লেখক : শাইখ আহমাদ ফরীদ
প্রকাশনী : আযান প্রকাশনী
বিষয় : আদব, আখলাক
পৃষ্ঠা : 120,
কভার : পেপার ব্যাক
ভাষান্তর ও সম্পাদনাঃঃ রাজিব হাসান
শারঈ সম্পাদনাঃঃ শাইখ আব্দুল্লাহ মাহমুদ
উত্তম আখলাক একজন মুসলিমের শক্ত হাতিয়ার। পরকালের উত্তম পাথেয়। এজন্য ঈমান ও আমলের সাথে আখলাক শিক্ষা করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহ.) বলতেন, আদব ও শিষ্টাচার দ্বীনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। আদব ও শিষ্টাচার শিক্ষা করাটা এজন্য খুবই জরুরী। আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারাক ত্রিশ বছর ধরে আদব শিখেছেন আর জ্ঞান চর্চায় সময় দিয়েছেন বিশ বছর। অর্থাৎ ইলম অর্জনের সাথে সাথে আদব – আখলাক শিক্ষা করার গুরুত্ত্ব অনেক বেশী।
বিজ্ঞজনেরা বলেন, আক্বিদা শিক্ষার আগে আখলাক শেখা জরূরী। এ কারণেই সম্ভবত ঈমাম শাফেয়ীদের মা’রা সন্তানদেরকে দ্বীনি ইলম অর্জনের আগে আদব শিক্ষা দিয়েছিলেন। আদব ও আখলাকে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া এক সোনালী প্রজন্ম গড়ে তুলেছেন। সেই প্রজন্মের সলেহীন বান্দাদের আদব ও আখলাক নিয়ে মিশরের আলেমে দ্বীন শাইখ ফরীদ আহমাদ একটি কিতাবটি রচনা করেছেন। কিতাবটির নাম দিয়েছেন “মিন আখলাকুস সালাফ।” বাংলা ভাষায় যার নামকরণ করা হয়েছে, “সালাফদের আখলাক।”
এই বইটি পড়লে সালাফদের সোনালী অতীতের সাথে পাঠকবৃন্দ পরিচিত হতে পারবেন। উত্তম আখলাক গঠনে উত্তম নাসীহা হিসেবে এই বইটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করি। সালাফগণ আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে কেমন ছিলেন? আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে কেমন ছিলেন? মুমিনদের সাথে কেমন আচরণ করতেন? গুনাহগারদের ব্যাপারে উনাদের অবস্থান কেমন ছিলো? দুনিয়া ও আখিরাতকে উনারা কীভাবে পরিমাপ করতেন – ইত্যাদি জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো লেখক তুলে এনেছেন কলম ও কাগজের মোহনীয় বর্ণনা ভঙ্গিতে।
আশা করি এই ক্রান্তি লগ্নে উম্মাহ এই বইটি থেকে উপকৃত হতে পারবে৷ উত্তম আখলাকের গুরুত্ব সম্পর্কে সোনালী যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবে।
ভাষান্তর ও সম্পাদনাঃঃ রাজিব হাসান
শারঈ সম্পাদনাঃঃ শাইখ আব্দুল্লাহ মাহমুদ
উত্তম আখলাক একজন মুসলিমের শক্ত হাতিয়ার। পরকালের উত্তম পাথেয়। এজন্য ঈমান ও আমলের সাথে আখলাক শিক্ষা করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহ.) বলতেন, আদব ও শিষ্টাচার দ্বীনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। আদব ও শিষ্টাচার শিক্ষা করাটা এজন্য খুবই জরুরী। আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারাক ত্রিশ বছর ধরে আদব শিখেছেন আর জ্ঞান চর্চায় সময় দিয়েছেন বিশ বছর। অর্থাৎ ইলম অর্জনের সাথে সাথে আদব – আখলাক শিক্ষা করার গুরুত্ত্ব অনেক বেশী।
বিজ্ঞজনেরা বলেন, আক্বিদা শিক্ষার আগে আখলাক শেখা জরূরী। এ কারণেই সম্ভবত ঈমাম শাফেয়ীদের মা’রা সন্তানদেরকে দ্বীনি ইলম অর্জনের আগে আদব শিক্ষা দিয়েছিলেন। আদব ও আখলাকে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া এক সোনালী প্রজন্ম গড়ে তুলেছেন। সেই প্রজন্মের সলেহীন বান্দাদের আদব ও আখলাক নিয়ে মিশরের আলেমে দ্বীন শাইখ ফরীদ আহমাদ একটি কিতাবটি রচনা করেছেন। কিতাবটির নাম দিয়েছেন “মিন আখলাকুস সালাফ।” বাংলা ভাষায় যার নামকরণ করা হয়েছে, “সালাফদের আখলাক।”
এই বইটি পড়লে সালাফদের সোনালী অতীতের সাথে পাঠকবৃন্দ পরিচিত হতে পারবেন। উত্তম আখলাক গঠনে উত্তম নাসীহা হিসেবে এই বইটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করি। সালাফগণ আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে কেমন ছিলেন? আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে কেমন ছিলেন? মুমিনদের সাথে কেমন আচরণ করতেন? গুনাহগারদের ব্যাপারে উনাদের অবস্থান কেমন ছিলো? দুনিয়া ও আখিরাতকে উনারা কীভাবে পরিমাপ করতেন – ইত্যাদি জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো লেখক তুলে এনেছেন কলম ও কাগজের মোহনীয় বর্ণনা ভঙ্গিতে।
আশা করি এই ক্রান্তি লগ্নে উম্মাহ এই বইটি থেকে উপকৃত হতে পারবে৷ উত্তম আখলাকের গুরুত্ব সম্পর্কে সোনালী যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবে।
শাইখ আহমাদ ফরীদ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
শাইখ আহমদ ফরীদ (Sheikh Ahmad Farid) ১৯৫২ সালে মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এক সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠেন। শিশুকালে মাকে হারিয়ে তিনি বাবার কাছে বড় হতে থাকেন। মানসূরাতে মেডিসিন অনুষদে এক বছর পড়াশুনা করেন। অতঃপর আলেকজেন্দ্রিয়া ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি মেডিসিনের ওপরে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
পড়াশুনা চলাকালে তিনি আল-ইখওয়ানুল মুসলিমিন গ্রুপের দলীয় নেতা ইবরাহীম জাফরানীর হাত ধরে আলেকজেন্দ্রিয়া ইউনিভার্সিটিতে ‘আল জামাআল ইসলামিয়া' নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান।
ভার্সিটির জীবন শেষে শাইখ আহমাদ ফরীদ আবশ্যিক মিলিটারি সার্ভিসে যোগ দেন। সেখানে গিয়ে তিনি অবাক হয়ে যান। দাঁড়ি না কাটা ও লেবাস পরিবর্তন না করার কারণে তাকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়। এমনকি মিলিটারি সার্ভিস থেকে চাকরীচ্যুত করার আগে বেশ কয়েকবার তাকে জেলও খাটতে হয়। কারাজীবন শেষে তিনি বের হয়ে এসে দেখেন আল জামাআল ইসলামিয়া দুই দলে বিভক্ত। এক দল আল-ইখওয়ানুল মুসলিমিন। আরেকদল সালাফী। তিনি আকীদা, মানহাজ ও প্রত্যয় দেখে সালাফীদের দলে যোগ দেন। শাইখ আহমাদ ফরীদ বেশকিছু বই লিখেছেন। ইজিপ্ট (মিশর) ও ইজিপ্টের (মিশরের) বাইরে অনেক লেকচার ও খুতবা দিয়েছেন।
আখলাক। মানুষের অমূল্য সম্পদ। একজন মানুষের আখলাক দেখে তার সম্বন্ধে ভালো-মন্দ নির্ধারণ করা যায়। যার আখলাক যতো সুন্দর, সে মানুষ হিসেবে ততো উত্তম। এজন্যই হয়তো বলা হয়ে থাকে, 'ব্যবহারে বংশের পরিচয়।'
উত্তম আখলাক একজন মুসলিমের শক্ত হাতিয়ার। পরকালের উত্তম পাথেয়। এজন্য ঈমান ও আমলের সাথে আখলাক শিক্ষা করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারাক (রহ.) বলতেন, আদব ও শিষ্টাচার দ্বীনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। আদব ও শিষ্টাচার শিক্ষা করাটা এজন্য খুবই জরুরী। আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারাক ত্রিশ বছর ধরে আদব শিখেছেন আর জ্ঞান চর্চায় সময় দিয়েছেন বিশ বছর। অর্থাৎ ইলম অর্জনের সাথে সাথে আদব-আখলাক শিক্ষা করার গুরুত্ব অনেক বেশী।
বিজ্ঞজনেরা বলেন, আক্বিদা শিক্ষার আগে আখলাক শেখা জরুরী। এ কারণেই সম্ভবত ঈমাম শাফেয়ীদের মা'রা সন্তানদেরকে দ্বীনি ইলম অর্জনের আগে আদব শিক্ষা দিয়েছিলেন। আদব ও আখলাকে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া এক সোনালী প্রজন্ম গড়ে তুলেছেন। সেই প্রজন্মের সলেহীন বান্দাদের আদব ও আখলাক নিয়ে মিশরের আলেমে দ্বীন শাইখ ফরীদ আহমাদ একটি কিতাবটি রচনা করেছেন। কিতাবটির নাম দিয়েছেন "মিন আখলাকুস সালাফ।"
বাংলা ভাষায় যার নামকরণ করা হয়েছে, "সালাফদের আখলাক।" বইটির ভাষান্তর ও সম্পাদনা করেছেন রাজিব হাসান। শারঈ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন শাইখ আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ।
সালাফদের আখলাক..........
এই বইটি পড়লে সালাফদের সোনালী অতীতের সাথে পাঠকবৃন্দ পরিচিত হতে পারবেন। উত্তম আখলাক গঠনে উত্তম নাসীহা হিসেবে এই বইটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করি। সালাফগণ আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে কেমন ছিলেন? আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে কেমন ছিলেন? মুমিনদের সাথে কেমন আচরণ করতেন? গুনাহগারদের ব্যাপারে উনাদের অবস্থান কেমন ছিলো? দুনিয়া ও আখিরাতকে উনারা কীভাবে পরিমাপ করতেন – ইত্যাদি জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো লেখক তুলে এনেছেন কলম ও কাগজের মোহনীয় বর্ণনা ভঙ্গিতে।
আশা করি এই ক্রান্তি লগ্নে উম্মাহ এই বইটি থেকে উপকৃত হতে পারবে। উত্তম আখলাকের গুরুত্ব সম্পর্কে সোনালী যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবে।
আযান প্রকাশনী এই বইটি নিয়ে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের খেদমতকে কবুল করে নিন। বইটি থেকে অর্জিত ইলমকে আমলে রুপান্তর করার তৌফিক দিন। অযাচিত ভুলত্রুটিগুলোকে ক্ষমা করে দিন।
আল্লাহুম্মা তাক্বাব্বাল ।
____________________আযান প্রকাশনী।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....