- প্রিয়তম
- আদিব সালেহ
- অনুজ প্রকাশন
- Quality হার্ডকভার
- Edition 1st Published, 2021
- Number of Pages 112
- Country বাংলাদেশ
- Language বাংলা
(বিঃদ্রঃ :- এই বইটির পিডিএফ এখনো অফিশিয়ালি পাবলিস্ট হয়নি। তাই আমরা এখানে চেষ্টা করেছি বইটি সর্ট পিডিএফটি টেক্সট আকারে পাবলিস্ট করার জন্য যদিও এখানে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবুও যদি আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে ইনশাআল্লাহ।)
আধুনিকতার যুগে পা বাড়িয়েছি , কিন্তু ডুবে আছি জাহেলিয়াতে । ভুলে গেছি একটা পরিবার সুখময় হয় সকলের সম্মেলিত প্রয়াসে । একপক্ষ নিজেকে ভাবছি নিরাপরাধ । ওদিকে বসে নেই অপরপক্ষ , দিয়ে যাচ্ছি নানা অপবাদ । এর নাম তো পরিবার না । পরিবার তো একটা সুখের ঠিকানা । যেমন পাখিরা সারাদিন দুনিয়া চড়ে ফিরে এসে আপন নীড়ে । ঠিক তেমনি ফিরে আসবে সকলের প্রিয়তম একটুকরো সুখের খুঁজে , শত ব্যস্ততা শেষে প্রিয়তমার বুকে ।
প্রিয়তমা মিশিয়ে নিবে তার প্রিয়তমকে হৃদয়ের প্রতিটি পরতে পরতে । তবেই তো পাওয়া যাবে স্বর্গীয় সুখ । প্রিয়তমার জন্য উদার হবে প্রিয়তমর বুক । কিন্তু আমরা সেই সুখ খুঁজি না । হালাল প্ৰেম বুঝি না । মজে যাই পরকীয়ায় । ডুবে যাই বিলাসিতায় । অথচ সুখী হতে রাজ প্রাসাদ লাগে না , সুখী হওয়ার জন্য রাস্তার কিনারার পরিত্যক্ত ফুটপাতও যথেষ্ট । তার জন্য প্রয়োজন একটু সদিচ্ছার , একটা সুন্দর মন মানসিকতার । সেই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগুক " প্রিয়তম " পাঠে । পরিবর্তনের জোয়ার আসুক মুসলিম মানসে ।
শুর করছি আল্লাহর নামে । সমস্ত প্রশংসা সেই মহান রবের । যাঁর দয়ায় আমাদের জীবন চালনা । সকল দরদ বর্ষিত হোক মানবতার মুক্তির দূত নবি মুহাম্মদ [ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ] এর ওপর । যার ওসিলায় আমাদের জীবনের শুভ সূচনা । আমরা আধুনিক হয়েছি । আজ আমাদের সকল কিছুতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া , কিন্তু আমাদের কর্মে মিশে আছে আদিম জাহিলিয়াত । আমাদের অবস্থা অবলোকনে লজ্জিত হতো আদিম বর্বর জাতিরাও । আমরা বর্বরতার সকল কাজ করছি আধুনিকতার আবরণে।
মানবতাবাদের শ্লোগানে । আমাদের ভাষা মিষ্ট , কিন্তু কর্ম নিকৃষ্ট , জঘন্য । স্বাধীনতা নামে নারীদের নামিয়েছি রাজপথে । সমাধিকারের নামে পুরষ শাসিত সমাজকে দিয়েছি নারীদের অবাধে ভোগের অধিকার । , পবিত্র কাজগুলো করেছি নিষিদ্ধ । অশ্লীলতা , বেহায়াপনাকে করেছি উন্মুক্ত । নিজেদের বানিয়েছি প্রগতিশীল নামে ইহুদি - খ্রিষ্টানদের দালাল । আল্লাহ বলেছেন , “ তোমরা পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয় । আর আমরা স্-োগান বানিয়েছি , ‘ ভোগ করে ছেড়ে দাও ' । আজ আমাদের হালালে আরাম মিলে না । বৈধ বন্ধনে তৃপ্ত হতে পারি না । নিজের প্রিয়তমাকে ভালোবাসতে জানি না।
অপর নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি দিতে ভুলি না । আমরা স্বামীদের ভালো রাখতে শিখিনি । কখনও তার জন্য একটু সাজার প্রয়োজনবোধ মনে করিনি। আমার সময় কাটে সিরিয়াল দেখে। ওদিকে স্বামী লিপ্ত পরকীয়াতে। বউকে পিটাতে জানি , বাঁচাতে জানি না। বউয়ের সাথে রাগারাগি বুঝি। রাগের আড়ালে লোকানো অভিমানগুলো দেখি না। একবার অভিমান জমলো আম্মাজান আয়েশার মনে। বিচার করার জন্য আবু বকরকে আনলেন।
পিতা ওঠে দাঁড়ালো মেয়েকে মারতে । ওনি জলদি লুকালেন রাসুলুল্লাহর পিছনে । রাসুলুল্লাহ আবু বকরকে থামিয়ে দিলেন । আবু বকর চলে গেলেন । রাসুলুল্লাহ বললেন , “ দেখলে তোমায় , কীভাবে বাঁচিয়ে নিলাম ! ” আয়েশা তখনও চুপ । কথা বলছেন না । রাসুলুল্লাহ মুচকি হাসলেন আর বললেন , ' বাবার মাইরের ভয়ে আমার পিছনে লুকালে , আমার পিঠের সাথে ঘেঁষে বসে রইলে , আর এখন আমার সাথেই কথা বলছ না ? ’ সিরাতে আয়েশা -১২১
কতটা ভালোবাসতেন দুজন দুজনকে । একবার হযরত আয়েশা রাসুলকে বলেন , ' আমি যেন আখেরাতেও আপনার স্ত্রী হই ' , রাসুল বলেন , দুনিয়ায় মুসাফিরের মতো বাস করো। তিরমিজি হযরত আয়েশা কথাটাকে এতটাই মানলেন , একবার হযরত মুয়াবিয়া উট ভর্তি দিনার আর দিরহাম পাঠালেন । আম্মাজান আদেশ দিলেন সব মসজিদে নববীর সামনে রাখতে । সাথে মদিনার লোকদের খবর দিতে । তাই করা হলো , অসহায় লোকদের দান করে দেওয়া হলো । সব শেষ । ওনার দাসী হাজির হলেন । কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলেন । দুটো দিনার রাখলে তো গোশত কিনে ইফতারে পাকাতে পারতাম ।
আম্মাজান বলেন আগে বলোনি কেন ? , দেখুন কতটা দুনিয়া বিমুখী ছিলেন । ইফতারে খাওয়ার কিছু নেই অথচ দান করে দিলেন সবটাই । স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনকে বুঝুন । প্রচুর সময় দিন । একে অপরকে ভালোবাসুন । সময় দিন । মেনে নিন । মানিয়ে নিন । দেখবেন সংসারে স্বর্গীয় সুখ আসবে । হতাশা বিবাদ সব দূর হয়ে যাবে । ঘরের সব লোক ভালো , স্বামী ভালো না । মেয়েটা কিন্তু সুখী না । আবার আশপাশের কেউ তার সাথে ভালো ব্যবহার করে না , কিন্তু স্বামী তাকে আগলে রাখে তার থেকে সুখী আর কেউ না ।
ভালোবাসার পসরা সাজিয়ে বসুন একে অপরের জন্য । ভালোবাসার খুনসুটি না থাকলে । অভিমানগুলোর মূল্য না দিলে , কখনও সংসারে সুখ আসবে না । দুজনে আল্লাহর ইবাদতের পথ সহজ কর “ ন । কারণ আপনার জীবন সঙ্গী তো আপনার দীনের অর্ধেক । তাকে ছাড়া আপনার দীন পূর্ণতা পাবে কী করে ? মাঝে মাঝে বেড়াতে যান । স্রষ্টার স্মরণ আর সৃষ্টির দর্শনে হৃদয়ে সুখ আসে । মনাকাশে সফলতার সূর্য উঠে । হতাশা দূরীভূত হয় ।
জীবনে হেদায়েতের ছোঁয়া লাগে । সবাই ভালোবাসতে চায় । চাশ ভালোবাসা পেতে , কিন্তু ভালোবাসার ক্ষেত্রে তৈরি করি না । একজন আরেকজনকে বুঝি না । ছুড়ে দিই সন্দেহের তীর । ভারসার হাত যেমন ছোট হয়েছে । বিশ্ব হাত আশ্বস্ড করতে ভুলে গেছে । সমাজ আজও পিছিয়ে আছে সেই আগের ধারায় । শাশুড়ি যেমন ছেলের বউকে মেয়ে হিসেবে মানতে পারে না । ছেলের বউও পারে না তাকে মায়ের চোখে দেখতে । একপক্ষ চেষ্টায় থাকে স্বামীকে সবার কাছ থেকে পৃথক করতে । আরেক পক্ষ ভয়ে থাকে ছেলে বুঝি এবার হারাবে ।
এভাবে জীবন চলে না । বিনিময়ে সংসারগুলো টিকে না । আমরা শিক্ষিত হয়েছি , কিন্তু আমাদের মনুষ্যত্বের উত্তরণ ঘটেনি । আমরা আজও স্ত্রীকে আঘাত করি । স্বামীর আমানতের খেয়ানত করি । যার ফলে বাড়ছে বিচ্ছেদ । পরকীয়া হচ্ছে বলি আমাদের সুন্দর সাজানো গোছানো পরিবেশ । । এগিয়ে পরিবর্তনটা এখনই দরকার । এগিয়ে আসতে হবে দুজনকে । বুঝতে হবে । সময় দিতে হবে । একে অপরকে আগলে নিতে হবে । অনুসরণ করতে হবে রাসুলুল্লাহর সুন্নাহ । তবে মুক্তি মিলবে । শাড়ি আসবে । সুখ ধরা দিবে ।
সংসার জীবনটা সুখময় হবে । সমাজের সমস্যাগুলো সামনে এনে । আমাদের ভুলগুলো ধরে দিয়ে । উত্তরণের পথ বাতলে দিয়ে সকালের জন্য নসীহা হিসেবে তুলে ধরেছি ‘ প্রিয়তম ’ শিরোনামে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস । একটা পরিবার যদি তা পাঠে সুখের ছোঁয়া পায় । স্বর্গীয় সুখ খুঁজে পায় , তবেই এই প্রচেষ্টা খুঁজে পাবে সার্থকতা । মন থেকে দুআ করি সবার জন্য , উত্তম জীবন সঙ্গী মলে যাক । প্রতিটি প্রিয়তমা তার প্রিয়তমর মাঝে স্বর্গীয় সুখের ছোঁয়া পাক । প্রত্যেকের দাম্পত্য জীবনের সুখ জান্নাত অবধি পৌঁছে যাক ।
হালালের মাঝে সব সুখ মিলে যাক । পরকীয়া নামক জঘন্য বস্তু থেকে মুক্তি পাক । সকলের জীবনে হৃদয়ের গহীন থেকে চাওয়া জীবন সঙ্গী মিলে যাক । সকলের দীন পূর্ণতা পাক । । সেই আশা আর প্রত্যাশা নিয়ে সবার কাছে বিনীত আরজ ।
স্বপ্নের নীড়__________________
মোবাইলে টুং করে একটা শব্দ হয় । সেদিকে তার খেয়াল নেই । কারণ সেটা মেসেজ আসার রিংটোন । এটা নিয়ে ভাবারও কোনো প্রয়োজন নেই । মোবাইলে কখনও গুরত্বপূর্ণ কোনো মেসেজ আসেনি সিম কোম্পানির আজেবাজে বকবকানি ছাড়া । তাই নিজ কাজ সে মন দিয়ে করছে । করছে এদিক ওদিক ছুটাছুটি । বিয়ে বাড়ি তো আর এমনি এমনি বলে না । জীবনে বিয়ে একবারই হয় । যদিও বাইরের দেশে বিয়ে কয়েকবার হয়ে থাকে । বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিয়ে মানে হাতে ধরে কতকগুলো বিপদ ঘাড়ে তোলা । তাই বিয়ে একটা করেই ক্ষ্যান্ড হতে চায় অনেকের মতো সেও ।
সময় অনেক গড়িয়েছে । এর মধ্যে ভেতর বাড়িতে যাওয়ার ফুরসত মিলেনি বর মশাইয়ের । কতশত মেহমান । মানুষগুলো তার সৌজন্যেই ওর বাড়িতে আসছে । তাকে তো আর নতুন বউ নিয়ে র — মে ঘাপটি মেরে বসে থাকলে চলে না । যদিও তার খুব ইচ্ছে করছে বউ নিয়ে সবার আড়ালে চলে যেতে । নির্জনতায় সবটুকু ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে । কিন্তু এসব এখন ভাবা বন্ধ । সে নিজেই নিজেকে ধমক দেয় , “ ব্যাটা ! তুমি যে আস্ড একটা বউ পাগল আজই সবার সামনে প্রমাণ করে দিবে নাকি ? ” ওহহো ! নামটাই তো বলা হলো না । যাকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে তার নামটা না বললে তো সুন্দর দেখায় না , তাই না ?
এত সময় যাকে নিয়ে লেখছি তার নাম আদিব । আজই বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে । আগেও কয়েকবার বিয়ে করতে চেয়েছিলেন । কখনও তার ইচ্ছার জয় ঘটেনি । কখনও বা তার পরিবার বিয়ের প্রয়োজনটা বুঝেনি । অথচ সে বারবার চাই তো তার পরিবার সেটা বুঝুক , কিন্তু বুঝেনি । সে যেখানে দ্রুত বিয়ের পক্ষে , আজ তার বিয়েটাই হলো অনেক অপেক্ষার প্রহর শেষে । তবে সে মুটামুটি একটা সিদ্ধান্ড নিয়ে রেখেছে । সে যেই কষ্টগুলো ভোগ করেছে , তা কখনও তার সন্তানদের ছুঁতে দিবে না । কারণ সে তো জানে এমন কষ্টগুলো কতটা বেদনার ।
আদিব মোবাইলটা কৌতূহল নিয়েই হাতে নিলো । দুটো মেসেজ । একটা ঠিক এখন থেকে এক ঘণ্টা আগে এসেছে । বিকাশ করে টাকা পাঠিয়েছে কেউ । পরের মেসেজটা অচেনা নাম্বার থেকে । “ বাবা ! যাওয়ার পথে মেয়েটার হাতে টাকা দিতে একদমই খেয়াল ছিল না । বিয়ে বাড়িতে কতরকমের ঝামেলা থাকে সেটা তো তোমার অজানা নয় । টাকাটা কষ্ট করে মেয়েটার হাতে দিয়ে দিও । না হয় মেয়েরা ওকে টাকার জন্য বসিয়ে রাখবে । কী এক হাত ধুয়ানোর অদ্ভুত নিয়ম প্রচলন আছে না !
সে সময়ে । ” মেসেজটা পড়ে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে আদিবের চোখ থেকে । এতক্ষণে তো বড্ড দেরি হয়ে গেছে । না জানি পাগলিটা ঘুমটার আড়ালে কতটা কেঁদে যাচ্ছে । সে কান্না প্রিয়জন ছেড়ে আসার জন্য না । আত্মসম্মান রক্ষার ভয়ে । আদিবের একটা ঘটনা ভীষণ মনে পড়ে । তার বাড়ির একটা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে শ্বশুর বাড়ি পাঠানো হয় , কিন্তু তার হাতে টাকা গুঁজে দিতে ভুলে যায় মেয়েটির বাবা ।
সে পরে এসে বলেছিল মেয়েটাকে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখে টাকার জন্য । কী অদ্ভুত তাই না ? ওখানে কিন্তু কেউ ছেলে ছিল না । সবাই মেয়ে , কিন্তু দুঃখটা কেউ বুঝল না । একটা মেয়ে যখন কাঁদছে প্রিয়জন ছেড়ে আসার বেদনায় সেখানে আমরা তাকে জ্বালাচ্ছি সামান্য কিছু টাকার জন্য । , আদিব খুব চিন্ড্রিত ভঙ্গিতে হদন্ড হয়ে ভেতর ঘরে প্রবেশ করে । না জানি তার পাগলি বউটা এতক্ষণে আত্মা সম্মান রক্ষায় কেঁদে কেঁদে শেষ হয়ে যাচ্ছে । নাহ ! ভেতরে তেমন কোনো আয়োজন দেখা গেল না । আদিব আগে থেকেই বলে দিয়েছে কোনো রকমের বাড়াবাড়ি যেন না হয় ।
যেমন : নতুন বউ ঘরে প্রবেশের সময় কলস ভর্তি পানি পা দিয়ে পেছন দিকে ঠেলে ফেলা । কী অদ্ভুত ব্যাপার ! নতুন বউ আসছে ভালো কথা তাকে কলস ভর্তি পানি লাখি মেরে ফেলতে হবে কেন ? তাও আবার সামনে থেকে না পেছন থেকে । কই হাদিসের কিতাব ঘেটেঘুটেও তো এমন বরকতের হাদিস কোথাও পাওয়া গেল না । তাহলে এসব করার কী অর্থ । আদিব ওর বোনকে ডাকে । জানতে চায় মেয়েরা হাত ধুয়ার জন্য কোনো কিছু করছে কিনা ।
কী ভয়ঙ্কর বিষয় ! সে তার বাড়িতে এক বিয়েতে দেখেছিল হাত ভর্তি চিনি মাখিয়ে টাকার জন্য কিছু মেয়ে ভিখারীর মতো বসে থাকে । কেমন এক বিদঘুটে অবস্থা । মেয়েটা চিনি মাখানো হাত নিয়ে বসে থাকে , কিন্তু তার হাত ধুয়ার ক্ষমতা নেই । বলার শক্তি নেই আমার এসব ভালো লাগছে না , আমাকে একটু একা থাকতে দিন । অথচ এসব মেয়েগুলোও বউ হবে , বউ হয়েছে । কিন্তু কষ্ট একটাই , মেয়েটার দুঃখ বুঝে না । আদিব যখন বরযাত্রী নিয়ে রওনা হবে তখনি ঘটে এক ঘটনা । ওর দাদি দৌড়ে এসে তার আম্মুকে বলে , “ বউমা ! আমার দাদু ভাইকে দুধমাখা ভাত খাইয়ে দাও ।
আর দাদু ভাই তুমি কিন্তু এসব খাবে না , ফেলে দিবে । তবে এক জায়গায় না , ছড়িয়ে ছিটিয়ে । ” আদিব চোখ বড় বড় করে হা করে তাকিয়ে আছে । সে মানুষকে ধর্মের পথে ডাকে , আর তার বিয়েতে হবে অধর্মের কাজ ? , আম্মুকে বলে , ‘ যদি রসম হিসেবে দেন খাব না । আর মুখ থেকে ফেলে দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না । ' কেউ একজন বলল , ‘ অমঙ্গল হবে । ' সে বলল , আল্লাহর পক্ষ থেকে হলে মাথা পেতে নিব । আর শয়তানের পক্ষ থেকে হলে , আল্লাহ রক্ষা করবেন । কতশত কুসংস্কার ছড়িয়ে - ছিটিয়ে আছে বিয়েগুলোতে
তার মধ্যে বউকে হাত ধুয়ানোর জন্য টাকা চাওয়াও একটা রসম । বোন এসেই বলল , ' জলদি বলো কি প্রয়োজন ভাবি বসে আছে আমার জন্য । ' ‘ আচ্ছা বাড়ির মেয়েরা কি ওর কাছে টাকা চাইছে ? ’ ‘ তোমার ভয়ে ওরা টাকা চাইবে । সেটা কখনো সম্ভব না । ' , ' আচ্ছা এ নেয় কিছু টাকা , তোর ভাবির হাতে দিয়ে বলবি বাড়ির সব মেয়েদের ডেকে যেন দিয়ে দেয় । আর টাকাটা ওর বাবাই পাঠিয়েছে । ' ' আচ্ছা ভাইয়া তোমার চিন্তা করতে হবে না । আমি ভাবিকে দিয়ে ওদের সবাইকে টাকা দিয়ে দিয়েছি । ' , ' কিন্তু কীভাবে ? ওর কাছে তো টাকা থাকার কথা না , আসার পথে কেউ তো ওকে টাকা দিয়ে দেয়নি ! ' ‘ আমিই দিয়েছি । ' ‘ আচ্ছা যা । আমি বাকি কাজ দেখি ঠিক হচ্ছে কিনা ? ’
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....