এক ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডায়রি বই PDF Download (পিডিএফ) : এ. জে. এ. মোমেন

বিশ্ব রাজনীতির সেকাল একাল pdf সেরা রাজনৈতিক বই বিশ্ব রাজনীতি pdf নারী ও রাজনীতি বই pdf বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি pdf download জিওপলিটিক্স বই কাশ্মীর ও আজাদির লড়াই pdf download রাজনীতির তিনকাল pdf download

Title : ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নিয়োজিত এক ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডায়রি
Author : এ. জে. এ. মোমেন
Publisher : জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
Quality : PDF Download Free Link
ISBN 9789848933643
Edition Reprint, 2018
Number of Pages 104
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা


হ্যামফার বলেন : আমাদের ব্রিটেন এক বিশাল দেশ । এ দেশের সাগরের উপর সূর্য উদয় হয় এবং আবার এর সাগরের অতলে সূর্য অস্ত যায় । তারপরেও আমাদের কলোনী ভারত , চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যে এখনও অনেক দুর্বল । এ রাষ্ট্রগুলো এখন পরিপূর্ণভাবে আমাদের করায়াত্ত নয় । এ দেশগুলোর ব্যাপারে আমরা স্বক্রিয় এবং ও সফল পরিকল্পনার গ্রহণ করেছি । আমরা অবিলম্বে এ সকল দেশগুলোতে সম্পূর্ন দখলদারী স্থাপন করতে পারব । এ জন্য আমাদের দুটি বিষয় অতিব জরুরী : ১। আমরা যে স্থান দখল করেছি তা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে । ২। যে সকল স্থানে দখলদারিত্ব নাই তা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে । + কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয় উপরোক্ত প্রত্যেক কলোনী রাষ্ট্রের সমন্বয়ে এ কাজ দুটি করার জন্য কমশিন গঠন করেছে । 

আমি কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করার সাথে সাথেই মন্ত্রীমহোদয় এ কাজের জন্য আমার উপর আস্থা স্থাপন করেন এবং আমাকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসক নিযুক্ত করেন । বাহ্যিকভাবে এটা ছিল একটা বাণিজ্যিক কোম্পানি কিন্তু এর প্রকৃত কাজ ছিল বিশাল ভারতের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পন্থা খুঁজে দেখা । আমাদের সরকার ভারতের বিষয়ে ভীত ছিল না । ভারত হচ্ছে বহুজাতিক লোকের দেশ , এখানে মানুষেরা বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে এবং পরস্পরবিরোধী স্বার্থের লোক বাস করে । আমরা চীনের বিষয়েও ভীত নই । 

চীনে বৌদ্ধ ও কনফিউসিয়ান ধর্মের লোকেরা বাস করে , এর কোনটাই আমাদের জন্য বড় বাধা নয় । দুটো ধৰ্মই মৃতপ্রায় এবং জীবন ঘনিষ্ঠ নয় এবং কেবল কোন ধর্মাবলম্বী হিসেবে চিহ্নিত করা ছাড়া এখানে আর কিছুই নেই । আর এ কারণেই এ দুই দেশের লোকদের দেশপ্রেমের অনুভূতি খুবই কম । এ দুটি দেশ আমাদের ব্রিটিশ সরকারের কোন চিন্তার বিষয় নহে । কথা হচ্ছে , দেরিতে হলেও এ দুটি দেশ জয় করার কথা বিবেচনা থেকে বাদ দিলে চলবে না । তাই আমরা এ দুটি দেশে বেতন বা মজুরী নিয়ে সংঘাত , অজ্ঞতা , দারিদ্র্যতা ও রোগব্যাধি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এক দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করি । 

আমরা আমাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য এ দুটি দেশের প্রথা এবং নিয়ম - কানুন নকল ও অনুকরণ করতে শুরু করি । অবশ্য ইসলামিক রাষ্ট্রসমূহের ব্যাপারে আমাদের ভয় ছিল । আমরা আমাদের স্বার্থের অনুকূলে সিকম্যান ( অটোম্যান সম্রাট ) -এর সাথে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি । কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞ সদস্যদের অভিমত যে সিকম্যান এ শতাব্দীতেই শেষ হয়ে যাবে । অধিকন্তু আমরা ইরানী সরকারের সাথে আরো কিছু অতিরিক্ত গোপন চুক্তি সম্পাদন করেছি এবং এ দুটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানদের আমরা রাজমিস্ত্রির মতো বসিয়ে রেখেছি । এ দুটি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার জন্য তাদের ঘুস প্রদান করে দুর্নীতিগ্রস্থ করা , অযোগ্য প্রশাসন তৈরি করা , অপর্যাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষা এবং সুন্দরী রমনিদের দ্বারা ব্যস্ত রেখে তাদের দায়িত্বে অবহেলা তৈরি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এত কিছু সত্ত্বেও আমরা আমাদের কর্মের আশানুরূপ ফল পাচ্ছিলাম না বলে উদবিগ্ন ছিলাম । ফল না পাওয়ার কারণ নিম্নে ব্যাখ্যা করছি । | 

১। মুসলমানরা একান্তভাবেই ধর্মভীরু । খুব বাড়িয়ে না বললেও বলা যায় যে প্রত্যেক মুসলমানই একজন পাদ্রীর বা সন্যাসীর মতো দৃঢ়ভাবে ইসলামের সাথে জড়িত । জানা যায় যে একজন পাদ্রীর বা সন্নাসী মৃত্যুবরণ করবে তবু খ্রিস্টান ধর্মকে ছেড়ে দিতে রাজী নয় । ইরানের শিয়া সম্প্রদায় খুবই সাংঘাতিক লোক । যারা শিয়া নয় তারা তাদেরকে কাফির এবং বাজেলোক মনে করে । শিয়াদের মতে খ্রিস্টানরা হচ্ছে অনিষ্টকারী কলূষিত ধরনের লোক । প্রকৃতপক্ষে একজন অপর জন থেকে নিজকে উত্তম হওয়ার জন্য চেষ্টা করে । এ বিষয়ে আমি একবার একজন শিয়াকে প্রশ্ন করেছিলাম যে কেন তোমরা একজন খ্রিস্টানকে এভাবে মনে কর ? আমাকে এভাবে উত্তর দেয়া হয়েছিল ; “ ইসলামের নবী ( সঃ ) ছিলেন একজন অতীব জ্ঞানী ব্যক্তি । তিনি খ্রিস্টানদের আধ্যাত্মিক চাপে রাখতেন যেন তারা সঠিক পথ অনুসরণ করে আল্লাহর ধর্ম ইসলামকে গ্রহণ করতে পারে । সত্যিকার অর্থে , ইহা একটি রাষ্ট্রিয় নীতি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ