খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দিতে চীনা সমাজে প্রথম কাগজ তৈরি শুরু হয়। তারা গাছ, ঘাস, গুল্ম ও তুলার আঁশ দিয়ে একধরনের মন্ড তৈরি করে তা দিয়ে কাগজ তৈরি করত। আঞ্চলিক চীনা ভাষায় এর নাম ছিলো গু জি বা গু ঝি। রাজা বাদশাদের রাষ্ট্রীয় কাজে গু জি ব্যবহৃত হতো।
💕Tahmina Kewser Riva - Review Credit
চীনের উত্তর পশ্চিমাংশে তাং রাজবংশের সাথে মুসলিমদের ঐতিহাসিক তালাস যুদ্ধে চীনারা পরাজয় বরণ করে। চীনা যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে একজন কাগজ তৈরিতে দক্ষ ছিলো। বন্দী চীনা সৈনিকের কাছ থেকে মুসলিমরা এই গু জি তৈরির কৌশলটা শিখে নেয়।
অষ্টম শতাব্দির শেষ দশকে সমরখন্দে মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম গু জি তৈরির কল প্রতিষ্ঠিত হয়। মুমলিমদের হাতে এই দক্ষতা ও কৌশল হস্তগত হওয়াটা ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা।
আরবরা চীনাদের গু জি কে বলত 'কা আল গু জি' যার অর্থ 'গু জি-র মতো'। এই 'কা আল গু জি জি'ই পরিবর্তিত হয় 'কাল গুজি'তে।
অষ্টম শতাব্দির প্রথম থেকেই মুসলিম সাম্রাজ্যে আরবরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে আব্বাসীয় সাম্রাজ্যে ফার্সীভাষী ইরানিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায়। ফার্সী ভাষায় আরবি 'আল' নেই। পারসিক ইরানিরা 'কালগুজি' শব্দ থেকে আরবি 'আল' শব্দটি বাদ দেয়।
'কালগুজি' থেকে পারসিকরা 'আল' শব্দটি বাদ দেয়ায় পণ্যটি 'কাগুজি' হিসেবে অভিহিত হতে থাকে। আর সেই কাগুজি থেকেই কাগজ হিসেবে নামকরণ। এভাবেই 'কাগজ' শব্দটি ফার্সী ও বাংলাসহ উপমহাদেশীয় ভাষার অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে।
.
#কি দারুণ তথ্য না? Zia Ul Haque স্যারের বই পড়ার অন্যতম একটা লাভ হচ্ছে এমন দারুণ দারুণ তথ্যভান্ডারের খোঁজ পাওয়া।
বই- মুসলিম: এ নেশন অব দ্যা বুক আলোর ফেরিওয়ালা
লেখক- জিয়াউল হক
প্রকাশক- ঋদ্ধ প্রকাশন
মূল্য- ১৫০ টাকা
পৃষ্ঠা_সংখ্যা- ৯৬
"কুরআন প্রাপ্তির মাত্র দুই শতাব্দীর মধ্যেই মুসলিমরা সমগ্রবিশ্বে জ্ঞান অর্জন করেছিল। মদীনা, দামেশক বাগদাদ, আন্দালুসিয়া, কায়রো, জেরুজালেম, সমরখন্দ, সিসিলি, প্রভৃতি স্থানকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী ইসলামের আদর্শিক চেতনা ছড়িয়ে যায়।
একই সাথে দর্শন ও আধুনিক বিজ্ঞানের উন্মেষ ও বিকাশ সাধনের মাধ্যমে মানবসভ্যতার বৈশ্বিক সমৃদ্ধির দিগন্ত উম্মোচন করে মুসলিমরা। পাশাপাশি তারা গ্রিক, পারস্য ও চৈনিক সভ্যতার জ্ঞান, প্রযুক্তিকেও আত্মস্থ করে। মূর্খ ও বর্বর তাতাররাও মুসলিম সংস্পর্শে এসে শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে আসে।
এই আলোকিত যুগে পশ্চিমারা ছিল চরমভাবে পশ্চাৎপদ। অথচ তাদের নিজেদের দূর্বল অতীতকে ঘিরে তারা মধ্যযুগকে নিয়ে ঐতিহাসিক মিথ্যাচারে লিপ্ত।
আজ ইতিহাসের এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে মুসলিম উম্মাহ। মিথ্যার ব্যাপক প্রচারণায় সত্য আড়াল প্রায়। তরুণ প্রজন্মের একাংশ বিভ্রান্তি ও হীনমন্যতার শিকার। ক্রান্তি উত্তরণে কলম সৈনিক 'জিয়াউল হক' নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস থেকে তাদের সমৃদ্ধ আত্মপরিচয়ের সন্ধান দিতে চেয়েছেন এ বইতে....
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....