বইয়ের নাম : বাকি সব প্বার্শচরিত্র
লেখকের নাম : মারুফ আল-আমিন
বইয়ের ধরন : থ্রিলার
প্রকাশনীর নাম : বাতিঘর প্রকাশনী
প্রচ্ছদ শিল্পীর নাম : পরাগ ওয়াহিদ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৭০পৃষ্ঠা
মলাট মূল্য : ৩০০৳
'বাকি সব প্বার্শচরিত্র' লেখক : মারুফ আল-আমিন। যার ভয়ে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিলো সেই মস্তিষ্কবিকৃত সাইকো কিলার অদিত রয়কে খুন করে ফেলেছে কেউ। এই খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই অদিত রয়ের প্রতিবেশী বৃদ্ধা রাশেদা সুলতানাকে খুন করতে চাইলো খুনি। রহস্যজনক ভাবে তার গলায় পাওয়া গেলো অদিত রয়ের আঙ্গুলের ছাপ যে কি-না দুদিন আগেই খুন হয়েছে। দূর্ভেদ্য এই রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিলো সিআইবি এজেন্ট ইভান ইমরোজ। তদন্ত কিছুদূর এগুতেই ঘটনা মোড় নিলো অন্যদিকে। হঠাৎ করেই কিছু মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে গেলো আস্ত একটা দিন। ঊনিশ তারিখের পর তারা পৌঁছে গেলো একুশ তারিখে- বিশ তারিখ মুছে গেলো তাদের জীবন থেকে। এজেন্ট ইভান আবিস্কার করলো পুরো ব্যাপারটাই একটা গোলক ধাঁধাঁ। সিআইবি'র এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নেওয়াজ মির্জা ইভানের উপর ভরসা রাখলেন। তিনি জানেন রহস্যের শেষ না দেখা পর্যন্ত ইভান থামবে না। এদিকে কেসের সমাধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পায় ইভান। শেষমেশ সে যেই সত্যের সন্ধান পায় তা ছিলো একই সাথে অবিশ্বাস্য এবং অকল্পনীয়।
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে।
লেখক পরিচিতি ও তার বইসমূহ:
"বাকি সব প্বার্শচরিত্র" বইটি লেখকের প্রথম থ্রিলার উপন্যাস। ভাইয়া বরাবরই ভালো লেখেন।ফেইসবুকে প্রিয় লেখকের তালিকায় অন্যতম তিনি।
এছাড়াও ২০২০-এর বইমেলায় তাঁর "রুপালি সমুদ্র" নামক প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১-এর বইমেলায় তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ এবং প্রথম উপন্যাস "নৈঃশব্দের কান্না" প্রকাশিত হয়। এবং ২০২১ এর নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে তাঁর ৩য় গ্রন্থ রোম্যান্টিক উপন্যাস "ভর দুপুরের জোছনা" প্রকাশিত হয়।
এবং ৪র্থ বই ও প্রথম থ্রিলার উপন্যাস "বাকি সব প্বার্শচরিত্র" প্রকাশিত হয় এ বছরের বইমেলায়।
বইকথা :
শুরুতেই বলেছি ভাইয়া বরাবরই ভালো লেখেন।
আমি বইটি পড়েছি ১৯/২০ তারিখে। ফ্রীই ছিলাম। আর কোনোকিছু ভালো লাগছিলো না। ভাবলাম বইটা পড়া শুরু করি। যেই ভাবা সেই কাজ। খুবই ইন্টারেস্টিং ছিলো। একদিনেই পুরো বইটা পড়ে শেষ করেছি। ওইদিন সারাদিনে আমার কোনো কাজ ছিলো না, খাওয়া আর গোসল ছাড়া।
বইটির চরিত্রসমূহ : ইভান, আবির, অদিত রায় নীলয়, নেওয়াজ মির্জা, ফাবিহা, আসগর শিকদার, রাশেদা সুলতানা, লিজা, জাফর চৌধুরী, খোরশেদ আলম, হাবিব আশরাফ ইত্যাদি।
বইটি পড়তে গিয়ে খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। ভাইয়ার উপন্যাসের "ইভান" চরিত্রটি চমৎকার।
উপন্যাসটির রহস্য ছিলো একজন সিরিয়াল কিলারের খুন হওয়া নিয়ে।
মাঝখানে খুনীর ব্যাপারে কনফিউজড হয়েছিলাম একটু
৪জনকে খুনি ভেবেছিলাম কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই ভুল ভেঙেছিলো।
শুধু নেওয়াজ মির্জার প্রতি বারবার সন্দেহ হয়েছে আর বারবার মনে হয়েছে না নেওয়াজ মির্জার মধ্যে কোনো জটিলতা নেই। আবার ভেবেছি কিছু একটা গোলমাল আছে এই নেওয়াজ মির্জার মধ্যে।
এতোটাই ডুবে গিয়েছিলাম যে সময়ও খেয়াল করিনি। সবকিছুর মাঝে মুখবন্ধটুকুই ভুলে গিয়েছিলাম। এতে রহস্য আরও গভীর হয়ে গেছে।
আর সময় হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটায় আমি কনফিউজড হইনি। কিন্তু এই সময়টার ভেতর ঠিক কী হয়েছিলো সেটা জানার জন্য খুবই কৌতুহলী ছিলাম।
শেষে সমাধান পেয়েছি।
ভীষণ ভালো লেগেছে।
সব কিছুর সমাধান নিকটে রেখেই রহস্য করেছেন তিনি।
সবমিলিয়ে চমৎকার।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....