডিএফ ডাউনলোড করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে 💕 জহির রায়হান এর বই পিডিএফ।
"শেষ বিকালের মেয়ে" জহির রায়হান এর প্রথম উপন্যাস খুব সম্ভবত। তবে পাঠ্য বইয়ের সুবাদে "হাজার বছর ধরে" এটাই সবার বা অনেকেরই প্রথম জহির রায়হান পড়া। "শেষ বিকালের মেয়ে" জহির রায়হান এর অনবদ্য সৃষ্টি। "শেষ বিকালের মেয়ে" এই নামটা দেখে অনেকেই ভাববে হয়ই এটি নারী কেন্দ্রীক উপন্যাস। তবে না, এটি আগা গোঁড়া পুরুষ মানে কাসেদ কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে মেয়েরা সেখানে সাইড ক্যারেক্টার বা সহযোগী চরিত্র। তবে একজন, দুজন না পাঁচ পাঁচজন নারীকে কেন্দ্র করেই গড়িয়েছে মূল লেখা। তবে "শেষ বিকালের মেয়ে" এই নামটা যে যথার্থ হয়েছে সেটা শেষ পৃষ্ঠা পড়লেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
"শেষ বিকালের মেয়ে " নিয়ে লিখব তবে জহির রায়হানকে লিখব না সেটা সম্ভব না। জহির রায়হান খুব যত্ন করে প্রত্যেকটি চরিত্র সাজিয়েছেন। আধুনিকতা, রুচিশীলতা সব কিছুর পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন -কাসেদ, যে কিনা একজন কেরানী তবে তার চালচলন দেখলে সেটা বুঝতেই পারবে না যে সে কেরানী। এতোটা মার্জিত আর রুচির মাধ্যমে তৈরি করেছে কাসেদকে জহির রায়হান। "শেষ বিকালের মেয়ে " তে নায়িকাদের জহির রায়হান একই সাথে চালিত করেছে যা পড়ার ক্ষেত্রে আকর্ষন তৈরি
করেছিলো। শেষ বিকালের মেয়ে " বাস্তবতায় পরিপূর্ণ এবং একে শুধু প্রেমের উপন্যাস না বলে ব্যর্থ প্রেমের উপন্যাস বললেও ভুল কিছু বলা হবে না।
আমাদের সবার জীবনেই একাধিক মেয়ে থাকে, আমরা একাধিক মেয়ের প্রেমে পড়ি তবে সেইএকাধিকের মধ্যে একজন থাকে বিশেষ। কাসেদের জীবনেও বিশেষ কেউ ছিলো। জাহানারা কাসেদ এর সেই বিশেষ একজন। কাসেদ এর ধ্যান ধারনা সবকিছু ই জাহানারা কেন্দ্রীক। সেই জাহানারা কে কেন্দ্র করে গল্পে আগমন ঘটে শিউলির। শিউলি কাসেদ এর ব্যক্তিত্ব, রুচি, দর্শনের প্রেমে পড়ে যায় তবে জাহানারাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে শিউলিকে পাত্তাই দেওয়া হলো না কাসেদের। কাসেদ আর জাহানারা সম্পর্কটা অস্বীকৃত ছিলো। এরা দুজনেই দুজনকে ভালবাসতো তবে নিয়মিতই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগতেন যার ফলে তৈরি হয় দুজনের মধ্যে ৩য় জন প্রবেশ করার ফাক ফলে যা হওয়ার তাই হলো।এতসব ভাবতে ভাবতে কাসেদ অতীতে গেলেন সেই সালমার কাছে যে তাকে চাইতেন তবে কাসেদ নিজের সেই চিরচেনা দ্বিধা দ্বন্দ্বের বোধ মেটাতে পারলেন না। শিউলিকে সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে বিয়ের কথা বলতে গিয়ে খেলেন বড়সড় ধাক্কা। এর ও আগে কাসেদের কলিগ তার মেয়ের সাথে সেই শ্যাম বর্নের আলোর রশ্মির মতো মেয়েটাকে গলাতে চাইলে কাসেদ জাহানারার জন্য সেই প্রস্তাব ও নাকচ করে দিলেন। বাকি রইল নাহার...
কাসেদের দুনিয়া আরো সহজ করে বললে কাসেদের ঘরের পৃথিবীতে তার অবলম্বন তার মা এবং দূর সম্পর্কের নাহার। সেই মা ও চলে গেলো পরপারে। নাহার নিজের গায়ে হলুদে। ঘরের দুনিয়ায় কাসেদের আর কেউ রইল না আর বাইরের দুনিয়ায় ও সে নিঃসঙ্গ। দরজা বন্ধ করে শেষ বিকালের হাল্কা রোদের আভার দিকে কিছু একটা ভাবতে ছিলেন। তখনই কলিংবেলের শব্দ। কাসেদ দরজা খুলে অবাক দৃষ্টিতে বলতে লাগল, "একি, নাহার তুমি"? নাহার নিঃশব্দে ঘরে প্রবেশ করে বলল,"এতদিন যার কাছে ছিলাম তাকে ছেড়ে থাকতে পারলাম না বলে চলে এসেছি,যদি বলেন ফিরে যাই"।কাসেদ বললো তোমার বিয়ে? নাহার বলল," বিয়ে আমার হয়ে গেছে। যার সাথে হয়েছে তার কাছে এসেছি"। নাহারের শান্ত ঠোঁটে একটানা এতো কথা শুনে কাসেদ অশান্ত হয়ে গেলো।অনূভুতি গুলো তাড়িত করলো তাকে।
আমাদের জীবনে অনেকেই আসে তবে শেষ পর্যন্ত থাকে একজনই। আর সেই একজনই শেষ বিকালের অতিথি আর কাসেদের শেষ বিকালের মেয়ে।
আমার কাছে পড়ে মনে হয়েছে, কাসেদ নাহারকে শুধুমাত্র অন্যকে না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই নাহারকে গ্রহন করেছে। আমি হলে সালমাকেই হ্যা বলে দিতাম। তবে সে একপাক্ষিক ভালোবাসাকেই গ্রহন করলো শেষে। যেটা সে জাহানারা কাছ থেকে পেতে চেয়েছেন সেটা সে নাহারের কাছে থেকে পেলেন।
নিচের লিংক থেকে ০৩ এমবির বইটি ডাউনলোড করে কিংবা অনলাইনে যেকোন সময় জহির রায়হান এর এই জনপ্রিয় প্রেমের উপন্যাস বইটি পড়ে নিতে পারবেন।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....