ভূতের বাচ্চা সোলায়মান - মুহাম্মদ জাফর ইকবাল | Vuter Bacca Sulaiman

গল্পের প্রধান চরিত্র নীতু। নীতুর দূরসম্পর্কের চাচা ‘দবির’ মধ্যপ্রাচ্য থেকে নীতুদের বাসায় বেড়াতে আসে। তিনি ছোটদের দেখতে পারে না এমনকি মেয়েদের পড়ালেখা নিয়ে কটুবাক্য করে। এছাড়াও দেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিভিন্নভাবে হেয় করতে দবির চাচা সর্বদা বদ্ধ পরিকর। দবির চাচাকে শিক্ষা দিতে নীতু আর তার চাচাতো ভাই-বোনেরা প্লানচ্যাটে বসে ভূত ডাকতে। তাদের ডাকে একটি বাচ্চা ভূত সাড়া দেয়। 

এই বাচ্চা ভূতটির নামই হল সোলায়মান। সোলায়মান নীতুদের ডাকে আসলেও আর নিজে নিজে ফিরে যেতে পারেনা। এদিকে নীতুর দবির চাচা বাচ্চা ভূতের ব্যাপারটি জানতে পেরে সোলায়মানকে বিদেশী টিভি চ্যানেলের কাছে বিক্রি পায়তারা করে। এই পরিকল্পনা মোতাবেক নীতুকে আটকে ভূতের বাচ্চা সোলায়মানকে অপহরণও করে। নীতুর চাচাতো ভাই-বোনেরা নীতুকে উদ্ধার করে আবার প্লানচ্যাটে বসে। ভূতের বাচ্চা সোলায়মানের মা এসে এবার তাকে নিয়ে যায়। দবির যাদের কাছে ভূতের বাচ্চা বিক্রির ফন্দি করেছিল তারা এসে দবিরকে গণধোলাই দেয়।

AUTHOR INFO

মুহম্মদ জাফর ইকবাল

বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ