একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় pdf : লেখকঃ রউফুল আলম বই pdf | Akta Desh Jevabe Daray by Rauful Alom (রিভিউ)

নামঃ একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় pdf download free
লেখকঃ রউফুল আলম( Rauful Alam) 
ভাষাঃ বাংলা 
জনরাঃ অণুপ্রবন্ধ
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ 
প্রকাশকঃ সমগ্র প্রকাশন 
প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ 
মূল্যঃ ৩৫০ টাকা 
পৃষ্ঠাঃ ১৯১ 
একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় pdf : লেখকঃ রউফুল আলম | Akta Desh Jevabe Daray by Rauful Alom (রিভিউ)
cover image : akta desh javane daray

কোনো বই পড়া শেষ করলে যতক্ষণ না পর্যন্ত ঐ বই সম্পর্কে আমি কিছু লিখবো ততক্ষণ আমি শান্তি পাই না। অর্থাৎ বই পড়া মানেই আমার কাছে বই নিয়ে কিছু লেখা। তাই আবারও হাজির হলাম। আমার সম্প্রতি পড়া একটি বই নিয়ে। বইটির সংক্ষিপ্ত রিভিউ ও আমার অনুভূতি। মাত্রই শেষ করলাম রউফুল আলম( Rauful Alam) স্যারের লেখা একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় বইটি। বইটিতে তিনি শিক্ষাকে একটি জাতির মেরুদণ্ড ও শিক্ষাঙ্গনকে কশেরুকা বলে অভিহিত করেছেন। 

প্রাণী হিসেবে সোজা হয়ে দাঁড়াতে আমাদের দরকার মেরুদণ্ড, তেমনি জাতি হিসেবেও একটা দেশকে দাঁড়াতে লাগে শিক্ষা। শিক্ষা হলো একটি জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই মেরুদন্ডের কশেরুকা। মেরুদন্ড ছাড়া যেমন প্রাণী সোজা হতে পারে না, তেমনি কশেরুকা দুর্বল হলে মেরুদন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। 
তাই একটি জাতির মেরুদণ্ড ও তার কশেরুকা যাতে দুর্বল হয়ে না পড়ে সেজন্য সেই দেশের শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন কেমন হওয়া উচিত- এই সম্পর্কে রউফুল আলম স্যার তার- একটি দেশ যেভাবে দাঁড়ায় বইতে যথার্থ দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন। 

লেখক পরিচিতিঃ 

একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় এর লেখক রউফুল আলম স্যার শুধু একজন লেখকই নন। তিনি একজন শিক্ষক। তিনি একজন বিজ্ঞানী। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তার শৈশব কেটেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ মফশ্বল শহরে। ভর্তি হতে চেয়েছেন নটরডেম শহরে। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে পারেন নি। ভর্তি হোন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়াতে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে রসায়ন বিভাগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ২০০৫ সালে শেষহওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেশন জটের জালে আটকা পড়েন এবং ২০০৮ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এরপর গবেষণার উদ্দেশ্যে সুইডেনে পাড়ি জমান। তিনি সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটি থেকে অর্গানিক কেমেস্ট্রিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেছেন। তিনি Swedish Chemical Society র schoolarship পান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব প্যানসেল্ভ্যালিয়ায় (UPenn) পোস্টডক্টরাল গবেষণা করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে সায়েন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। 

💕একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়ঃ pdf
রউফুল আলম স্যার দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশে আছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুবাধে সেসব দেশের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পর্কে তিনি জানার সুযোগ পেয়েছেন। প্রবাসে থাকলেও দেশের জন্য সবসময় তিনি ভাবেন। সেই ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতেই তিনি “ একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়” বইটি লেখা শুরু করেন। ২০১৯ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। 

💕বইটি আপনি কেন পড়বেন? 

পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডেই অনেক বই প্রকাশিত হয়। সেসব বইয়ের মধ্যে সব বই হয়তো মানসম্মত হয় না। “ একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়” এই বই সম্পর্কে বলতে গেলে এক কথায় বলা যায় যে, এটা অবশ্যপাঠ্য একটি বই। বইটা পড়লে বুঝতে পারবেন যে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আমাদের দেশের শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থা এবং গবেষণা ক্ষেত্রে কতটা ফারাক রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষার উপর কতটা জোর দেওয়া হয়েছে। একটা দেশের মূল চালিকা শক্তি হলো সে দেশের তারুণ্য। যে দেশ তার তারুণ্যকে যত বেশি কাজে লাগাতে পেরেছে, সে দেশ তত উন্নতি সাধন করেছে। সেই তুলনায় আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে আছে। একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় বইটি পড়ে আপনার চিন্তা জগৎকে সম্পূর্ণ বদলে দেবে। আপনাকে বুঝাতে সাহায্য করবে,” কিভাবে আপনি আপনার শিক্ষাজীবনে এগিয়ে যাবেন এবং ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন। 

💕কী আছে এই বইতে? 
এই বইতে জাদু আছে। কী জাদু সেটা যখন আপনি একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় বইটি পড়লেই বুঝা যাবে। বইটিতে লেখক রউফুল আলম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বইতে প্রায় ৬৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। দেশের শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান দেওয়া আছে। 

সংক্ষেপ আলোকপাত 
একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় বইটিতে লেখক রউফুল আলম আমাদের দেশের সমসাময়িক শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে বিভিন্ন সম্ভাবনা, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে তার মতামতা প্রকাশ করেছেন। 

প্রায় ৬৩ টি বিষয় নিয়ে লেখক আলোচনা করেছেন। সেগুলো থেকে কয়েকটি বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করছি

💕একটি সাবমেরিন বনাম পাঁচ হাজার জানালাঃ চীন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধনী ও প্রভাব বিস্তারকারী অন্যতম একটি দেশ। কিন্তু কিভাবে এতো কম সময়ে চীন নিজেদেরকে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর কাতারে নিয়ে গেলো? আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলোতে প্রায় সময় বড় বড় করে ছাপা হয়,” অমুক দেশ থেকে বাংলাদেশ দুই হাজার কোটি টাকায় জাহাজ কিনেছে সরকার।” এসব খবর দেখলে আমরা খুশি হই। কিন্তু আমাদের মাথায় আসে না আমরা অন্য দেশ থেকে পুরনো জাহাজ না কিনে আমরা নিজেরাই এসব তৈরি করতে পারি যদি আমরা আমাদের নিজেদের দেশের শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে পারি। 

💕বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘশ্বাসটুকু শুনুনঃ উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক আশা আকাঙ্খা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু ভর্তির পরে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রাপ্য সুবিধাটুকু পায় না। খাবার, শোয়ার জায়গা, বিনোদন ও গবেষণা কোনো সুবিধায় আমাদের শিক্ষার্থীরা পায় না। কত নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হয়, তা ভাবা যায় না। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের এটা নিয়ে কোনো দুঃখবোধ নেই।
 
💕চিত্ত যেথা ভয়যুক্ত, নিচু যেথা শিরঃ ভুল লিখি নি, ঠিকই লিখেছি। আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই লেখা একদম সঠিক। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে দেখা যায় শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা মিছিল, মিটিং ও রাজনৈতিক কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখছে। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। ক্লাস নেই, নেই কোনো গবেষণা।শিক্ষার্থীরা যে যার পছন্দ মত রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হচ্ছে। যেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীরা অবিরতভাবে নিজের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে, নতুন নতুন বিষয় নিয়ে শিখছে, সেখানে আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা শিখছে কিভাবে তোষামোদি করে অন্যকে খুশি রাখা যায়। 

💕একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়ঃ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে যদি আমাদের অতি সাধারণ একটা তুলনা করি, দেখবো যে- তারা কাজ করে ভালোবেসে। আর আমরা কাজ করি চাপে পড়ে। বেতন হালাল করার জন্য। লেখক রউফুল আলম স্যার তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে,” তিনি যে ইউনিভার্সিটিতে কাজ করতেন, সেখানে সারাদিনই ল্যাব খোলা থাকতো। যার যখন ইচ্ছা, ল্যাবে এসে গবেষণার কাজ করতো। রাত হোক, দিন হোক, ছুটির দিন হোক আর জাতীয় দিবস হোক।” এই চিত্রটা আমাদের দেশে বাস্তবে কখনোই সম্ভব নয়। আমাদের দেশে বন্ধ তো বন্ধই। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ক্লাস বর্জন একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কথা নাই, বার্তা নাই। ক্লাস বর্জন। হরতাল, মারামারি ও অন্যান্য রাজনৈতিক কারণে ক্লাস বর্জন। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নেই কোনো উচ্চ মানসম্পন্ন ল্যাব বা গবেষণাগার। অথচ বছরে কত হাজার হাজার কোটি টাকা আমরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, নামকরণ ইত্যাদিতে খরচ করি। আমাদের দেশে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে। অথচ ভর্তির পর তাদের শিক্ষা জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় জ্যাম, বাসে, টিউশনিতে। শিক্ষার্থীদের এই সময়গুলোর জন্য সরকারের কোনো সুদূরপ্রসারী চিন্তা নেই। তাহলে কীভাবে দাঁড়াবে আমাদের দেশ? 

💕আমাদের দেশে মেধাবী অনেক শিক্ষার্থী আছে। যারা হয়তো সুযোগ পেলে ভালো কোনো অবস্থানে যেতে পারতো। আমাদের দেশের মেধাকে আমরা নিজেরাই গলা টিপে মেরে ফেলতেছি। কোটা প্রথা, মামা-চাচার জোর, ঘুষ, দুর্নীতি, সেশন জট, বছরের পর বছর ফলাফল না দেওয়া, যথা সময়ে পরীক্ষা না হওয়া, সার্টিফিকেট অর্জনের লোভে, জিপিএ ফাইভ, গোল্ডেন ফাইভ প্রভৃতি নানা কারণে মেধাবীরা দেশের সম্পদ না হয়ে দেশের বোঝা তে পরিণত হচ্ছে। 

💕নিজস্ব উপলব্ধিঃ 
“একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়” বইটিতে লেখক ও গবেষক রউফুল আলম স্যার আমাদের সামনে সম্ভাবনার এক দুয়ার খুলে দিয়েছেন। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি যা বুঝেছি- আমরা যদি চেষ্টা করি, তাহলে বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারি। আমরা আমাদের শিশুদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে পারি। তাদের মনে বিজ্ঞানের প্রতি, নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারি। 
একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায় বইটি পড়লে চোখের সামনে যে হতাশা ও নিরাশার পর্দা থাকবে, তা সরে যাবে। নিজেকে গড়ে তোলার প্রতি আগ্রহী হবে আমার দেশের শিক্ষার্থীরা।
আমার মতে, এই বইটি সকলের পড়া উচিত। আমরা তো অনেক মোটিভেশনাল বই পড়ি। কিন্তু এমন বই কয়টা পড়ি/ যে বইয়ের পাতায় পাতায় ভবিষ্যতের এক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের কথা লেখা আছে? 

💕শেষ কথা
আগে বিটিভি তে একটা গান প্রচার হতো-” অ তে অন্তর, আ তে আলো, অন্তরে অন্তরে আলো দীপ জ্বালো।” এই গানের সুরে বলতে চাই,”একদিন আমাদের দেশেও শিক্ষার আলো প্রতিটি মানুষের প্রানে ছড়িয়ে যাবে। উপার্জন বা চাকরির আশায় নয় বরং আমরা জানার জন্য, শেখার জন্যই শিখবো এবং পড়বো। বিশ্বের বুকে মেধাবী, সুশিক্ষিত, স্বশিক্ষিত এবং সুচিন্তিত জাতি হিসেবে পরিচিত হবো।”
Review Credit 💕 Nasima Akter

বইটি পড়েছেন ? দারুণ একটি বই। আমার তো মনে হয় যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন,একবার হলেও বইটা তাদের পড়া উচিত। 
রিভিউটা আমার বন্ধুর। রিভিউটি বইটির লেখক স্বয়ং পাবলিশ করেছেন। Ibrahim Hossan Fahim 

রিভিউ নং ২ একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়

বই নামঃ একটা দেশ যেভাবে দাঁড়ায়।
লেখকঃ রউফুল আলম।

💕উন্নত বিশ্ব চীন অন্যদের জিনিস ব্যবহার করেনা বললেই চলে। যে দেশ থেকে যখন উন্নত নতুন যে কিছুই আবিষ্কার করে।তারা তাদের তরুণ তরুণীদের পাঠিয়ে দেয় ওই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের । কারণ তারা জানে সকল কিছু সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ তরুণী গবেষণার ফলে। কিন্তু আমাদের দেশ কি করে অন্যের ব্যবহৃত জিনিস চওড়া দামে কিনে আনে। ওই চওড়া দামে যদি না ক্রয় করে, আমাদের দেশের তরুণ তরুণীকে ওই দেশে পাঠিয়ে দিতো। তাহলে আগামী ৫ বছর পর আমরা তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে পারতাম।

💕আমাদের দেশের শিক্ষক, গবেষক, তরুণ তরুণী সবাই যদি একমিনিট সময় ভালো কাজে ব্যয় করতো। তা আমাদের দেশে সম্পদে পরিণত হতো। যা দেশের রাষ্ট্র কোষাগারে জমা হতো। পৃথিবীর একজন প্রান্ত যখন ক্লান্তি ভূগতে অন্য প্রান্ত তা জয় করে ফেলছে। শিক্ষাঙ্গনে চিত্ত ভয়শূন্য থাকে না।  

💕কোটা পরিবর্তনে আমাদের সরকার যা করতে পারে,, যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাকে খাবার, শিক্ষা, পোশাক, এই সব এর জন্য টাকা দিতে পারে। তাকে যোগ্য করে তোলার চেষ্টা করতে পারে। সে বীরের সন্তান বলে তাকে ৪০ বছর বসে খাওয়াবেন এই রকম কথা তো প্রশ্নই আসে না। এই কোটার কারণে আমাদের দেশে তৈরি হয়েছে ২৫০০০ ভূয়া সনদ। যার ফলে মেধাবী ও যোগ্যরা চাকরি না পেয়ে পাচ্ছে যোগ্যহীন ব্যক্তিরা।

💕দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করা দোষ এর কিছু না। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, জাতিসংঘের মহা সচিব বান কি-মুন দরিদ্র ছিলেন,বাংলাদেশ ব্যাংক গর্ভনর আতিউর রহমান দরিদ্র ছিলেন। যারা জন্ম দিয়ে নয় কর্ম দিয়ে জয় করছেন পৃথিবীর। জন্ম কে দোষ নয় কর্ম দিয়ে হোক জীবন জয়।

💕মেধাবী ও কর্মপাগল মানুষদের সান্নিধ্যে থাকা অত্যন্ত জরুরি। আমেরিকার ও পৃথিবীর অন্য দেশ গুলো ২৪ ঘন্টায় গবেষণা লিপ্ত থাকে। আমরা যদি এঁদের সান্নিধ্যে থাকি আমাদের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা স্বপ্ন জেগে উঠবে। স্বপ্ন আমাদের তাড়া করবে। 
অন্যদেশের মতে আমাদের দেশেও যদি ল্যাবগুলোতে, যারা কাজ করবে, তারা থাকবে, খাবে, পার্টি করবে,গান গাইতে গাইতে কাজ শুরু করবে। এই কথা গুলো যদিও আমাদের কাছে স্বপ্নর মতো লাগে, অন্য সব দেশেই এইভাবে চলছে। আমাদের দেশে যদি এই রকম পরিবেশ তৈরি হয়। দেশ দাঁড়াবে তার আপন গতিতে , স্বমহিমায়।

এইবইটি তরুণ ও যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণা উৎস ও পথনির্দেশক। এই লেখার মাধ্যমে লেখক তার দেশপ্রেম ও দেশের প্রজন্মদের উচ্চশিক্ষার উৎসাহিত করার যে প্রায়স, তা প্রশংসার দাবি রাখে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই বইটি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আগ্রহী করে তুলবে।
Review Credit 💕 Ibrahim Hossan Fahim

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ